প্রসূন গুপ্তঃ সোমবার থেকে বেঙ্গালুরুতে শুরু হয়েছে ২৬ বিরোধী দলের বৈঠক। মঙ্গলবার দ্বিতীয় দফার আলোচনা। বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের আগমন হলেও কংগ্রেস বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। সোমবার প্রথম দফার বৈঠক ও নৈশভোজের যে আয়োজন কংগ্রেস করেছিল, প্রাথমিকভাবে মিডিয়াতে ছড়িয়ে গিয়েছিলো যে মমতা অনুপস্থিত থাকবেন, কিন্তু ক্ষেত্র বিশেষে দেখা গেল একেবারে সোনিয়া গান্ধীর পাশেই মমতার আসন স্থির করা রয়েছে। জানা গিয়েছে, সোনিয়ার ইচ্ছাতেই এই ব্যবস্থা। স্বাভাবিকভাবে সভার ফাঁকে বারবার সোনিয়াকে মমতার সঙ্গে একান্তে কথা বলতে দেখা গেলো। শেষে ছিল নৈশভোজ। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কোনও অনুষ্ঠানে কিছু খান না। এদিনও তিনি খাবার প্লেট নেননি কিন্তু চা খেয়েছেন। অবিশ্যি তৃণমূলের অন্য প্রতিনিধিরা নৈশভোজ সেরেছেন।
রাহুল গান্ধীকে একবার দেখা গেলো ডেরেক ও'ব্রায়ানের সঙ্গে কথা বলতে, আবার কথা হচ্ছিলো সিপিএমের সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরির সঙ্গেও। উত্তর ভারতীয় ও দক্ষিণ ভারতীয় ছাড়াও কন্টিনেটাল ডিশ ছিল। আয়োজক অবশ্যই সদ্য ক্ষমতায় আসা কংগ্রেস তথা মল্লিকার্জুন খাড়গে ও সিদ্ধারামাইয়া। অবিশ্যি মমতা ভক্ত রাজ্যের কংগ্রেস সভাপতি শিবকুমার নিজে বিমানবন্দর থেকে মমতা, অভিষেককে আনতে যান। শিবকুমার এজেন্সির হাতে গ্রেফতার হলে মমতা প্রতিবাদ করেছিলেন।
প্রথমদিন আলোচনায় কংগ্রেস সভাপতি খাড়গে জানান, প্রথম ধাপে জোট প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ সফল। কাজেই এবারে পরের ধাপে যেতে হবে। মঙ্গলবার যা আলোচনা হবে তা মূলত কোন প্রক্রিয়াতে জোট এগোবে। জানা গিয়েছে যে, এই ২৬ দলের ভিতর থেকে তিনটি কমিটি করা হতে পারে। তাদের কাজ হতে পারে ১) নিয়মিত প্রতিটি দলের সঙ্গে যোগাযোগ রাখা, ২) আসন সমঝোতা করা ন্যূনতম ইস্যুর ভিত্তিতে, ৩) একের বিরুদ্ধে এক প্রার্থী যতটা দেওয়া যায় ৫৪৩ টি আসনে। এই কমিটিগুলি আগামী দিনে লোকসভা ভোটের প্রচার শুরু হওয়ার আগে অবধি সমঝোতা বজায় রাখার কাজ করবে। একই সাথে এজেন্সির চাপ বা গ্রেফতারের মতো ঘটনা ঘটলে কমিটি ব্যবস্থা নেবে। যদিও এটাও বাস্তব কখনোই সিপিএমের সঙ্গে তৃণমূলের সমঝোতা হওয়া খুব কঠিন কাজ কারণ সিপিএমের বিরোধিতা করেই তৃণমূলের আগমন। আজকের সভা শেষে ইউপিএ জোটের নতুন নাম হল—‘ইন্ডিয়া’ (ইন্ডিয়ান ন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট ইনক্লুসিভ অ্যালায়ান্স)।