একসঙ্গে দুটি চুল্লি বিকল। ফলে মৃতদেহ (Deathbody) সৎকার করাতে এসে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে সাধারণ মানুষদের। ঘটনাটি দুর্গাপুরের (Durgapur) বীরভানপুর মহাশ্মশানের। অভিযোগ, নিয়মিত রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে এই পরিস্থিতি। তবে সমস্যা তাড়াতাড়ি মিটবে আশ্বাস দুর্গাপুর নগর নিগমের।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০০৭ সালে তৎকালীন বাম পুরবোর্ড বেশ কয়েক লক্ষ টাকা খরচ করে বীরভানপুর মহাশ্মশানে ইলেকট্রিক চুল্লি তৈরী করেছিল। রাজ্যের তৎকালীন পুর মন্ত্রী অশোক ভট্টাচার্য এই বৈদ্যুতিক চুল্লির উদ্বোধন করেছিলেন। শুধু দুর্গাপুর নয়, অন্ডাল, আসানসোল এমনকি বাঁকুড়া জেলা থেকেও মৃতদেহ সৎকার করতে আসে এই শ্মশানে। এদিকে দুটো ইউনিট একসঙ্গে খারাপ হয়ে যাওয়াতে ভোগান্তিতে পড়েছেন সাধারণ মানুষ। অভিযোগ, আগে এই শ্মশানে সৎকার করাতে প্রায় সাড়ে পাঁচশো টাকার মতো খরচ লাগতো। সেটা বাড়িয়ে এখন দুর্গাপুর নগর নিগম সাড়ে সাতশো টাকার মতো করেছে। কিন্তু টাকা বাড়লেও পরিষেবা একদম বাড়েনি বলে দাবি সাধারণ মানুষদের।
বৈদ্যুতিক চুল্লির একটা ইউনিট আগেই খারাপ হয়েছিল। গত তিন দিন ধরে বিকল হয়ে পড়ে রয়েছে আরেকটি ইউনিট। প্রশ্ন উঠেছে, যখন প্রথমটা ইউনিটটা খারাপ হয়েছিল তখন কেন তড়িঘড়ি মেরামতির উদ্যোগ নেওয়া হলো না? পরিসংখ্যান অনুযায়ী, দুর্গাপুর সহ বাঁকুড়া জেলা থেকে প্রতিদিন গড়ে দশ থেকে কুড়িটির মতো মৃতদেহ সৎকারের জন্য আসে এই শ্মশানে। বৈদ্যুতিক চুল্লি বিকল হওয়াতে কাঠে মৃতদেহ সৎকার করতে হচ্ছে। ফলে এতে সময় ও খরচ দুই বাড়ছে। আর অসাধু ব্যাবসায়ীরা এই সুযোগে কাঠের দাম বাজার দর থেকে অনেকটাই বাড়িয়ে রাখছে। যার করণে সাধারণের সমস্যা দ্বিগুন হয়েছে।
উল্লেখ্য, দুর্গাপুর নগর নিগমের প্রশাসক মণ্ডলীর চেয়ারপার্সন অনিন্দিতা মুখোপাধ্যায় জানান, খুব তাড়াতাড়ি এই সমস্যা মিটে যাবে। সমস্যার কথা মেনে নিয়েছেন দুর্গাপুর নগর নিগমের এই প্রশাসনিক আধিকারিক। একাসঙ্গে বৈদ্যুতিক চুল্লির দুটি ইউনিট বিকল হয়ে যাওয়ায় বিপত্তির মুখে পড়ে সাধারণ মানুষের বক্তব্য, একেই বলে হয়তো মরেও শান্তি নেই।