এক শিক্ষিকাকে (teacher) অপহরণ করার অভিযোগে গ্রেফতার (arrest) মাথাভাঙার (Mathavanga) তৃণমূল নেতা। ঘটনায় অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা মাথাভাঙা ১ নম্বর ব্লক তৃণমূল যুব কংগ্রেসের সভাপতি কামাল হোসেন। তাকে গ্রেফতার করেছে মাথাভাঙা থানার পুলিস (police)।
জানা যায়, ওই শিক্ষিকার বাবা ক্ষীরোদ দাস তাঁর মেয়েকে অপহরণ (kidnaped) করে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ মাথাভাঙা থানায় দায়ের করেন। মূল অভিযুক্তকে হিসেবে তিনি কামাল হোসেনকে চিহ্নিত করেন। এরপরই এই অভিযোগ পেয়ে পুলিস অভিযানে নেমে শুক্রবার ভোরে শিলিগুড়ির (Siliguri) একটি হোটেল থেকে ওই শিক্ষিকাকে উদ্ধার করে। একইসঙ্গে কামাল হোসেন নামে তৃণমূল যুব কংগ্রেসের ওই নেতাকে গ্রেফতার করেছে পুলিস।
এই বিষয়ে মাথাভাঙা জেলার অতিরিক্ত পুলিস সুপার অমিত ভার্মা জানান, মিসিং ডায়রি করেছিলেন মেয়ের বাবা। এরপর ঘটনার তদন্ত শুরু করে মাথাভাঙা থানার পুলিস। এদিন অভিযুক্তকে মাথাভাঙা আদালতে তোলা হয় বলে জানান ওই পুলিসকর্তা। এ বিষয় নিয়ে কোচবিহার জেলা তৃণমূল সভাপতি অভিজিত্ দে ভৌমিক জানান, পুলিস, পুলিসের কাজ করবে। পশ্চিমবঙ্গের পুলিস কোনও পক্ষপাতিত্ব করে না। দোষী শাস্তি পাবে।
এই ইস্যুতে বিজেপি নেতা জানান, "তৃণমূল দলটা দুর্নীতিতে পরিপূর্ণ, যা সম্পূর্ণ পশ্চিমবঙ্গবাসী জানে। নতুন নতুন সব তথ্য আমাদের সামনে উঠে আসছে। এখন জানা যাচ্ছে তৃণমূলের নেতারা শুধু দুর্নীতি না, অপহরণের সঙ্গেও যুক্ত। এরা আর কী বাকি রেখেছে পশ্চিমবঙ্গকে ডোবানোর জন্য। অত্যন্ত লজ্জাজনক ঘটনা।"
এই ঘটনায় কী বলছে তৃণমূল এবং বিজেপি?