২০২৪-র লোকসভা ভোটের আগে জাতীয় রাজনীতিতে বিজেপি-বিরোধী ফ্রন্টে বড়সড় ধাক্কা। জাতীয় দলের মর্যাদা হারালো তৃণমূল কংগ্রেস। ফলে জাতীয় ফ্রন্টে মোদী বিরোধিতার নিরিখে কিছুটা ব্যাকফুটে তৃণমূলের নেতৃত্ব দানের ক্ষমতা। তবে শুধু তৃণমূল নয়, জাতীয় দলের মর্যাদা হারিয়েছে সিপিআই, এনসিপির মতো দলগুলো। পাশাপাশি দিল্লির পর পঞ্জাবে ক্ষমতায় এসে এবং গুজরাতে ভোট শতাংশ বাড়িয়ে জাতীয় দলের মর্যাদা পেয়েছে আম আদমি পার্টি বা আপ।
তৃণমূল বিরোধী শিবিরের প্রশ্ন, এবার তাহলে অল ইন্ডিয়া তৃণমূল কংগ্রেস নামের গ্রহণযোগ্যতা কী? মূলত গোয়া, ত্রিপুরা, মেঘালয়-সহ একাধিক রাজ্যের বিধানসভা ভোটে লড়েও ফল আশানুরূপ নয় ঘাসফুল শিবিরের। সেই ফলের প্রতিফলন জাতীয় নির্বাচন কমিশনের এই সিদ্ধান্তে। এমনটাই জানাচ্ছেন ভোট বিশেষজ্ঞরা। জাতীয় দলের মর্যাদা হারানো প্রসঙ্গে তৃণমূল নেতা জয়প্রকাশ মজুমদার জানান, 'তৃণমূল কংগ্রেস যেখানে শক্তিশালী সেখানে জিতবে। বাংলায় ৪২টি লোকসভা আসনের মধ্যে ৪০টি জিতবে। এ ধরনের সিদ্ধান্ত গ্রহণে জাতীয় নির্বাচন কমিশনের কিছু মাপকাঠি রয়েছে। তবে নির্বাচন কমিশনের ভূমিকা সন্দেহের ঊর্ধ্বে নয়। এমন পর্যবেক্ষণ সুপ্রিম কোর্টের। কমিশন কি কেন্দ্রের শাসক দলের অঙ্গুলিহেলনে কাজ করছে?'
যদিও বিজেপি সাংসদ দিলীপ ঘোষের কটাক্ষ, 'তৃণমূলের এখন শ্যাম রাখি না, কূল রাখি অবস্থা। গোয়া, ত্রিপুরায় ভোট লড়তে গিয়েছিল, তাতে কাজের কাজ কিছুই হয়নি। এখন শুধু তৃণমূল কংগ্রেস।'