গলার নলি কাটা। ঝলসে গিয়েছে মুখ। কাকরোল ক্ষেতের মাঝে হাত-পা বাঁধা অবস্থায় পড়ে রয়েছে বছর কুড়ির এক তরুণী। দেহের পাশে চাপ চাপ রক্ত। শুকিয়ে তা জমাট বেধেছে। সাতসকালে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের (Indo-Bangladesh Border) গোবিন্দপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত গুনরাজপুর গ্রামে তরুণীর দেহ উদ্ধারের ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। ওই তরুণী বাংলাদেশি কিনা, তা নিয়েও ধন্দ রয়েছে। চাষিরা তড়িঘড়ি খবর দেয় স্বরূপনগর থানা পুলিসকে। দেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে পুলিস। যৌন নির্যাতন করা হয়েছে কিনা, তা নিয়েও প্রশ্ন রয়েছে।
পুলিস ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, সকালবেলা স্থানীয় চাষিরা ক্ষেতে কাজ করতে এসেছিলেন। তখন ক্ষেতের মধ্যে রক্তাক্ত অবস্থায় ওই তরুণীকে পড়ে থাকতে দেখেন তাঁরা। প্রত্যক্ষদর্শী এক মহিলা জানিয়েছেন, যুবতীর গলার নলি কাটা ছিল। তাঁর মুখও আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। মৃতদেহের পাশ থেকে একটি ব্যাগ, একটি ফেশওয়াশের বোতল, পেস্ট, লিপস্টিক পাওয়া গিয়েছে।
ওই তরুণী বাংলাদেশের বাসিন্দাও হতে পারেন বলে মনে করছেন তদন্তকারীরা। এখনও পর্যন্ত তরুণীর পরিচয় জানা যায়নি। তদন্তকারীরা মনে করছেন, প্রমাণ লোপাট করতেই মুখ পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। ঘটনাস্থলে স্বরূপনগর থানার পুলিস গিয়ে মৃতদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য বসিরহাট জেলা হাসপাতালের পুলিস মর্গে পাঠিয়েছে।