
প্রসূন গুপ্ত: পৌর ভোটের মতোই পঞ্চায়েত ভোট রাজ্য নির্বাচন কমিশনের হাতে। কাজেই তিনি ভোটের দিন ঘোষণা করবেন। অবশ্য এ বিষয়ে অলিখিত আলোচনা থাকে রাজ্য সরকারের সঙ্গে। যতটুকু তৃণমূলের অন্দরের খবর তাতে হয়তো মে-র শেষে অথবা জুনের প্রথম দশ দিনের মধ্যে ভোটের দিনক্ষণ ঠিক হতে পারে। এই পঞ্চায়েত ভোট নিয়ে ইতিমধ্যে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিল বিজেপি। কিন্তু খুব একটা সুবিধা হয়নি। এখন প্রশ্ন হল, বিরোধী দল মনে করে যে ২০১৮-র মতো যদি ভোট হয় তবে তা প্রহসনে পরিণত হবে। সমবায় ভোটের মতো বিরোধীদের এককাট্টা করে ভোট যুদ্ধে নামার একটা চেষ্টা চলছে। কিন্তু এখানেও সুবিধা খুব একটা নেই।
সম্প্রতি বিধাননগরের পঞ্চায়েত ভোটের প্রস্তুতি নিয়ে একটি সভা হয়েছে। সেখানে রাজ্য বিজেপির পক্ষ থেকে সাংসদ দেবশ্রী চৌধুরী পরিষ্কার বার্তা দিয়েছিলেন, বিজেপি একাই প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে পঞ্চায়েত ভোটে। যদি 'বিশেষ' কেউ তৃণমূলের বিরুদ্ধে লড়তে চান তবে তাঁকে পদ্ম চিহ্নেই লড়তে হবে। বিজেপি কাউকে সরাসরি অথবা পরোক্ষ ভাবে সহযোগিতা করবে না। এই বৈঠকে কেন্দ্রীয় নেতা-সহ রাজ্য বিজেপির সভাপতি উপস্থিত ছিলেন। দেবশ্রীর পরিষ্কার বার্তা, যে বিধানসভার বিরোধী নেতাকে দিয়েছিলেন, তা স্পষ্ট।
অন্যদিকে শোনা গিয়েছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ পরিষ্কার বার্তা দিয়েছেন, মমতা আন্দোলন করে, সংগঠন করে ক্ষমতায় এসেছেন। কাজেই রাজ্য বিজেপির নেতারা যেন সংগঠনের দিকে জোর দেন। তিনি জানিয়েছেন এজেন্সি লাগিয়ে একটি দলকে চাপ দেওয়ার বিষয়কে তিনি সমর্থন করেন না। এখন তিনি শেষবার এসে সরাসরি কথা বলেন সুকান্ত মজুমদার এবং রাজ্যের বিরোধী দলনেতার সঙ্গে। কিন্তু সামনে নির্বাচন এখনও বিজেপির প্রস্তুতির চিত্র পরিষ্কার নয়। ফের অমিত এ রাজ্যে আসছেন ৯ মে, তা অবশ্য কবিগুরুর জন্মদিন উপলক্ষে। কাজেই ৯ মে নতুন কিছু বার্তা দেন কিনা সেটাই দেখার। তবে আগামী ২৮ এপ্রিল ভোটের দিনক্ষণ ঘোষণা হবে বলেই খবর।