তৃণমূল ছাত্র পরিষদ ও অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদের বা এবিভিপির (TMCP-ABVP Clash) সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ। এই ঘটনাকে ঘিরে উত্তেজনা ছড়ায় দূর্গাপুর (Durgapur) সরকারি মহাবিদ্যালয়ের সামনে। পরিস্থিতি শান্ত করতে ঘটনাস্থলে বিশাল পুলিস (police) বাহিনী। জানা গিয়েছে দু'পক্ষের সংঘর্ষে জখম (injured) বেশ কয়েকজন। দুই পক্ষকে শান্ত করতে পুলিসকে ধমক দিতেও দেখা গিয়েছে। স্লোগান পাল্টা স্লোগানে উত্তপ্ত দূর্গাপুর সরকারি মহাবিদ্যালয় চত্বর। অভিযোগ, ভাঙচুর করা হয়েছে এবিভিপির পতাকা লাগানো একটি টোটো (toto) গাড়িতে।
নিয়োগ দুর্নীতিতে শুধু প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় (Partha Chatterjee) নয়, আরও বড় রাঘব বোয়াল রয়েছে দুর্নীতির অন্তরালে। তাই সবাইকে গ্রেফতার করতে হবে, এই দাবিতে "চোর ধরো জেল ভরো" প্রতিবাদ কর্মসূচি নিয়েছিল বিজেপির ছাত্র শাখা অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদ।
দূর্গাপুরের গভর্নমেন্ট কলেজের সামনে থেকে শুরু হয় একটি পদযাত্রা। আর এই কর্মসূচিকে ঘিরে ধুন্ধুমার কাণ্ড ঘটে গেল কলেজের সামনে। অভিযোগ, তৃণমূল ছাত্র পরিষদের কর্মীরা বাঁধা দেয় এই মিছিল করতে। দু-এক কথা হতে হতে দু'পক্ষের মধ্যে হাতাহাতি শুরু হয়ে যায়। কলেজের সামনেই লাঠি, রড নিয়ে শুরু হয়ে যায় দু'পক্ষের সংঘর্ষ। ঘটনায় দু'পক্ষের বেশ কয়েকজন আহত হয়েছে। মাথা ফেটে গিয়েছে দুই এবিভিপি সমর্থকের। পাল্টা জখম হয়েছেন তৃণমূল ছাত্র পরিষদের দুই কর্মী। বলা চলে কার্যত কলেজ চত্বর হয়ে উঠেছিল রণক্ষেত্র।
এবিভিপির অভিযোগ,'টিএমসিপির সমর্থকরা পিছু ধাওয়া করে অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদের বাইক ৱ্যালিতে থাকা কর্মীদের। ফের উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে দূর্গাপুরের গভর্নমেন্ট কলেজ চত্বরে। ছুটে আসে আসানসোল দূর্গাপুর পুলিস কমিশনারেটের বিশাল বাহিনী। নামানো হয় কমব্যাট ফোর্সও। ছুটে আসেন আসানসোল দূর্গাপুর পুলিস কমিশনারেটের পদস্থ কর্তারা। আসানসোল দূর্গাপুর পুলিসের এসিপি (দূর্গাপুর জোন) তথাগত পাণ্ডের সঙ্গে বচসা শুরু হয়ে যায় তৃণমূল ছাত্র পরিষদ সমর্থকদের। কলেজের ভিতর ঢুকিয়ে দেওয়া হয় সাধারণ পড়ুয়াদের। এর মধ্যেই কোনওভাবে তৃণমূলের সন্ত্রাস মেনে নেওয়া যাবে না, এই দাবিতে কলেজ গেটের একটু দূরে বিক্ষোভ শুরু করে দেন এবিভিপি কর্মী-সমর্থকরা।
এরপর নিউটাউনশিপ থানার পুলিস পরিস্থিতি কোনওমতে সামাল দেয়। দোষীদের গ্রেফতারের দাবি জানায় এবিভিপি। অহেতুক অশান্তি তৈরি করছে তৃণমূল ছাত্র পরিষদ, অভিযোগ অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদ কর্মী সমর্থকদের। তাঁদের বেশ কয়েকজন কর্মীও দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি বলে জানান তাঁরা। তবে সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছে তৃণমূল ছাত্র পরিষদ নেতা শুভজ্যোতি মজুমদার।
তিনি বলেন, কলেজে পরীক্ষা চলছে মাইক বাজাতে বারণ করা হয়েছিল ওদের। কিন্তু বিনা কারণে প্রথম তাঁদেরকে আক্রমণ করা হয়। এতে বাড়ে অশান্তি। গোটা ঘটনায় টানটান উত্তেজনা ছিল কলেজ চত্বরে। বিশাল পুলিস বাহিনী এখনও মোতায়েন রয়েছে ঘটনাস্থলে।