চোরের ওপর বাটপারি তো শুনেইছেন, কিন্তু এবার খোদ প্রশাসনের ওপর বাটপারি। বাংলায় মাকড়সার জালের মতো ছড়াচ্ছে সাইবার প্রতারণার ছক। প্রতি মুহূর্তে নিত্য নতুন কৌশল। এবার খোদ মহকুমা শাসকের নামে সমাজমাধ্যমে ফেক আইডি খুলে আর্থিক প্রতারণার জাল। প্রতারকদের কাণ্ডে হতবাক, আতঙ্কিত পশ্চিম মেদিনীপুরের ঘাটাল।
দেখতে হুবহু ঘাটাল মহকুমা শাসকের আসল আইডির মতো। ফেসবুক ছেড়ে প্রতারকরা ঢুকে পড়েছে হোয়াটস্অ্যাপের অন্দরমহলেও। অভিযোগ, মহকুমা শাসকের ফেক আইডি থেকেই অত্যন্ত কম দামে বিভিন্ন দ্রব্য বিক্রির মেসেজ যাচ্ছে। ফাঁদে পা দিলেই আগাম পেমেন্টের শর্ত রাখা হচ্ছে। মহকুমা শাসক ভেবে অনেকেই প্রতারকদের জালে জড়াচ্ছেন।
শুধু ঘাটালের মহকুমা শাসকই নয়, চলতি মাসেই একই অভিযোগ উঠে এসেছিল পুরুলিয়া থেকে। একই ধাঁচে পুরুলিয়া পুলিস সুপারের নামে ফেক অ্যাকাউন্ট খুলে প্রতারণা জাল ছড়ানোর অভিযোগে গ্রেফতার হয় ২ প্রতারক। প্রাথমিক তদন্তে অনুমান ছিল, রাজ্য ছাড়িয়ে প্রতারণার জাল ছড়াতে পারে মধ্যপ্রদেশ, রাজস্থানেও। শুধু প্রশাসনিক ব্যবস্থাই নয়, মানুষ সজাগ হোক, সাইবার সচেতন হোক। বার্তা অধিকর্তাদের।
কাজের ফাঁকে, আনমনে আঙুলটা চলেই যায় ফোনের স্ক্রিনে। সমাজমাধ্যমের হরেক রকম ডালা থেকে নজর ঘোরাতে পারে না ৮ থেকে ৮০। যন্ত্র নির্ভর, ভার্চুয়াল এই জীবনযাপনের সুযোগই নিচ্ছে প্রতারকের দল। ২ পা এগোনোর আগে সাইবার স্বাক্ষরতা প্রয়োজন।