নৃশংসতা! ফের আবারও রক্ষকের হাতেই আহতের ঘটনা। স্ত্রীকে পিটিয়ে মারার অভিযোগ। অভিযুক্ত একজন বিএসএফ (BSF) জওয়ান। বসিরহাটের (Basirhat) ইটিন্ডা পানিতর গ্রাম পঞ্চায়েতের ঘোজাডাঙ্গা উত্তরপাড়া গ্রামের ঘটনা। ঘটনায় ফের প্রশ্নের মুখে রক্ষকের ভূমিকা।
জানা যায়, বছর ৩৯ এর রুপম সরকার, ১১৮ নম্বর ব্যাটেলিলিয়নের বিএসএফ এখন কর্মরত সামশের নগর চার নম্বর বিওপিতে। তার স্ত্রী অঙ্কিতা সরকার। দীর্ঘদিন থেকে শ্বশুরবাড়ির বিরুদ্ধে অভিযোগ, অশান্তি, গন্ডগোল, মারধর করা হয় অঙ্কিতাকে। এমনকি বিএসএফ জওয়ান তাঁকে একাধিকবার মানসিক, শারীরিক নির্যাতন চালাত বলেও অভিযোগ। এই নিয়ে একাধিকবার দুই পরিবারের মধ্য কথা হলেও কোনও মীমাংসার পথ বের হয়নি। এরপর স্ত্রী বাপের বাড়ি বাদুড়িয়া থানার লক্ষীনাথপুর গ্রামে চলে যান। আবার বুঝিয়ে তাঁকে ডেকে আনা হয়। বৃহস্পতিবার বিএসএফ জওয়ান ছুটিতে বাড়িতে আসে, আর এরপরই নারকীয় কাণ্ড। প্রথমে স্ত্রীকে বেধড়ক মারধর, তারপর শ্বাসরোধ করে ঘরে ঝুলিয়ে দেয়, এমনটাই পরিবারের অভিযোগ।
শুক্রবার ভোররাতে বসিরহাট জেলা হাসপাতালে (hospital) তাঁকে আনলে চিকিৎসকরা মৃত (dead) বলে ঘোষণা করেন। মৃত্যু নিয়ে দ্বিচারিতা এমনকি শ্বশুর বাড়ির সদস্যরা পরিবারকে ফোনে জানায় তিনি গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা (suicide) করেছেন। পরিবারের সদস্যরা শনিবার দুপুরবেলা এসে তাঁদের সন্তানকে দেখে জানতে পারেন তাঁকে পরিকল্পনা করে মারধর করেছে খুন (murder) করা হয়েছে। শরীরের একাধিক জায়গায় মিলেছে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। এরপরেই ক্ষোভে ফেটে পড়েন মৃত অঙ্কিতার বাবা অমল তরফদার। জামাই তথা বিএফ জওয়ানের বিরুদ্ধে খুনের লিখিতভাবে অভিযোগ দায়ের করেন তিনি। অভিযোগের ভিত্তিতে ওই বিএসএফ জোয়ানকে শনিবার তার বাড়ি থেকে গ্রেফতার করে বসিরহাট থানার পুলিস।
রবিবার বসিরহাট মহকুমা আদালতে তোলা হয়। এটা পরিকল্পিত খুন না আত্মহত্যা ময়নাতদন্তের রিপোর্ট আসার পরে জানা যাবে। পুরো বিষয়টা তদন্ত শুরু করেছে বসিরহাট থানার পুলিস।