
স্কুল পড়ুয়াকে গণধর্ষণের ঘটনায় সম্প্রতি চাঞ্চল্য ছড়িয়েছিল উত্তরপ্রদেশের গোরক্ষপুরে। পলাতক অভিযুক্তদের সূচ খোঁজার মতো খুঁজেও কোনও রকম হদিশ পায়নি পুলিস। শেষমেশ উপায় না দেখে ফাঁদ পাতা হয়। আর সেই জালে পা দিল অভিযুক্তরা। সামনে আসতেই পাঁচ অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে উত্তরপ্রদেশ পুলিস।
কী সেই ফাঁদ? তল্লাশি করেও কোনওরকম খোঁজ না পেয়ে অভিযুক্তদের বাড়ি ভাঙার সিদ্ধান্ত নেয় পুলিস। বুলডোজার নিয়ে অভিযুক্তদের বাড়ির সামনে হাজির হতেই পাঁচজন নিজেই ধরা দেয়। এরপর পুলিস তাদের গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে যায়। শুরু হয় জিজ্ঞাসাবাদ।
জানা গিয়েছে, গত ২৭ শে জুন ওই নির্যাতিতা স্কুল পড়ুয়া তার এক সহপাঠীর সঙ্গে জঙ্গলে গিয়েছিল। তখন কুসমহী গ্রামের চার যুবক লবকুশ পাসোয়ান, বকিল পাসোয়ান, ভোলু যাদব এবং সুরেন্দ্র পাসোয়ান নির্যাতিতা ও তার বন্ধুকে অপ্রস্তুত অবস্থায় দেখে ফেলেন। এরপর স্কুলপরুয়ার বন্ধুকে মারধর করে সেখান থেকে বার করে দেন। এবং কিশোরীকে তুলে নিয়ে গিয়ে চারজন মিলে ধর্ষণ করে বলে অভিযোগ।
নির্যাতিতা কিশোরী কোনওমতে বাড়ি পৌঁছে পরিবারের লোককে গোটা বিষয়টি জানায়। এরপর কিশোরীর পরিবার তার বন্ধু সহ পাঁচ জনের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ দায়ের করে। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে তল্লাশি শুরু করে পুলিস। অভিযুক্তদের না পেয়ে পুলিস বুলডোজার দিয়ে বাড়ি ভাঙার সিদ্ধান্ত নেয়। এরপরই আত্মসমর্পণ করে পাঁচ অভিযুক্ত।