
প্রসূন গুপ্তঃ পাটনায় আজ গানের সুর 'কি হয় কি হয় কি জানি কি হয়' ছিল। ১৭টি বিজেপি বিরোধী দল শুক্রবার মিলিত হয়েছিল বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারের আহ্বানে। পাটনায় এই জমায়েতের মূল কান্ডারী নীতীশ বা তেজস্বী হলেও আদতে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অনুরোধেই দিল্লির জায়গায় পাটনায় এই বৈঠকের আয়োজন করা হয়। উপস্থিত ছিলেন যদিও ১৭টি বিরোধী দলের তাবড় নেতারা। কিন্তু সকলের নজরে ছিল রাহুল গান্ধী, অরবিন্দ কেজরিওয়াল এবং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভূমিকার দিকে।
দেখা যায় রাহুল নিজেই সকলের সঙ্গে সভার আগে কুশল বিনিময় করেন। কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গেকে দেখা যায় মমতার সঙ্গে হেসে কথা বলতে। এই বৈঠক আজ শুরু হলেও চলবে নাকি বছরভর। একেবারে ২০২৪-এর লোকসভা নির্বাচন অবধি জুলাইয়ে পরবর্তী বৈঠক।
সভায় মূল আলোচনা ছিল ভোট নিয়ে, কিন্তু একই সাথে কেন্দ্রীয় সরকারের অর্থনৈতিক অবস্থান থেকে বিভিন্ন দলের পিছনে সিবিআই বা ইডির ব্যস্ততা নিয়েও। দেখার বিষয় ছিল কেজরিওয়াল কি করেন। সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, কেজরিওয়াল এমন কিছু দাবি করেননি যা কিনা রাহুল বা কংগ্রেসকে ক্ষুন্ন হতে হয়। আবার পশ্চিমবঙ্গের পঞ্চায়েত ভোট নিয়েও সিপিএম বা কংগ্রেসের তরফ থেকে আলাদা করে এমন কিছু প্রশ্ন তোলা হয়নি যা মমতাকে ক্ষুব্ধ করতে পারে।
একের বিরুদ্ধে এক ফর্মুলা যে সারা ভারতে সম্ভব নয়, তাও পরোক্ষ ভাবে আলোচিত হয়। কিন্তু পারদপক্ষে বেশিরভাগ আসনে যাতে একের বিরুদ্ধে এক প্রার্থী করা যায় তা নিয়েও ভাবনা চলেছে। কেরলে কংগ্রেসের বিরুদ্ধে সিপিএম লড়াই করবে তা এক প্রকার সত্যি হলেও বাকি স্থানগুলিতে কি অবস্থান হবে তা নিয়েও আগামীতে আলোচনা হবে। সমস্যা থাকবে কিন্তু আপ পার্টি ও কংগ্রেসের মধ্যে সখ্যতার। তবে যায় হোক না কেন পরের বৈঠক অবধি সব দলই যোগাযোগ রাখবে অন্য দলের সঙ্গে।