মণি ভট্টাচার্য: শনিবার বেলা সাতটা থেকে কথামতো শুরু হয়ে গিয়েছে বাংলা ত্রিস্তরীয় পঞ্চায়েত নির্বাচন (Panchayat Election)। কিন্তু বারংবার পশ্চিমবঙ্গ পঞ্চায়েত নির্বাচনের সময়ই গোটা দেশকে চিনিয়েছে যে বাংলায় নির্বাচন কখনও অবাধে শান্তিপূর্ণ হয় না। ঠিক সেই ধারাই বহাল রাখল পশ্চিমবঙ্গ। গোটা রাজ্যজুড়ে প্রত্যেক জেলায় কমবেশি রিগিং, প্রিজাইডিং অফিসারকে মারধর, ছাপ্পা, ব্যালট লুঠ ও সংঘর্ষের পাশাপাশি খুনের অভিযোগ উঠে এসেছে। এখন প্রশ্ন উঠছে কোথায় পুলিস! কোথায় বা কেন্দ্রীয় বাহিনী?
নির্বাচন কমিশন সূত্রে খবর, রাজ্যে শুক্রবার রাত অবধি ৬০০-এর অধিক কেন্দ্রীয় বাহিনী এসে পৌঁছেছে। অর্থাৎ তাদের মধ্যে কার্যকরী কেন্দ্রীয় বাহিনী অর্থাৎ আধা সামরিক বাহিনীর সংখ্যা প্রায় ৪২০০০। সেক্ষেত্রে কোথায় সেই কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে, এ নিয়ে প্রশ্ন উঠছে সাধারণ মানুষের মনে।
পঞ্চায়েত ভোট শুরুর পর থেকে এখনও অবধি সাত জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে। রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় সকাল থেকেই হিংসা মারধর ও বেলাগাম ছাপ্পার অভিযোগ উঠে এসেছে। কোথাও ভোট কর্মীদের মারধর, কোথাও ব্যালট পুড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠছে, ফলত এটা স্পষ্ট যে বাংলা তার চেনা রূপই দেখালো। কিন্তু প্রশ্ন উঠছে এই ৪২ হাজার কেন্দ্রীয় বাহিনী কোথায় গেল? রাজ্যের বিভিন্ন জেলা থেকে অভিযোগ, রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় ভোটে স্পর্শকাতর কেন্দ্রগুলোতেও কোনোভাবেই সকাল থেকে কেন্দ্রীয় বাহিনীর দেখা নেই। এ বিষয়ে বিভিন্ন জেলা পুলিস আধিকারিকদের কাছে জানতে চাওয়া হলে তারা এ বিষয়ে কোনো সদুত্তর দিতে পারেননি।
ভোটগ্রহণের শুরুর চার ঘন্টা পর এখনও অবধি শনিবার মৃতের সংখ্যা ৭, এবং পাশাপাশি সূত্রের খবর অনুযায়ী, ১২ শতাংশ ভোট পড়েছে এবং এখনও অবধি নির্বাচনী হিংসায় আহত কমপক্ষে ১০০ জন।