পঞ্জাবের (Punjab) ভাটিন্ডায় সেনা ছাউনিতে গুলি চালিয়ে চার জন সেনা জওয়ান খুনের (Death) অভিযোগে গ্রেফতার ওই ছাউনিরই এক সেনা জওয়ান। পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, সোমবার সকালে পুলিস ওই সেনা জওয়ানকে গ্রেফতার (Arrest) করেছে। পুলিস সোমবার দুপুর ১২ টায় একটি সাংবাদিক সম্মেলন করেছে বলে সূত্রের খবর।
জানা গিয়েছে, বুধবার ভোরে ভাটিন্ডা সেনা ছাউনিতে ঘুমন্ত অবস্থায় জওয়ানদের উপর গুলি চালানো হয়। ঘটনায় নিহত হন ৪ সেনা জওয়ান। এই ঘটনার তদন্তে নামে পঞ্জাব পুলিস। প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিসের অনুমান, অভিযুক্তরা সাদা কুর্তা-পায়জামা পরে ওই ছাউনিতে প্রবেশ করেন। তাঁদের সঙ্গে একটি ইনসাস রাইফেল এবং একটি কুড়াল ছিল বলে পুলিস সূত্রে খবর। এফআইআর অনুযায়ী, যে ইনসাস রাইফেল থেকে গুলি চালানো হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে, সেটা সপ্তাহ তিনেক আগেই ল্যান্স নায়েক মুপদি হরিশকে দেওয়া হয়েছিল। এমনকি ৯ এপ্রিল রাইফেলটি খোয়া গিয়েছে এবং সঙ্গে ২৮ রাউন্ড গুলিও। যেখানে জওয়ানের দেহগুলি পাওয়া গিয়েছে, সেখান থেকে অনেক খালি কার্তুজও উদ্ধার হয়েছে। সেগুলি ওই খোয়া যাওয়া রাইফেলের বলে সেনার এফআইআর-এ উল্লেখ। খালি কার্তুজ দিয়ে কীভাবে ওই খোওয়া যাওয়া অস্ত্র দিয়ে গুলি চালানো হয়েছে, তা নিয়ে তদন্তকারী পুলিস আধিকারিকেরা প্রশ্ন তুলছেন।
এফআইআর-এ জানা যায় গুলি চালানোর ঘটনাটি ঘটেছে ভোর সাড়ে ৪টা নাগাদ। কিন্তু সেনা ছাউনি থেকে মাত্র ২ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত পুলিস স্টেশন। তবে ১০ ঘণ্টা পেরিয়ে যাওয়ার পর দুপুর ৩টে নাগাদ অভিযোগ জানানো হয়েছিল কেন, তা নিয়েও জিজ্ঞাসাবাদ চলছে বলে জানা গিয়েছে। পুলিস সূত্রে খবর, এই ঘটনায় এক সেনা জওয়ানকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ইতিমধ্যেই এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে দেশজুড়ে হইচই পড়েছে। প্রশ্ন উঠছে, যদি দেশের জওয়ানরাই সুরক্ষিত না থাকেন, তা হলে সাধারণ মানুষ কীভাবে সুরক্ষিত থাকবেন।