
বৃহস্পতিবার নেতাজি ইনডোর স্টেডিয়ামে তৃণমূল কংগ্রেসের বুথস্তরের সভা। দলনেত্রীর আহ্বানেই এই জমায়েত। উপস্থিত থাকবেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ও। শোনা যাচ্ছে, দলের কাছে বিশেষ বার্তা থাকবে মমতা এবং অভিষেকের তরফে। মূলত পঞ্চায়েত নির্বাচনকে কেন্দ্র করেই এই সভা বলে খবর হলেও ২০২৪ এর লোকসভা নির্বাচনের ভাবনাও থাকছে এই সভায়। ২১ জুলাই বা ছাত্র সমাবেশের পরে ফের এই সভা। দলের বুথস্তরেরকর্মীদের জন্য খোলা এবং প্রকাশ্যে। উপস্থিত থাকার কথা সর্বস্তরের নেত-মন্ত্রীদের। কাজেই বলে ফেলা যায় হয়তো বা উপস্থিত থাকতে পারেন জহর সরকার কিংবা ইদানিং খানিক বেসুরো হওয়া তাপস রায়। হিসাব মতো জেলার নানা দায়িত্বে থাকা নেতাদের উপস্থিত থাকতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
প্রশ্ন তাপস রায় কি কোনও বিষয়ে হতাশ দলের উপর। তাপস দীর্ঘদিনের রাজনৈতিক কর্মী। প্রথমে ছাত্র পরিষদের সভাপতি হয়েছিলেন। ঘোরতর সিপিএম বিরোধী চরিত্র। তাপস প্রথমে সোমেন মিত্রের ঘনিষ্ঠ ছিলেন পরে তৃণমূল কংগ্রেস গঠিত হওয়ার পরে যোগ দেন ২০০০-এ। মমতা পরের বছর তাঁকে তৎকালীন বড়বাজার কেন্দ্র থেকে প্রার্থী করেন, তাপস জিতেও আসেন। এই ছিল আদি ইতিহাস। ২০১১-তে তৃণমূল ক্ষমতায় আসার সময়ে থেকে তিনি বরানগরের বিধায়ক।
তাপস সেবার মন্ত্রী হননি। ১৬-র ভোট জিতে আসার অনেকদিন বাদে প্রতিমন্ত্রী হয়েছিলেন। কিন্তু এবার ২১-এর ভোটের পর ফের দায়িত্ব নেই তাপসের। গত বছর থেকে একবার উত্তর কলকাতার জেলা সভাপতি হয়েছিলেন বটে কিন্তু সম্প্রতি সেই দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়কে। তাপস আপাতত বিধানসভার ডেপুটি চিফ হুইপ (এর আগে এমন কোনও পদ ছিল না)। কাজেই তাপস হয়তো ভেবেছিলেন সাম্প্রতিক মন্ত্রিসভার পরিবর্তনে তাঁর দায়িত্ব আসতে পারে, আসেনি। এরপর থেকে লক্ষ্য করা গিয়েছে, তাপস নাকি খানিক বিষন্ন। হয়তো বা সে কারণেই অবসর নেওয়ার কথা ভেবেছেন। দেখার বিষয় বৃহস্পতিবার দলের বৈঠকে তাঁর ভূমিকা।