আজ রামনবমী। প্রতি বছরের তুলনায় এবছরের রামনবমী যেন একটু অন্য়রকম। কারণ চলতি বছরে জানুয়ারি মাসে অযোধ্য়ায় রামমন্দিরের রামলালার প্রাণ প্রতিষ্ঠা হয়। তারপর প্রথম রামনবমী উৎসব। সেই উপলক্ষ্য়ে সাজসজ্জায় সেজে উঠেছে রামমন্দির। হলুদ পোশাকে সাজানো হয়েছে রামলালাকে। বুধবার সকাল থেকেই নেমেছে ভক্তদের ঢল। ইতিমধ্যেই রীতিনীতি মেনে সম্পন্ন হয়েছে রামলালার দিব্য় অভিষেক।
বুধবার দুপুর ১২টার একটু আগে মন্দিরের উপরের তলায় ইনস্টল করা একটি আয়নায় সূর্যের আলো পড়লে তা ঠিক ৯০ ডিগ্রিতে একটি পাইপের মাধ্যমে প্রতিফলিত হয়ে এসে রামলালার কপালে এসে পড়বে। নলের অন্য প্রান্তে থাকা দ্বিতীয় আয়না ব্যবহার করে সূর্যের রশ্মিকে আবার প্রতিফলিত করানো হয়। এরপরে এটি পিতলের নলের সাহায্যে আবার ৯০ ডিগ্রিতে প্রতিফলিত করানো হয়। শ্রী রামচন্দ্র সূর্যবংশে জন্ম নেন। পরবর্তীকালে রাজা রঘুর নামানুসারে রঘুবংশ নামেও পরিচিত ছিলেন দশরথের বংশধরেররা। আর সেই কারণেই রামনবমীতে রামলালার কপালে বিশেষ সূর্য তিলক।
রামনবমী উপলক্ষ্য়ে বুধবার ভোররাত ৩ টের সময় ভক্তদের জন্য় রামমন্দিরের দরজা খুলে দেওয়া হয়েছে। এদিন রাত ১২ টা পর্যন্ত রামলালা দর্শন করতে পারবেন ভক্তরা। রাম নবমীর বিশেষ পুজোর জন্য ৫৬ ধরনের ভোগ প্রস্তুত করা হয়েছে। রামলালাকে এই বিশেষ নৈবেদ্য দেওয়া হবে। পূজা সম্পন্ন হওয়ার পর এই নৈবেদ্যও ভক্তদের দেওয়া হবে।
বেঙ্গালুরু ক্যাফে বিস্ফোরণকাণ্ডে এনআইএ-এর হাতে গ্রেফতার দুই অভিযুক্ত। পূর্ব মেদিনীপুরের কাঁথি থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে তাদের। জানা গিয়েছে, ক্যাফে বিস্ফোরণকাণ্ডে ধৃত মুসাভির হোসেন শাজিব এবং আব্দুল মাথিন তাহা ভুয়ো পরিচয় নিয়ে দীঘায় আত্মগোপন করেছিল। ক্যাফের নিরাপত্তারক্ষাকারী জানান, মালিক গোটা বিষয়টি জানেন। সিসিটিভি ফুটেজও রয়েছে। যদিও এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত কোনও তথ্য় পাওয়া যায়নি ওই দুই অভিযুক্তের কাছ থেকে।
সূত্রের খবর, ধৃত আব্দুল মাথিন তাহা এবং মুসাভির হোসেন শাজিব দুই অভিযুক্ত ঊষা শাহানুর এবং আনমোল কুলকার্নি নামে আত্মগোপন করেছিল দীঘার একটি হোটেলে। সেখানে থেকে দার্জিলিংয়ে গিয়ে পর্যটক পরিচয়ে আত্মগোপন করেছিল তারা। এরপর দার্জিলিং থেকে কলকাতায় এসে গা ঢাকা দিয়েছিল। কলকাতার লেনিন সরণীর একটি হোটেলে উঠেছিল। কলকাতা থেকে পূর্ব মেদিনীপুরের কাঁথিতে আত্মগোপন করছিল। এমনকি ভিন্ন নাম দিয়ে ভুয়ো আধারকার্ড বানিয়েছিলেন তারা।
এরপর পূর্ব মেদিনীপুরের কাঁথি থেকে জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা (এনআইএ)-র হাতে গ্রেফতার হয় ওই দুই জঙ্গি। হোটেল কর্তৃপক্ষের দাবি, সবরকম নিয়ম তাঁরা মেনেই চলেন। তারপরেও কীভাবে এই দুই জঙ্গি এখানে এসে থাকল সে নিয়ে উঠছে প্রশ্ন।
আবগারি নীতি মামলায় অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে অপসারণের আবেদন খারিজ করে দিল দিল্লি হাইকোর্ট। এর আগেও অবশ্য এইরকম আরেকটি আবেদন প্রত্যাখ্যান করেছিল দিল্লি হাইকোর্ট। আদালত এদিন বলেছে, এব্যাপারে পদক্ষেপ নেওয়ার এক্তিয়ার রয়েছে লেফটেন্যান্ট গভফর্নর এবং রাষ্ট্রপতির। এই অবস্থায় আদালত এব্যাপারে আদেশ দিতে পারে না বলে জানিয়েছে দিল্লি হাইকোর্ট।
তবে আদালত এব্যাপারে গুরুত্বপূর্ণ মন্তব্য করেছে। তারা বলেছে, কখনও কখনও ব্যক্তি স্বার্থের থেকে জাতীয় স্বার্থ বড়। তবে এই সিদ্ধান্ত অর্থাৎ মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে তিনি কাজ চালিয়ে যাবেন কিনা, তা নিয়ে সিদ্ধান্ত নিতে হবে কেজরিওয়ালকে। দিল্লি হাইকোর্টে এই আবেদনটি দাখিল করেছিলেন সমাজকর্মী ও হিন্দু সেনার জাতীয় সভাপতি বিষ্ণু গুপ্তা। তিনি আবেদনটি প্রত্যাহার করে বিষয়টি লেফটেন্যান্ট গভর্নররের সামনে বিষয়টি রাখবেন বলে জানিয়েছেন।
দিল্লি হাইকোর্ট এর আগে কেজরিওয়ালকে মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে অপসারণ করতে একটি জনস্বার্থ মামলা খারিজ করে দিয়েছিল। এই জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেছিলেন সুরজিৎ সিং যাদব নামে এক ব্যক্তি। এই সপ্তাহের শুরুতে সুপ্রিম কোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি অজয় রাস্তোগি বলেছিলেন, মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে কেজরিওয়ালের পদত্যাগ করা উচিত। কারণ তিনি উঁচু পদে রয়েছেন। তিনি যদি হেফাজতে থাকেন, তাহলে হেফাজতে থাকা ব্যক্তির পক্ষে অফিস চালিয়ে যাওয়া ভাল নয়। এব্যাপারে প্রাক্তন বিচারপতি অজয় রাস্তোগি লালু যাদব এবং হেমন্ত সোরেনের কথা উল্লেখ করেছিলেন। তিনি বলেছিলেন, হেফাজতে থাকায়, মুখ্যমন্ত্রীর কাছে কোনও কাগজ নিয়ে যাওয়া যাবে না। তাঁকে দিয়ে স্বাক্ষর করানোও যাবে না।
প্রসঙ্গত, গত ২১ এপ্রিল ইডি গ্রেফতার করে অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে। সম্প্রতি, আদালত তাঁকে ১৫ এপ্রিল পর্যন্ত বিচার বিভাগীয় হেফাজতে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছে। ইডির অভিযোগ, দিল্লি আবগারি নীতিতে ব্যাপক অনিয়ম হয়েছিল।
প্রসূন গুপ্তঃ ২০২৪-এর লোকসভা ভোটটি খুবই তাৎপর্যপূর্ণ। নরেন্দ্র মোদীর স্লোগান, ইস বার ৪০০ পার। চাট্টিখানি ব্যাপার নয়, ৫৪৩ আসন বিশিষ্ট লোকসভা একক শক্তিতে ৪০০ পার একবারই হয়েছিল। ১৯৮৪/৮৫ তে রাজীব গান্ধীর নেতৃত্বে। এছাড়া ৩৫০ পার করেছেন জওহরলাল নেহেরু এবং ইন্দিরা গান্ধী। এখনও পর্যন্ত সেরা ফল নরেন্দ্র মোদীর ৩০৩, যা কিনা গত লোকসভায় আসন পেয়েছিলেন। প্রথমত নেহেরু, ইন্দিরা বা রাজীব পেরেছিলেন কারণ সারা ভারতে কংগ্রেসের ভোটার ছিল এবং যস্মিন রাজ্যে যদাচার ফর্মুলাতে এই জয় পেয়েছিলেন তাঁরা। পক্ষান্তরে মূলত হিন্দি এবং পশ্চিমী সংস্কৃতিতে অভ্যস্ত বিজেপি কিন্তু দক্ষিণে কর্ণাটক ছাড়া কোথাও সংগঠন করতেই পারেনি। বলতে গেলে পূর্ব ভারতেও কিন্তু একক শক্তি একমাত্র অসম ও ত্রিপুরা ছাড়া কোথায়? আজ অবধি বিহারেও একক শক্তি গড়ে তুলতে পারেনি কেন্দ্রীয় বিজেপি।
দেখা গিয়েছে, ২০১৯-এ রাজস্থান, গুজরাত, হরিয়ানা, দিল্লি, মধ্যপ্রদেশ, ছত্রিশগড়, ঝাড়খন্ড, কর্ণাটক এবং ঝাড়খণ্ডে বিজেপি ধূলিস্যাৎ করে দিয়েছিল বিরোধীদের। কোথাও শূন্য কোথাও একটি বা দুটি আসনের বেশি বিরোধীদের বাক্সে আসেনি কিছুই। এছাড়া উত্তরপ্রদেশে ৮০ তে ৬২+, এনডিএ ৪ , বিহারে জোট নিয়ে ৪০ এ ৩৯ এবং মহারাষ্ট্রে গোটা পাঁচেক আসন ছাড়া ৪৩ টি আসন জয় করেছিল বিজেপি এবং তাদের ভীষণ কাছের জোট। এখানেই এবং অসম, ত্রিপুরা, উড়িষ্যা ইত্যাদি রাজ্য ধরে সব মিলিয়ে ২৫০টির বেশি আসন পেয়েছিলো বিজেপি+ জোট। পরে দক্ষিণ ভারত-পূর্ব ভারত, পশ্চিমবঙ্গ ইত্যাদি নিয়ে বিজেপি একা ৩০৩ এবং জোট সহ ৩৫০-র উপর আসন পেয়েছিলো। স্বাভাবিক ভাবেই বিজেপির সেরা ফল বলেই গণ্য করেছে বিশেষজ্ঞ মহল।
এবারে তার থেকে বেশি আসনের জায়গা কোথায়? অন্দরের খবর মহারাষ্ট্র, বিহার, ঝাড়খন্ড, কর্ণাটক, দিল্লি এবং হারিয়ানাতে আসন কমছে বিজেপির। উত্তরপ্রদেশ দাঁড়িয়ে আছে যোগী আদিত্যনাথের জনপ্রিয়তার উপর। কাজেই কোথাও মোদীর জনপ্রিয়তাকে ফের তুলে ধরে একক সংখ্যাগরিষ্টতা ধরে রাখতে মরিয়া বিজেপি। তাই যে ভাবেই হোক পশ্চিমবঙ্গের ২৫/২৬ আসন টার্গেট করেছে বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। কাজটি কিন্তু বেশ জটিল।
১২ দিনে সাড়ে ৪ কেজি ওজন কমেছে অরবিন্দ কেজরিওয়ালের। সাড়ে ৬৯ কেজি থেকে এখন তাঁর ওজন ৬৫ কেজি, এই দাবি করেন দিল্লির শিক্ষামন্ত্রী আতীশি মারলেনা। ডায়বেটিক এক রোগীর জন্য এত কম সময়ে এতটা ওজন কমা, শরীরে নানা জটিলতা আনতে পারে। এভাবেই দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীর শারীরিক জটিলতার সম্ভাবনায় আশঙ্কা প্রকাশ আতীশির। কটাক্ষের সুরে তাঁর মন্তব্য, মিথ্যা মামলা দিয়ে অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে জেলে ঢুকিয়েছে বিজেপি। ক্রমেই তাঁর শারীরিক সংকট তৈরি হচ্ছে, অভিযোগ আতীশির।
যদিও তিহাড় জেল কর্তৃপক্ষ আতীশির দাবি নস্যাৎ করে জানিয়েছে অরবিন্দ কেজরিওয়ালের সেরকম কোনও শারীরিক সমস্যা নেই। ওকে যখন তিহাড়ে নিয়ে আসা হয়েছিল, তখনই দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীর ওজন ছিল ৬৫ কেজি, যা এখন একই আছে। পয়লা এপ্রিল তাঁর শারীরিক পরীক্ষা হয়েছে সব স্বাভাবিক রয়েছে। কোর্ট নির্দেশে বাড়ির খাবার খেতে পারছেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী। এভাবেই আপের তোলা অভিযোগ খারিজ করেছে তিহাড় জেল কর্তৃপক্ষ। আতীশি যখন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীর স্বাস্থ্য নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করছেন, তখন তাঁর কাছে পৌঁছল আইনি নোটিশ। বিজেপির মুখপাত্র প্রবীণ কাপুরের আইনজীবী এই আইনি নোটিশ পাঠান। আতীশির বিরুদ্ধে মিথ্যা এবং সাজানো বিবৃতি দিয়ে ভাবমূর্তি নষ্টের অভিযোগ তোলা হয়েছে আইনি নোটিশে।
আবগারি দুর্নীতি মামলায় ইডির হাতে গ্রেফতার অরবিন্দ কেজরিওয়াল। দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীর ঠাঁই হয়েছে তিহাড় জেলে। গরুপাচারকারী মামলায় ধৃত অনুব্রত মণ্ডলও রয়েছেন এই একই জেলে।
তিহাড় জেলে সোমবার বিকেলেই নিয়ে যাওয়া হয়েছে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীকে। জানা গিয়েছে, তিহাড় জেলের ২ নম্বর সেলে রয়েছেন তিনি। তার আগে গোটা সেল স্যানিটাইজ করিয়েছেন জেল সুপার। সেই সঙ্গে নিরাপত্তা নিয়েও জরুরি বৈঠক করেছেন জেল কর্তৃপক্ষ।
তিহা়ড় জেলে প্রথম রাত কাটালেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী। মশার নেট দিয়ে ঢেকে দেওয়া হয়েছে লোহার গারদ। জেল সূত্রে খবর, সকালে ঘুম থেকে উঠে প্রথমেই মেডিটেশন করেছেন কেজরিওয়াল। তার পর নিয়ম মাফিক যোগাভ্যাস। সকাল ৬টা ৪০ মিনিট নাগাদ তাঁকে ব্রেকফাস্ট দেওয়া হয়। ব্রেকফাস্টে দেওয়া হয়েছিল রুটি এবং চা। সেটি খেয়েছেন তিনি। তারপরে দুপুর বারোটায় তাঁকে মধ্যাহ্নভোজ দেওয়া হয়। তারপরে বিকেল ৩টের মধ্যে সব বন্দিদের নিজের নিজের সেলে ফিরতে হয়।
তারপরে বিকেল সাড়ে পাঁচটায় সব বন্দিদের রাতের খাবার পরিবেশন করা হয়। সন্ধে সাতটার মধ্যে যে যার নিজের সেলে চলে আসেন। তবে তিনি যদি যান অন্যান্য কয়েদিদের মতো টেলিভিশন দেখতে পারেন। ভোর ৫টা থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত সব বন্দিদের জন্যই জেলে টেলিভিশন দেখার বন্দোবস্ত রয়েছে। কেজরিওয়াল ছাড়াও আবগারি দুর্নীতি মামলায় আম আদমি পার্টির আরও তিন নেতা জেলে রয়েছেন। সত্যেন্দ্র জৈন, মণীশ সিং এবং মণীশ সিসোদিয়া।
জেল থেকে মুক্তি পেলেন না দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে। ইডি হেফাজতে অবশ্য থাকছেন না তিনি। আবগারি দুর্নীতি মামলায় তাঁকে ১৫ দিনের জেল হেফাজতে পাঠাল দিল্লির আদালত। জানা গিয়েছে, আপ সুপ্রিমোকে নিজেদের হেফাজতে রাখতে চায়নি কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাটি।
দিল্লির তিহাড় জেলে রাখা হবে অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে। আজ, সোমবারই তাঁকে সেখানে নিয়ে যাওয়া হবে বলে জানানো হয়েছে। জেলে কেজরিওয়াল তিনটি বই নিয়ে যাওয়ার জন্য অনুমতি চেয়েছেন। ভগবত গীতা, রামায়ণ এবং নিরজ চৌধুরীর লেখা How PM Decides।
কেজরিওয়ালের গ্রেফতারির প্রতিবাদে গতকাল ইন্ডিয়া জোট দিল্লিতে বিশাল সভা করেছে। সেই সভায় উপস্থিত ছিলেন কেজরিওয়ালের স্ত্রী এবং হেমন্ত সোরেনের স্ত্রী। কেজরিওয়ালের স্ত্রী দাবি করেছেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী সিংহ। তিনি সঠিক সময়ে বেরিয়ে এসে কাজ করবেন। তাঁকে আটকে রাখতে পারবে না মোদী সরকার। আবগারি দুর্নীতি মামলায় কেজরিওয়ালকে আদালতে কিংপিন বলে দাবি করেছে ইডি। ৯ বার ইডির সমন এড়ানোর পর কেজরিওয়ালকে গ্রেফতার করে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। ভোটের আগে কেজরিওয়ালের গ্রেফতারি রাজনৈতিক উদ্দেশ্য প্রণোদিত বলে দাবি করেছেন বিরোধীরা। এক যোগে সব রাজনৈতিক দল কেজরিওয়ালের গ্রেফতারির প্রতিবাদ জানিয়েছিলেন।
লোকসভা ভোটের আগে উত্তেজনা যোগী রাজ্যে। হঠাৎ করেই জেলের মধ্যে হার্ট অ্যাটাক গ্যাংস্টার নেতা মুক্তার আনসারির। তড়িঘড়ি তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু শেষ রক্ষা হয়নি। হাসপাতালের চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে জানান। যদিও জেলের এই দাবি মানতে নারাজ তাঁর পরিবার। পরিবারের লোকেরা দাবি করেছেন, তাঁকে বিষ দিয়ে হত্যা করা হয়েছে। মুখতারের ভাই আফজল আনসারির অভিযোগ, এক বার নয়, একাধিকবার স্লো পয়জন দেওয়া হয়েছে তাঁর দাদাকে।
উত্তর প্রদেশের বান্দার জেলে বন্দি ছিলেন তিনি। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় আচমকাই বুকে ব্যথা অনুভব করেন তিনি। বিকেলের খাওয়া শেষের পর থেকেই তিনি বমি করতে থাকেন। প্রাথমিক ভাবে চিকিৎসকরা জেলের ভিতরেই চিকিৎসা শুরু করেন। তারপর রাত ৮টা ২৫ মিনিট নাগাদ জেলের অ্যাম্বুলান্সে করে তাঁকে অচৈতন্য অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। তারপরে আর জ্ঞান ফেরেনি গ্যাংস্টার নেতার। মৃত্যু হয় তাঁর।
উত্তর প্রদেশের মৌ বিধানসভা এলাকার বিধায়ক পদে ছিলেন আনসারি। একাধিকবার সেখান থেকে বিধায়ক নির্বাচিত হয়েছিলেন তিনি। কিন্তু একাধিক মামলা ছিল তাঁর বিরুদ্ধে। সেই মামলায় দোষী সাব্যস্ত হয়ে বান্দা জেলে ছিলেন আনসারি। আনসারির মারা যাওয়ার পরেই যোগী সরকার মৌ, গাজিপুর এবং বান্দার নিরাপত্তা জোরদার করেছে।
৬৩ বছরের আনসারি পর পর ৫ বার মৌ সদর বিধানসভা কেন্দ্র থেকে জয়ী হয়ে বিধায়ক হয়েছিলেন। কিন্তু ২০০৫ সাল থেকে একাধিক মামলায় দোষী সাব্যস্ত হয়ে তিনি উত্তর প্রদেশ এবং পঞ্জাবের জেলে ছিলেন। তাঁর বিরুদ্ধে ৬০টি অপরাধের মামলা এখনও চলছে। জানা গিয়েছে গত ২৬ মার্চ নাকি মুক্তার আনসারিকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। সেসময় পেটে ব্যাথা নিয়ে তিনি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। রানি দুর্গাবতি হাসপাতালে সুপার জানিয়েছেন, সেখানে তাঁর চিকিৎসা হওয়ার পর ছেড়ে দেওয়া হয়েছিল।
মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালের গ্রেফতারির প্রতিবাদে মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রীর বাসভবন ঘেরাওয়ের ডাক দিয়েছিল আম আদমি পার্টি। সেই মতো সকাল থেকেই প্যাটেল চক এলাকায় জোড়ো হতে শুরু করেছিলেন আপ নেতা-কর্মীরা। বিক্ষোভ ঠেকাতে প্রস্তুত ছিল পুলিসও। কর্মসূচি শুরু হতেই রণক্ষেত্রের আকার নেয় পরিস্থিতি। প্রতিবাদকারীদের আটকাতে শুরু হল ধরপাকড়। দিল্লি পুলিসের হাতে আটক হলেন পঞ্জাবের মন্ত্রী তথা আপ নেতা হরজোৎ সিং বাইন।
আবগারি মামলায় গত কয়েকদিন আগেই ইডির হাতে গ্রেফতার হয়েছেন অরবিন্দ কেজরিওয়াল। এরপর থেকেই ইডি হেফাজতে রয়েছেন। এখনও পর্যন্ত মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা দেননি কেজরি। জেলে বসেই সরকার চালাবেন বলেও জানিয়েছেন। এই অবস্থায় আজ স্বাস্থ্য সংক্রান্ত নির্দেশিকা জারি করলেন মুখ্যমন্ত্রী কেজরিওয়াল। যা খুবই গুরুত্বপূর্ণ বলেই মনে করা হচ্ছে।
দিল্লি পুলিস সূত্রে খবর, প্যাটেল চক মেট্রো স্টেশনের আশেপাশে ১৪৪ ধারা জারি করেছে পুলিস। বিক্ষোভকারীদের দাবি, অবিলম্বে অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে মুক্তি দেওয়া হোক। বেআইনিভাবে গ্রেফতার করা হয়েছে তাঁদের নেতাকে। আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে ভয় পেয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। তাঁকে ভোটের প্রচার থেকে দূরে রাখতেই গ্রেফতার করা হয়েছে।
আবগারি দুর্নীতি মামলায় দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীকে গ্রেফতার করেছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। এই মামলায় তাঁকে ন'বার তলব করেছে কেন্দ্রীয় এজেন্সি। কিন্তু, একবারও তিনি হাজিরা দেননি। দিল্লি হাইকোর্টে আগাম জামিনের জন্য রক্ষাকবচ চেয়েছিলেন কেজরিওয়াল। তবে সেই আর্জি খারিজ হতেই বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় তাঁর বাসভবনে তল্লাশি চালাতে পৌঁছয় ইডি। ঘণ্টা দুয়েকের জিজ্ঞাসাবাদের পর তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। ইডি হেফাজতেই কেটেছে রাত। সকাল হতেই জামিনের আর্জি খারিজ করে দিল সুপ্রিম কোর্ট। আজই, শুক্রবার দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীকে হেফাজতে চেয়ে রাউস অ্যাভিনিউ আদালতে পেশ করে ইডি। রাতে তাঁকে দফায় দফায় জেরা করা হয়েছে। আম আদমি পার্টির পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে কেজরিওয়ালের বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে ৭০,০০০ টাকা পেয়েছে মাত্র তদন্তকারীরা। স্বাভাবিকভাবে ঘটনায় ক্ষুব্ধ আম আদমি পার্টির কর্মী সমর্থকেরা।
এদিকে কেজরিওয়ালের গ্রেফতারির পরেই দিল্লিতে নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে। আজ কেজরিওয়ালের বাড়িতে তাঁর পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে যেতে পারেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী। এদিকে দিল্লিতে উত্তেজনা সামাল দিতে আম আদমি পার্টির সদর কার্যালয়ের রাস্তা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। সেই রাস্তা দিয়ে যান চলাচল করতে দেওয়া হচ্ছে না। কেজরিওয়ালের গ্রেফতারির প্রতিবাদে আজ দেশজুড়ে প্রতিবাদে পথে নামছে আম আদমি পার্টি।
জানা গিয়েছে, ইডি সকালে কেজরিওয়ালের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করানোর পর তাঁকে আদালতে পেশ করবে। মুখ্যমন্ত্রী পদে থাকাকালীন কাউকে গ্রেফতার করার ঘটনা এই প্রথম। এর আগে ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেনকেও গ্রেফতার করেছে ইডি। তবে সেটা মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে আগে ইস্তফা দিয়েছিলেন, তারপরে ইডি তাঁকে গ্রেফতার করেছিল।
কেজরিওয়ালকে হেফাজতে নিয়ে তাঁকে জেরা করতে চাইছে কেন্দ্রীয় এজেন্সি। পুরো জেরাটি লিখিত হবে এবং তার ভিডিওগ্রাফি করা হবে বলে সূত্রের খবর। এদিকে দিল্লির রাস্তায় নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার রাত থেকে দিল্লিতে রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ দেখিয়েছেন। কেজরিওয়ালের বাড়ির চারপাশে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে। সেখানে কোনও রকম জমায়েত করতে দেওয়া হচ্ছে না।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় আবগারি দুর্নীতি মামলায় গ্রেফতার হন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। সুপ্রিম কোর্টে ধাক্কা খেল কেজরিওয়ালের জামিনের আর্জি। প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় শুনলেন না কেজরিওয়ালের জামিনের আর্জি। সেটি তিনি স্পেশাল বেঞ্চে রেফার করে দিয়েছেন। কেজরিওয়ালের আইনজীবী অভিষেক মনুসিংভি জামিনের আর্জি নিয়ে সাত সকালেই হাজির হয়েছিলেন।
কিন্তু প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় জানান, এই কাণ্ডে গ্রেফতার কবিতার সঙ্গে মামলার শুনানি করা হবে স্পেশাল বেঞ্চে। এদিকে সকাল থেকে ইডির দফতরে দফায় দফায় জেরা করা হচ্ছে কেজরিওয়ালকে। সকালে মেডিকেল টিম গিয়ে কেজিওয়ালের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করেছে।
ভিডিওগ্রাফি করে রাখা হচ্ছে কেজরিওয়ালের জেরার যাবতীয় তথ্য। আজ দুপুর আড়াইটে নাগাদ অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে দিল্লির রাউস অ্যাভিিনউ আদালতে পেশ করা হবে বলে জানা গিয়েছে। গতকাল রাতেই কেজরিওয়ালের গ্রেফতারির পর সুপ্রিম কোর্টে জামিনের আর্জি জানিয়েছিল আম আদমি পার্টি। রাতেই জরুরি ভিত্তিতে শুনানির আর্জি জানানো হয়। কিন্তু রাতে আদালত বসেনি।
সকালে তড়িঘড়ি তাই আপ আর্জি নিয়ে হাজির হয়েছিল। কিন্তু প্রধানবিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় সেটি শুনতে রাজি হননি। তিনি ৩ বিচারপতির স্পেশাল বেঞ্চে সেটি রেফার করে দেন। এখন সেখান সেই বেঞ্চ কি নির্দেশ দেয়। এদিকে কেজরিওয়ালকে হাতে পেরে তৎপর ইডি। আজ আদালতে কেজরিওয়ালকে হেফাজতে চাইবে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। এদিকে কেজরিওয়ালের গ্রেফতারির পর থেকে উত্তাল হয়ে উঠেছে দিল্লি। আম আদমি দফতরের সব রাস্তা বন্ধ করে দিয়েছে দিল্লি পুলিশ। এমনকি সেই মেট্রো স্টেশনও বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। কেজরিওয়ালের বাড়ির চারপাশে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে। কোনও রকম জমায়েত হলেই গ্রেফতার করা হচ্ছে। এদিকে আজ দেশজুড়ে প্রতিবাদের ডাক দিয়েছে আম আদমি পার্টি।
আজই, শনিবার ১৮ তম লোকসভা নির্বাচনের প্রকাশ করল নির্বাচন কমিশন। শনিবার দিল্লিতে সাংবাদিক বৈঠক করে ভোটের দিন ঘোষণা কমিশনের ফুল বেঞ্চের। এবার ৭ দফায় ৫৪৩ আসনে হতে চলেছে ভোট। লোকসভা ভোটের পাশাপাশি দেশজুড়ে ২৬টি কেন্দ্রে উপনির্বাচন। ১৯ এপ্রিল থেকে শুরু হবে ভোট। ৪ জুন ভোট গণনা।
বাংলায় কবে কোথায় ভোট?
প্রথম দফা (১৯ এপ্রিল)-কোচবিহার, আলিপুরদুয়ার, জলপাইগুড়ি
দ্বিতীয় দফা (২৬ এপ্রিল)-রায়গঞ্জ, বালুরঘাট, দার্জিলিং
তৃতীয় দফা (৭ মে)- মালদা উত্তর, মালদা দক্ষিণ, মুর্শিদাবাদ, জঙ্গিপুর
চতুর্থ দফা (১৩ মে)- বহরমপুর, কৃষ্ণনগর, রানাঘাট, বোলপুর, বীরভূম, বর্ধমান পূর্ব, বর্ধমান-দুর্গাপুর, আসানসোল
পঞ্চম দফা (২০ মে)- শ্রীরামপুর, ব্যারাকপুর, হুগলি, বনগাঁ, হাওড়া, উলুবেড়িয়া, আরামবাগ
ষষ্ঠ দফা (২৫ মে)- পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, কাঁথি, তমলুক, ঘাটাল, ঝাড়গ্রাম, মেদিনীপুর, বিষ্ণুপুর
সপ্তম দফা (১ জুন)- উত্তর কলকাতা, দক্ষিণ কলকাতা, যাদবপুর, জয়নগর, বসিরহাট, বারাসত, মথুরাপুর, ডায়মন্ড হারবার, দমদম
মুখ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব কুমার এদিন জানিয়েছেন, গোটা দেশে ভোট কেন্দ্রের সংখ্য়া ১০ লক্ষ। দেশে মোট ভোটারের সংখ্য়া ৯৭ কোটি। তার মধ্য়ে মহিলা ভোটার ৪৭ কোটি এবং পুরুষ ভোটার ৪৯ কোটি। ১৮ থেকে ৩০ বছরের মধ্য়ে ভোটারের সংখ্য়া ২১ কোটি। ১ কোটি ৮২ লক্ষ নতুন ভোটার। আজ থেকেই চালু নির্বাচনী আচারবিধি।
উল্লেখ্য, ২০১৯ সালে রাজ্যের ৪২টি আসনে মোট ৭ দফায় ভোটগ্রহণ হয়েছিল। ১১ এপ্রিল থেকে ১৯ মে পর্যন্ত চলেছিল বঙ্গের লোকসভা ভোট। তিনটি রাজ্যে পশ্চিমবঙ্গ, বিহার এবং উত্তরপ্রদেশে সাত দফায় লোকসভা ভোট হয়েছিল ২০১৯ সালে।
২০১৯-এ পশ্চিমবঙ্গের ৪২ টি লোকসভা আসনের প্রায় সবকটিতেই হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হয়েছিল মূলত তৃণমূল ও বিজেপির মধ্যেই। ভোট প্রাপ্তির নিরিখে বাম-কংগ্রেস পিছিয়ে ছিল অনেকটাই। তৃণমূল জিতেছিল ২২টি আসনে। আর বিজেপির দখলে ছিল ১৮টি সিট।অন্যদিকে কংগ্রেস জিতেছিল দুটি আসনে। বামেরা খাতা খুলতেই পারেনি। এবারও লড়াইয়ের কেন্দ্রবিন্দুতে বিজেপি এবং তৃণমূলই।
কথা মতোই কাজ। শুক্রবারই নয়া দিল্লিতে গিয়ে বিজেপিতে যোগ দিলেন অর্জুন সিং এবং তমলুক লোকসভা কেন্দ্রের বিদায়ী তৃণমূল সাংসদ দিব্য়েন্দু অধিকারী। বিজেপিতে ‘ঘর ওয়াপসি’ হল অর্জুনের। বৃহস্পতিবার সকালেই তিনি সাংবাদিকদের জানিয়ে দিয়েছিলেন, শুক্রবার বিজেপিতে যোগ দিচ্ছেন তিনি। সঙ্গে আরও এক বড় নেতা যোগ দেবেন বলেও ইঙ্গিত দিয়েছিলেন অর্জুন।
ভোটের মুখে আবারও বড় ধাক্কা তৃণমূলের। তাপসের পর এবার অর্জুন। ব্যারাকপুরের সাংসদ অর্জুন সিং এদিন দিল্লিতে গিয়ে বিজেপিতে যোগ দেন। এবারও তিনি ব্য়ারাকপুরে বিজেপির টিকিটে লড়তে চলেছেন বলে সূত্রের খবর।
উল্লেখ্য, শুক্রবার বিকেল ৪টে ৪৫ মিনিট নাগাদ দলের তরফে তাঁদের আনুষ্ঠানিক যোগদানের কথা জানানো হয়। লোকসভা ভোটের প্রার্থী ঘোষণার পরই তৃণমূলের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগড়ে দিয়েছিলেন অর্জুন সিং। তারপরই জল্পনা চলছিল তাঁর বিজেপি যোগ নিয়ে।
বর্তমানে অর্জুন রয়েছেন সাংসদ পদে। আর বিজেপির টিকিটে জিতেই এই পদে আসীন হয়েছিলেন অর্জুন। পরে দল বদলে ফেরেন তৃণমূলে। ৫ বছরের মধ্যে আবার পাল্টি! ফের গেরুয়া শিবিরে তিনি।
২০২৪-র লোকসভা ভোট কবে? অবশেষে সেই দিনক্ষণ ঘোষণা করতে চলেছে, এমনটাই শুক্রবার জানিয়ে দিল নির্বাচন কমিশন। আগামীকাল অর্থাৎ শনিবারই লোকসভা ভোটের নির্ঘণ্ট প্রকাশ করা হবে। শুক্রবার এই নিয়ে বৈঠকে বসেছিলেন জাতীয় নির্বাচন কমিশন।
শনিবার বিকেল ৩টের সময় সাংবাদিক বৈঠক করে লোকসভা ভোটের সূচি ঘোষণা হবে। সেই সঙ্গে সম্ভবত অরুণাচল প্রদেশ, অন্ধ্রপ্রদেশ, ওড়িশা ও সিকিমের বিধানসভা ভোটের দিনও জানা যাবে। প্রসঙ্গত, একদফায় রাজ্যে ভোট করানোর দাবি জানিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। অশান্তির আশঙ্কায় প্রতিবার সবচেয়ে বেশি দফায় ভোট হয় পশ্চিমবঙ্গে। এবার কত দফায় ভোট হবে সেটাই দেখার।
এদিকে মোদী সরকার রাষ্ট্রপতির কাছে এক দেশ এক নির্বাচনের প্রস্তাব পেশ করেছে। লোকসভা ভোটের সঙ্গে ওড়িশা এবং অন্ধ্রপ্রদেশের ভোটের দিন ঘোষণার মধ্য দিয়ে কি বিজেপি সরকার সেই পথে পা বাড়াবে তা নিয়ে জল্পনা শুরু হয়েছে। এদিকে সব রাজনৈতিক দলই ভোটের ময়দানে ঝাঁপিয়ে পড়েছে। এবার ৪০০ আসনে ভোটে জেতার দাবি করেছে বিজেপি।
আজই দেশজুড়ে কার্যকর হল সিএএ-র বিজ্ঞপ্তি। লোকসভা ভোটের আগেই এই ঐতিহাসিক ঘোষণা করা হল কেন্দ্রের তরফ থেকে। একটি বিজ্ঞপ্তি দিয়ে আনুষ্ঠানিক ভাবে সিএএ চালু হওয়ার কথা জানিয়ে দিল কেন্দ্রীয় সরকার। ১২ ডিসেম্বর ২০১৯-এ রাষ্ট্রপতির সম্মতির পরই আইনে পরিণত হয় নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন। বিল পাশ হওয়ার পর চার বছর কেটে যায়। অবশেষে চালু হল সিএএ।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ থেকে শুরু করে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীদের মুখে একাধিকবারই শোনা গিয়েছে যে দ্রুত সিএএ কার্যকর করা হবে। সিএএ নিয়ে বরাবরই কেন্দ্রের বিরোধিতা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
উল্লেখ্য, এই আইনের উদ্দেশ্য হল বাংলাদেশ, পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের মতো মুসলিম ধর্মাবলম্বী দেশ থেকে যদি সে দেশের ধর্মীয় সংখ্যালঘুরা ধর্মীয় উৎপীড়নের কারণে এ দেশে আশ্রয় চান, তা হলে তা দেবে ভারত।