প্রবল বর্ষণ (Heavy Rain) এবং হড়পা বানে (Flash Flood) ইতিমধ্যেই বিপর্যস্ত জম্মু-কাশ্মীরের কাটরা, যার জেরে বন্ধ করে দিতে হয়েছে বৈষ্ণোদেবী যাত্রা। এবার ভয়াবহ বিপর্যয়ের খবর মিলল হিমাচল প্রদেশে (Himachal Pradesh)। সেখানে একইসঙ্গে বৃষ্টি, হড়পা বান এবং ধসের জেরে ৬ জনের মৃত্যু (Death) হয়েছে। আরও ১৩ জনের মৃত্যুর আশঙ্কা করা হচ্ছে বলে প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে। হরিমপুর জেলায় হড়পা বানে ২২ জন আটকে পড়েছিলেন। তাঁদের অবশ্য উদ্ধার (Rescue) করা সম্ভব হয়েছে।
মর্মান্তিক মৃত্যুর ঘটনায় দুঃখপ্রকাশ করে বিবৃতি দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী জয়রাম ঠাকুর। তিনি জানিয়েছেন, ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলিতে জোরকদমে উদ্ধারকার্য চালানো হচ্ছে।
প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃতদের মধ্যে তিনজন চম্বা জেলার। সেখানে হঠাত্ করে ধস (Landslide) নামায় বেশ কিছু বাড়ি মাটিতে মিশে যায়। তারই একটি বাড়ি চাপা পড়ে তিনজনের মৃত্যু হয়। ধসের সঙ্গে প্রবল বৃষ্টি হতে থাকায় পরিস্থিতি আরও খারাপ হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে শনিবার ভোর সাড়ে ৪ টে নাগাদ। অনেকেই তখন গভীর ঘুমে আচ্ছন্ন। তার মাঝেই এই বিপর্যয়। ফলে কেউই নিজেদের জীবন রক্ষা করার সুযোগটুকু পাননি। দ্বিতীয় ঘটনাটি ঘটেছে মান্ডিতে। সেখানে ভূমিধস, হড়পা বান এবং প্রবল বৃষ্টিতে একটি মেয়ের মৃত্যু হয়। কিন্তু আরও ১৩ জনের হদিশ নেই। তাদের মৃত্যু হয়েছে বলেই আশঙ্কা করা হচ্ছে।
স্টেট ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট দফতর সূত্রে খবর, শুক্রবার রাতে বাড়ি থেকে অন্তত আধ কিলোমিটার দূরে ওই মেয়েটির দেহ খুঁজে পাওয়া যায়। কিন্তু তারই পরিবারের আরও পাঁচজনের কোনও খোঁজ নেই। তাদের সম্ভবত ভাসিয়ে বহু দূরে কোথাও নিয়ে গিয়ে ফেলা হয়েছে। আতঙ্কে বহু মানুষ নিজেদের বাড়ি ছেড়ে নিরাপদ জায়গায় আশ্রয় নিয়েছেন।
গোহার ব্লকের কাষান গ্রামে ধসের জেরে চাপা পড়ে আরও ৮ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে আশঙ্কা। মাটি সরানোর পরই প্রকৃত পরিস্থিতি বোঝা যাবে বলে প্রশাসন সূত্রে খবর।
একের পর এক ধস এবং হড়পা বানের ফলে একাধিক রাস্তা যান চলাচলের অনুপযুক্ত হয়ে পড়েছে। অজস্র গাড়িও ধসে ক্ষতিগ্রস্ত। বহু মানুষ কার্যত গৃহবন্দি। ছুটি দিয়ে দেওয়া হয়েছে স্কুলগুলিতেও।