প্রসূন গুপ্তঃ তৃণমূলের নেতারা প্রায় প্রত্যেকে এখন ব্যস্ত নিজের নিজের পুজো নিয়ে। একেবারে কোচবিহার থেকে কাকদ্বীপ। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বৃহস্পতিবার থেকেই পুজো উদ্বোধন শুরু করে দিয়েছেন। অবিশ্যি তাঁর পায়ে আঘাত থাকার ফলে এ বছর তিনি আপাতত গৃহবন্দী, চিকিৎসকদের কড়া নির্দেশে। বাড়ির থেকেই কয়েকশো পুজো ভার্চুয়ালি তিনি উদ্বোধন করবেন। শোনা যাচ্ছে আগামী দ্বাদশীর দিন তিনি হয়তো নিরঞ্জন অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন। মমতা পুজোর দিনগুলি এমনিতেও বাড়িতে থাকেন। অষ্টমীর দিন তাঁর জন্মদিন হলেও পালন করেন কোথায়?
অন্যদিকে, এই মুহূর্তে তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক কিন্তু দলের পুজোগুলিকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। তিনিও পুজোর কদিন বাড়িতেই থাকেন এবং অবশ্যই সংগঠনের নানান কাজ দেখেন তাঁর সেনাপতি সুমিত রায়ের সহযোগিতায়। তিনি পুজো উদ্বোধন করেন না, কিন্তু হয়তো সময় পেলে কোনও পুজো দেখতে যেতেন এক সময়ে। আপাতত বঙ্গ রাজনীতির প্রধান মুখ তিনি কাজেই খবরওয়ালাদের চেষ্টা থেকেই তাঁকে নিয়ে খবর করার।
আগামী ১৬ অক্টোবর থেকে ১৯ অক্টোবর তিনি সারাটা দিন কাটাবেন তাঁর লোকসভা কেন্দ্র ডায়মন্ড হারবারে। যদিও নিজের কেন্দ্রে তিনি প্রায়ই যান, নানান কাজ বা অনুষ্ঠান থাকেই। তবে এবারে টানা চার পাঁচ দিন কাটাবেন নিজের কেন্দ্রেই। ডায়মন্ডহারবার থেকে অনুরোধ থাকেই পুজো থেকে ইদে তাঁর উপস্থিতির। ইতিমধ্যে তাঁর ফুটবল দল প্রথম ডিভিশনে খুব ভালো ফল করেছে। এতে উৎসাহী এলাকার মানুষ। এতদিন বালি প্রতিভা থেকে টালিগঞ্জ অগ্রগামী ইত্যাদি নানান এলাকার নাম ক্লাব থাকলেও আঞ্চলিক মানুষের কোনও দিনও ক্লাব নিয়ে মাথাব্যথা ছিল না কিন্তু অভিষেক সেটি হতে দেননি।
পুজোর আগে এলাকায় গিয়ে দুস্থ মানুষদের বস্ত্র বিতরণ ছাড়াও নানান সমস্যার বিষয় দেখবেন। দীর্ঘদিনের অসাম্প্রদায়িক অঞ্চল ডায়মন্ডহারবার লোকসভা কেন্দ্র। অভিষেকের বক্তব্য পরিষ্কার, ধর্ম যার যার, উৎসব সবার কাজেই শারদ উৎসবে এই বার্তা নিয়েই তিনি যাচ্ছেন নিজের এলাকায় আরও একবার।