রাতের পর ফের সকালে প্রেসিডেন্সি জেলে (Presidency Jail) সিবিআই (CBI)। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার দ্বিতীয় দফার জিজ্ঞাসাবাদের মুখোমুখি প্রাক্তন পর্ষদ সভাপতি মানিক ভট্টাচার্য (Manik Bhattacharya)। পোস্টিং দুর্নীতি মামলায় মঙ্গলবার রাতে প্রায় আড়াই ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় মানিককে। ফের সকাল হতেই জেরা শুরু প্রাক্তন পর্ষদ সভাপতির।
জানা গিয়েছে, বুধবার সকাল ৯টা নাগাদ প্রেসিডেন্সি জেলে ঢোকেন তদন্তকারীরা। প্রেসিডেন্সির ভিতরে রয়েছে চার সদস্যের দল। কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশেই মানিককে জেরা করছে সিবিআই। এমনকী, তাঁকে নিজেদের হেফাজতে নিয়ে জেরার অনুমতি রয়েছে হাইকোর্টের তরফে। তবে সূত্রের খবর, জেল হেফাজতে থাকা মানিককে সিবিআই নিজের হেফাজতে নিয়ে জেরা করবে কি না, তা এখনও স্পষ্ট নয়।
প্রাথমিক শিক্ষকদের ‘পোস্টিং’ নিয়ে দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে । অভিযোগ ছিল, বেশ কয়েকজন প্রার্থীকে বলা হয়েছিল বীরভূম, হুগলিতে কোনও শূন্যপদ নেই। যাদের বাছাই করা হয়েছিল তাদের অন্যত্র পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছিল। ১৭ দিন পর জানা যায়, শেষ সুযোগ দেওয়া হচ্ছে ওই জেলায়। সেখানে চার জেলা মিলিয়ে ৪০০ প্রার্থীকে নেওয়া হয়। অভিযোগ তুলে এই সংক্রান্ত মামলাও দায়ের করা হয় কলকাতা হাইকোর্টে।
মঙ্গলবার সেই মামলারই শুনানি ছিল। সেখানে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের প্রশ্ন, এত তাড়াতাড়ি কীভাবে এতগুলি শূন্যপদ তৈরি হল? সেক্ষেত্রে তৎকালীন পর্ষদ সভাপতির যোগ রয়েছে বলেই মনে করছেন বিচারপতি। সেটাই খতিয়ে দেখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।