সংসদ কক্ষে ধোঁয়া কাণ্ডের 'মূলচক্রী' ললিত ঝাঁ। যাকে নিয়ে এই মুহূর্তে তোলপাড় রাজ্য থেকে জাতীয় রাজনীতি। ললিতের কলকাতা যোগের তদন্তে নেমে লালবাজার খোঁজ পায় ললিতের বাড়ির। ভাড়া বাড়িতে কলকাতায় থাকতেন ললিত। বাগুইআটি এবং বড়বাজারের দুই বাড়ির মধ্যে ২১৮ রবীন্দ্র সরণি পুলিসদের সন্দেহের তালিকার একেবারে শীর্ষে।
আপাতত সূত্র মারফত যা জানা গিয়েছে, তাতে কলকাতায় ললিতের মোট দুটি বাড়ির সন্ধান মিলেছে। এক, বড়বাজারে ২১৮ নম্বর রবীন্দ্র সরণি, যেখানে এই মুহূর্তে ললিত ও তাঁর পরিবার না থাকলেও সেখানে ললিত প্রাইভেট টিউশন করেন এবং ললিতের আধার কার্ডে এই ঠিকানার উপস্থিতি। আর দুই, বাগুইআটির একটি ভাড়া বাড়ি। এখন পুলিসের মনে প্রশ্ন জাগছে, বিহারের ছেলে ললিত থাকেন বাগুইআটিতে। তাহলে ২১৮ রবীন্দ্র সরণি কীভাবে তাঁর আধার কার্ডের ঠিকানায় রইল, তা নিয়েই ধন্দে পুলিস।
অপরদিকে জানা যাচ্ছে, সপরিবারে বাগুইআটির এক ভাড়া বাড়িতে থাকতে শুরু করেন ললিত ও তাঁর পরিবার। পাড়ায় বেশ ভালো ছেলে বলেই পরিচিত ললিত। বাগুইআটির বাড়িওয়ালার সঙ্গে ২০২০ সালে ললিতের চুক্তিপত্রে সই হয়। তারপর সেই চুক্তিপত্রের মেয়াদ শেষ হলে, বহুবার বলার পর অবশেষে ২০২৩ সালে ললিতের মায়ের নামে নতুন করে চুক্তিপত্র হয়।
ললিত যখন বাগুইআটিতেই থাকেন, তাহলে বড়বাজারের ২১৮ রবীন্দ্র সরণির নামে আধার কার্ড কেন? এই মুহূর্তে এই প্রশ্নটাই ভাবাচ্ছে পুলিসকে। আরও জানা গিয়েছে, ১০ ডিসেম্বর রাতেই ললিত তাঁর পরিবারকে পাঠিয়েছিল দেশের বাড়িতে। পাড়ার লোককে বলেছিল, কাজে নিজে সে যাচ্ছে দিল্লি। সুতরাং, সবটাই আগে থেকে ভেবে রাখা পরিকল্পনা। ঠিক এভাবেই তদন্তে তাঁর বাড়ি নিয়ে আরও তথ্য উঠে আসতে পারে, সন্দেহ পুলিসের। ললিতের আধার কার্ডের ঠিকানা, ২১৮ নম্বর রবীন্দ্র সরণি রয়েছে সেই সন্দেহের তালিকার একেবারে শীর্ষে।