প্রসূন গুপ্তঃ আগামী ১৮ সেপ্টেম্বর থেকে পার্লামেন্টের উভয় কক্ষে বিশেষ অধিবেশন ডেকেছে কেন্দ্রীয় সরকার। কিন্তু কি বিষয়ে অথবা হঠাৎ কেন জরুরি অধিবেশন তার হদিশ না পাচ্ছে সমস্ত সাংসদরা বা দেশের মিডিয়া মহল। অথচ এই অধিবেশনকে কেন্দ্র করে তৈরী হয়েছে নানান জল্পনা। বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন যে, বাজারে এই জল্পনা ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছে এবং তাতেই উত্তেজনা ছড়িয়েছে রাজনৈতিক মহলে। প্রথমত জল্পনা দেশের নাম ইন্ডিয়া এবং ভারত থেকে শুধুই ভারত রাখা হতে পারে, চেষ্টা মোদী সরকারের। যদিও এমন কোনও ইঙ্গিত সরকারের পক্ষ থেকে দেওয়া হয় নি।
তবে সম্প্রতি রাষ্ট্রপতির একটি পত্রে 'প্রেসিডেন্ট অফ ভারত' দেখে বিরোধী এবং মিডিয়া মহলে একটি ধারণা হয়েছে যে, যেহেতু বিরোধী জোট তাদের জোটের নাম 'ইন্ডিয়া' রেখেছে সুতরাং দেশের নাম ভারত রাখা হোক। কিন্তু আমাদের সংবিধান প্রণেতা বি আর আম্বেদকর তো পরিষ্কার সংবিধানে লিখেছেন যে, ইন্ডিয়া মানেই ভারত। এ ছাড়া নাম বদল নিয়ে উচ্চ আদালতের দ্বারস্থ হয়েছে কেউ কেউ, কিন্তু মাননীয় বিচারপতি এই বিষয়টিকেই খারিজ করে দিয়েছিলেন এক সময়ে।
দ্বিতীয় বিষয় "এক দেশ এক ভোট"। এটিতেও নানান সমস্যা আছে, যথা এই ধরণের কোনও বিল আনলে দুই কক্ষে দুই তৃতীয়াংশ ভোট পেতে হবে। এছাড়া বিভিন্ন রাজ্যে ৫০ শতাংশ বিধায়কদের সম্মতি দরকার। এই মুহূর্তে দুটির কোনওটিই পাশ করানো কঠিন। তবে কি এমন প্রশাসনিক বিষয়ের জন্য লোকসভা ডাকা হলো?
আরও একটি জল্পনা বাজারে এসেছে যদিও এই তৃতীয় জল্পনার সামান্য যুক্তি আছে। এই হচ্ছে 'মহিলা সংরক্ষণ বিল'। বহুবার এই বিলটি পাশ করানোর চেষ্টা হয়েছে। কংগ্রেস তো চেষ্টা করেছে কিন্তু তাদের জোট সঙ্গীরা কোনও না কোনও ভাবে ব্যাগড়া দিয়ে আটকে দিয়েছে বিলটি। সম্প্রতি উপরাষ্ট্রপতি তথা রাজ্যসভার চেয়ারম্যান জগদীপ ধনকর কোথাও জানিয়েছেন যে, এই বিশেষ অধিবেশনের পরে নাকি মহিলারা বিশেষ উপকৃত হবেন। ৩৩% মহিলা অধিকার এলে যে মহিলারা যৎপরোনাস্তি খুশি হবে তা বলাই বাহুল্য। এখন দেখার উপরাষ্ট্রপতির জল্পনা মেলে কি না।