ভিন রাজ্যে পড়তে গিয়ে অস্বাভাবিক ভাবে মৃত্যু (Unnatural death) হল এক ছাত্রের (Student)। বৃহস্পতিবার রাতে এই ঘটনাটি ঘটেছে বিহারে (Bihar)। তবে ফোন মারফত শুক্রবার রাতে এ ঘটনার খবর পেয়েছে মৃত ছাত্রের পরিবার। পুলিস সূত্রের খবর, ওই মৃত ছাত্রের নাম সুরম্য সাঁতরা। স্থানীয় সূত্রে খবর, বিহারের রাজেন্দ্র প্রসাদ এগ্রিকালচার ইউনিভার্সিটির ছাদ থেকে পড়ে মৃত্যু হয় ওই ছাত্রের। সুরম্য হুগলির (Hooghly) শেওড়াফুলির জগবন্ধু মুখার্জি লেনের বাসিন্দা। এই ঘটনায় ইউনিভার্সিটি ও বিহার পুলিসের আচরণে অসঙ্গতি লক্ষ্য করেছে মৃতের পরিবার। তাই ঠিক কি ঘটেছিল তার তদন্ত করার দাবি জানিয়েছে মৃতের পরিবার। ঘটনায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে পরিবার সহ ওই এলাকায়।
এই ঘটনায় মৃতর বাবা সুশান্ত সাঁতরা জানান, ২০২০ সালে উচ্চমাধ্যমিক পাশ করে ২০২২ সালে বিহারের মুজাফফরপুরের রাজেন্দ্র প্রসাদ এগ্রিকালচার ইউনিভার্সিটিতে ভর্তি হয়। যার ফলে ইউনিভার্সিটিরই হোস্টেলে থাকত সুরম্য। তবে কোনওদিন ইউনিভার্সিটি থেকে কেউ ফোন করে কোনও খারাপ অভিযোগ করেনি। তিনি আরও বলেন, তবে চলতি মাসের ২৮ তারিখ রাতে ইউনিভার্সিটি থেকে একটি ফোন আসে। তখনই সুরম্য-র মৃত্যুর কথাটি জানানো হয় কলেজের পক্ষ থেকে।
মৃতর বাবার দাবি, এই খবর পাওয়ার পরেই তাঁরা তড়িঘড়ি বিহারের উদ্দেশ্যে রওনা হয়। ২৮ তারিখ ভোর চারটে নাগাদ তাঁরা বিহারে পৌঁছায়। তবে যেই হাসপাতালে সুরম্যকে রাখা হয়েছিল সেখানে পৌঁছনোর আগে ফোন করে তাঁদের পাটনা-কলকাতা রাজ্য সড়কের বক্তিয়ারপুরে আসতে বলে পুলিস। আর সেখানেই বাড়ির সদস্যদের হাতে দেহটি তুলে দেওয়া হয়। তিনি আরও দাবি করেন, সুরম্যর ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পুলিসের কাছে চাওয়া হলে পুলিস কোনওরকমেরই কাগজপত্র দিতে চায় না। শুধু একটি ছোটো কাগজে লেখা ছিল সুরম্যর ছাদ থেকে পড়ে মৃত্যু হয়েছে।