সাঁইথিয়ার (Saithia Incident) পর এবার কেশপুর। তৃণমূলের (TMC) 'গোষ্ঠী কোন্দলে' রক্তপাত কেশপুরের (Keshpur) চড়কা গ্রামে। শাসক দলের 'গোষ্ঠী কোন্দলে' বোমাবাজি (Bomb Hurled), হাত উড়লো এক তৃণমূল কর্মীর। গুরুতর জখম ওই তৃণমূল কর্মীকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। অভিযোগ, বুধবার দুপুরে কেশপুরে পঞ্চায়েত নির্বাচনের (Panchayat Vote) প্রস্তুতিকে সামনে রেখে এলাকায় একটি মিছিলের ডাক দেওয়া হয়েছিল। চড়কা গ্রামে তারই প্রস্তুতি সারছিলেন স্থানীয় তৃণমূল কর্মীরা। সেই সময় হঠাৎই তৃণমূল কর্মীদের লক্ষ্য করেই বোমাবাজি করে অপর গোষ্ঠীর লোকেরা। এমন অভিযোগ সংবাদ মাধ্যমকে করেছেন এক স্থানীয় তৃণমূল কর্মী। বোমার আঘাতে জখম হন এক তৃণমূল কর্মী। ঘটনা ঘিরে এলাকায় আতঙ্ক, উত্তেজনা নিয়ন্ত্রণে রাখতে এলাকায় বিশাল পুলিস বাহিনী।
এই ঘটনা প্রসঙ্গে তৃণমূলের এক কর্মী জানান, সামনে থেকে প্রাণের বাজি নিয়ে আমরা দলকে ভোট লড়তে সাহায্য করি। জিতিয়েও আনি দলীয় প্রার্থীদের। কিন্তু পেশায় প্রমোটার একজন সভাপতি হতে চেয়ে এই কাণ্ড ঘটিয়েছে। যার সঙ্গে দল কিংবা সংগঠনের কোনও যোগ নেই। কিন্তু সে নিজেকে তৃণমূল বলে দাবি করে। সে হঠাৎ করে হুমকি দেওয়া শুরু করে তৃণমূলের থিওরি আমি জানি। এই দলে পয়সা দিলে সভাপতি পদ পাওয়া যায়, সেই পয়সা আমি দিয়ে দিয়েছি। এটা আদতেই গোষ্ঠী কোন্দল। এই কোন্দলের পিছনে স্থানীয় বিধায়ক এবং ব্লক সভাপতির ইন্ধন রয়েছে। আমাদের গ্রামের ঐতিহ্য আছে, কোনও গোষ্ঠীবাজি বরদাস্ত নয়, যা হবে একসঙ্গে লড়াই।
তাঁর মন্তব্য, 'যখন কেউ নেই আশপাশে সবাই বিজেপি, তখন আমরা জীবনের বাজি রেখে তৃণমূল প্রার্থীকে জিতিয়ে এনেছি। ভোট পেরোতেই আমাদের ভুলে গিয়েছে।' যদিও গোষ্ঠী কোন্দলের তত্ত্ব মানতে নারাজ তৃণমূল নেতা তথা বিধায়ক অজিত মাইতি। তিনি বলেন,'বোমার আঘাতে একজনের আঙুল উড়েছে। পুলিস এই ঘটনার তদন্ত করেছে। পুলিস ঘটনাস্থলেও আছে। তবে আমি নিশ্চিত এই ঘটনার পিছনে সিপিএম-র চক্রান্ত এবং বিজেপির উসকানি আছে। ওরা চাইছে তলে তলে কেশপুরকে অশান্ত করতে। এখানে যা আছে ন্যূনতম মনোমালিন্য। সেটা আমরা বসে ঠিক করে নেব। এই ধরনের ঘটনা নেতৃত্ব আগামি দিনে ঘটতে দেবে না, এটা নিশ্চিত করে বলতে পারি।'
স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্বের অভিযোগ, 'তোলাবাজি নিয়ে তৃণমূলের এই গণ্ডগোল। যারা এখানে প্রথম থেকেই তৃণমূল করেছে তাঁরা এখানে পাত্তা পায় না। এখন যারা বেশি তোলা দিতে পারছে তাঁরাই প্রাধান্য পাচ্ছে। কিন্তু নিজেদের হাতের বাইরে নিয়ন্ত্রণ চলে যাওয়ায় এখন বিজেপিকে দোষারোপ করেছে। মানুষই তৃণমূলের কেশপুরকে শেষপুর বানানোর চক্রান্ত রুখে দেবে।'