ক্ষোভ-বিক্ষোভে উত্তাল সন্দেশখালি। শিবু-উত্তমের পর অত্যাচারি শাসকের খাতায় নাম তৃণমূল নেতা অজিত মাইতির। শেখ শাহজাহান, শেখ সিরাজউদ্দিনের পাশাপাশি অজিত মাইতির গ্রেফতারির দাবিতে হাতে প্ল্যাকার্ড নিয়ে সরব বিক্ষোভকারীরা। জনরোষ থেকে বাঁচতে সিভিক ভলান্টিয়ারের বাড়িতে গিয়ে লুকিয়ে পড়েন অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা। তাঁকে দেখা মাত্রই ঝাঁটা-লাঠি নিয়ে সেখানে পৌঁছে যায় উত্তেজিত গ্রামবাসী। জনরোষ থামাতে কার্যত হিমশিম খেতে হয় পুলিসকে।
এদিন মন্ত্রী সুজিত বসু ও পার্থ ভৌমিকের কর্মসূচি থেকে ফেরার পথে অজিত মাইতিকে তাড়া করেন গ্রামের মহিলারা। অভিযোগ, গ্রামের ৭০ জনের নামে নতুন করে অভিযোগ দায়ের করেছেন অজিত মাইতি।
যদিও নিজেকে নির্দোষ বলে দাবি অজিত মাইতির। তবে আইন মোতাবেক কাজ হবে বলে দাবি পুলিসের। শাসকের ঔদ্ধত্য যেন ক্রমেই সীমা ছাড়ায়। এতকিছুর পরেও নাকি গ্রামবাসীদের হুমকি দিচ্ছেন অজিত মাইতি। প্রতি রাতে চলছে ভাঙচুর। আতঙ্কে গ্রামবাসী।
পুলিস-প্রশাসন ক্ষোভের আগুনে জল ঢালার চেষ্টা করলেও এত সহজে যে ঠাণ্ডা হবার নয় তা এদিনের জনরোষ থেকেই স্পষ্ট। অজিত মাইতির গ্রেফতারির দাবিতে অনড় গ্রামবাসী। এরপরেই অজিত মাইতিকে অঞ্চল সভাপতির পদ থেকে সরিয়ে দেওয়ার পাশাপাশি তাকে আটক করে পুলিস। নিয়ে যাওয়া হয় সন্দেশখালি থানায়।