প্রসূন গুপ্ত: বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সোমবার দিল্লিতে ৪ দিনের সফরে এসেছেন। তাঁকে বিমানবন্দর থেকে অভ্যর্থনা জানিয়ে সসম্মানে শহরে নিয়ে আসা হয়েছে। হাসিনা দিল্লিতে এসে খুশি। বারবার তাঁর বক্তব্যে উঠে এসেছে বন্ধু হিসেবে ভারতের কথা। তিনি আশা করেছিলেন, তাঁর আমন্ত্রণে হয়তো বাংলার মুখ্যমন্ত্রী দিল্লিতে আসবেন। কিন্তু পরে জানালেন, হয়তো এবার দেখা হলো না, পরে নিশ্চয় যোগাযোগ হবে। হাসিনা মমতাকে নবনির্মিত পদ্মা নদীর উপর সুবিশাল সেতুটি দেখতে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। পাশাপাশি মঙ্গলবার রাইসিনা হিলসে রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু এবং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে বৈঠকের কথা শেখ হাসিনার। সম্প্রতি প্রবল অর্থনৈতিক সংকট এবং পেট্রোলিয়াম সামগ্রীর মূল্যবৃদ্ধিতে চিন্তিত শেখ হাসিনা।
খবরে প্রকাশ, চিন অর্থনৈতিক ভাবে শ্রীলংকার পাশে দাঁড়ানোর পরে সে দেশে এমনই অবস্থা হয়েছিল, যা গৃহযুদ্ধের পথে দেশকে নিয়ে গিয়েছে। হাসিনা অবশ্য জানিয়েছেন তাঁদের দেশে সেই সমস্যা নেই। একইসঙ্গে খালেদা জিয়ার বিএনপির সঙ্গে একাধিক মৌলবাদী দল এখন সে দেশে গাঁটছড়া বেঁধেছে। আলোচনায় এ দেশের প্রধানমন্ত্রীর সহোযোগিতা চাইতে পারেন হাসিনা।
কিন্তু সব থেকে তাৎপর্য্যপূর্ণ বিষয়, হাসিনার মুখে কিন্তু আজও ৭১-এর স্বাধীনতার মুক্তিযুদ্ধের কথা যেখানে নিঃসন্দেহে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর ভূমিকা ভুলতে নারাজ হাসিনা। এদেশে আসার আগে এক সাক্ষৎকারে সে কথা জানিয়েছেন তিনি।
তিনি ভুলতে পারেন না ৭৫-এ বঙ্গবন্ধুর সপরিবারে হত্যার নির্মম ঘটনাও। সেবারেও ইন্দিরা তাঁদের দুই বোনকে এ দেশে আশ্রয় দিয়েছিলেন। এবারের সফরে এসে সেদিনের কথা তাঁর মুখে উঠে এসেছে। তিনি জানিয়েছেন, ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে সম্পর্ক চিরকাল ভালো রাখতেও আগ্রহী তাঁর সরকার। আজকের বৈঠকের পর আলাদা করে ফের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক হতে পারে। সোমবার সন্ধ্যায় হাসিনার সম্মানে এক নৈশভোজের আয়োজন করা হয়েছিল।