মনি ভট্টাচার্য: নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে সিবিআইয়ের (CBI) ৭ জনের স্পেশাল টাস্ক ফোর্স গঠন করার পর, সিএন-ডিজিটালের তরফে জানানো হয়েছিল, নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে (Recruitment corruption) তদন্তের মোড় ঘুরতে পারে এ সপ্তাতেই। ঠিক তার ৭ দিনের মধ্যেই সোমবার নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে গ্রেফতার (Arrested) হল মুর্শিদাবাদের বড়ঞার বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহা (Jiban Krishna Saha)। সোমবার তাঁর মুর্শিদাবাদের বাড়ি থেকে তাঁকে গ্রেফতার করে সিবিআই। এরপর উঠে আসছে আরো কিছু প্রভাবশালীদের নাম।
সূত্রের খবর, সোমবার কাকভোরে জীবনকৃষ্ণ সাহাকে গ্রেফতার করে সিবিআই। তারপরেই নিঃশ্বাস ঘন হতে শুরু হয়েছে তৃণমূলের আরও কিছু বিধায়কের। সূত্রের খবর, খুব শীঘ্রই ফের জেরা করা হতে পারে নিয়োগ দুর্নীতির আরেক মহারথী গোপাল দলপতি ও তাঁর স্ত্রী হৈমন্তীকে। সম্প্রতি হৈমন্তীর বেহালার ফ্লাটেও পৌঁছে গিয়েছিল সিবিআই। পাশাপাশি কপালে চিন্তার ভাজ রয়েছে নলহাটির প্রাক্তন তৃণমূল ব্লক সভাপতি বিভাস অধিকারীও।
নববর্ষের আগের দিন অর্থাৎ শুক্রবার থেকেই রাজ্যের বেশ কিছু জায়গায় তল্লাশি চালায় সিবিআই। নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে নতুন মোড় আনতে গত সোমবার অর্থাৎ ১০ই এপ্রিল একটি সাতজনের স্পেশাল টাস্ক ফোর্স গঠন করে সিবিআই। ৭ দিনের মধ্যেই রাজ্যজুড়ে তৎপর হয়ে পড়ে সিবিআই। শুক্রবার রাজ্যের মুর্শিদাবাদ, বীরভূম ও বর্ধমান জেলায়, পাশাপাশি নিউটাউনেও তল্লাশি চালায় সিবিআইয়ের একাধিক দল। এরপর শনিবার তল্লাশি চালানো হয় নলহাটির প্রাক্তন ব্লক তৃণমূল সভাপতি বিভাস অধিকারীর বাড়ি। শনিবারই তল্লাশি চালানো হয় গোপাল দলপতি ও হৈমন্তীর বাড়িতেও। পাশাপাশি ঐদিনই হৈমন্তীর বেহালার ফ্ল্যাটও সিল করে দেয় সিবিআই।
সূত্রের খবর, এই জীবনকৃষ্ণ সাহাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে উঠে আসছে রাজ্যের আরও বেশ কিছু প্রভাবশালী নেতা ও বিধায়কদের নাম। সিবিআই সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, অনুব্রত ঘনিষ্ঠ হওয়ায় এই জীবনকৃষ্ণ গরুপাচার সম্বন্ধেও অনেক তথ্য জানতে পারে বলে মনে করছেন তাঁরা। রবিবার রাতেই তাঁকে গ্রেফতারের ছক কষে ফেলে সিবিআই। সোমবার ভোর ৫ টা ১৫ নাগাদ তাঁকে গ্রেফতার করে, সোমবার সকালেই তাঁকে নিজাম প্যালেসে নিয়ে আসে সিবিআই। সোমবারই স্বাস্থ্য পরীক্ষার পর তাঁকে সিবিআই স্পেশাল আদালতে তোলা হবে বলে খবর।