
প্রসূন গুপ্ত: অমিত শাহ দুদিনের সফরে এসে একটাই জনসভা করেছেন, সেটা অনুব্রত-হীন বীরভূমে। শাহী ভাষণ শুনে কংগ্রেস-সিপিএম নিজেদের সামাজিক মাধ্যমে দাবি করছেন, কী এমন ভাষণ দিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। যা যা বললেন তাতে নাকি আখেরে সুবিধা হবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তথা শাসক দল তৃণমূলের। অথচ শোনা গিয়েছে যথেষ্ট আক্রমণাত্মক এবং চাঁচাছোলা বক্তব্য রেখেছেন অমিত শাহ। একাধিক ইস্যুতে তুলোধোনা করেছেন তৃণমূলকে। রাজ্যজুড়ে প্রসাশনিক অব্যবস্থার জন্য দায়ী করেছেন 'দিদি'-কে। তিনি বলেছেন, 'আগামীতে মমতার পর তাঁর ভাতিজা মুখ্যমন্ত্রী হতে পারবেন না, কারণ ক্ষমতায় আসবে বিজেপি।' বারবার ভাষণে আক্রমণ করেছেন 'পিসি-ভাইপোকে।' তবে কেন নেতিবাচক ভাবছে বাম-কংগ্রেস জোট?
জোট প্রতিনিধিরা বলছেন, লক্ষ্য করলেই বোঝা যাবে এমন ভাষণ তিনি হিসাব করে দিয়েছেন যাতে লাভ হবে মমতার। সম্প্রতি সাগরদিঘির নির্বাচনে তৃণমূলকে হারিয়ে আসন দখল করেছে বাম-কংগ্রেস জোট। মুর্শিদাবাদের এই বিধানসভা মুসলিম প্রধান। কাজেই এ রাজ্যের ৩২% মুসলিম ভোট ভাগাভাগি হলে আখেরে লাভ বিজেপির। কিন্তু বিজেপি তৃতীয় স্থানে চলে গিয়েছে। হিন্দু ও মুসলিম ভোটের বেশিটাই গিয়েছে কংগ্রেসে, ধারণা জোটের। এটা যদি সারা রাজ্যের চিত্র হয়, তবে নাকি বিজেপি-তৃণমূল আগামীতে ক্ষয়িষ্ণু হয়ে যাবে।
জোটের লোকেরা বলছে, মুসলিম ভোটে ফের যাতে তৃণমূলের বাক্সে আসে তার কারণে অমিতের বক্তব্যের কিছু অংশকে তারা তুলে ধরছে।
১) যেমন অনুপ্রবেশকারীদের তাড়াতে হবে
২) রাম নবমীর মিছিলে যারা হামলা করেছে তাদের চিহ্নিত করতে হবে
এই তিনটি লাইন কাদের উদ্দেশে বলার অপেক্ষা থাকছে কি? দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর এই বক্তব্যে কারা ভয় পাবে? শঙ্কিত হয়ে ঠিক কাকে ভরসা করে ভোট দেবে সেই অংশ? এই প্রশ্নের উত্তরগুলো সহজ ভাষায় দিয়েছে বাম-কংগ্রেস জোটের কারবারীরা।