চাঁদের সূর্যোদয়ের পরও ঘুমিয়ে রয়েছে চন্দ্রযান৩-এর (Chandrayaan 3) ল্যান্ডার 'বিক্রম' (Vikram) ও রোভার 'প্রজ্ঞান' (Pragyan)। বর্তমানে এগুলো নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়ে থাকলেও আশাবাদী ইসরোর (ISRO) বিজ্ঞানীরা। খোদ ইসরোর চেয়ারম্যান এস সোমনাথ জানিয়েছে, তারা যে কোনও সময় জেগে উঠতে পারে। কিন্তু এসবের মাঝেই এক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পেলেন বিজ্ঞানীরা। জানা গিয়েছে, চাঁদের মাটিতে রোভার প্রজ্ঞান স্পষ্টভাবে ছাপ ফেলতে পারেনি ইসরোর লোগো ও অশোকস্তম্ভের চিহ্ন। তবে এতে ইসরোর বিজ্ঞানীরা এক নতুন আশার আলো দেখতে পাচ্ছেন বলে জানানো হয়েছে।
রোভার প্রজ্ঞানের চাকায় লাগানো ছিল ভারতের জাতীয় প্রতীক অশোকস্তম্ভ ও ইসরোর লোগো। নির্ধারিত ছিল যে, চাঁদে পৌঁছেই মাটিতে ছাপ ফেলবে প্রজ্ঞান। কিন্তু ইসরো সূত্রে খবর, ইসরোর লোগো ও অশোকস্তম্ভের ছাপ স্পষ্টভাবে পড়েনি চাঁদের মাটিতে। তবে এতে নিরাশ নন বিজ্ঞানীরা। এস সোমনাথ জানিয়েছেন, চাঁদের মাটি ধুলো-বালির তৈরি শক্ত না, এটি নরম ধরনের। কোনও গলিত উপাদানের তৈরি। তার মানে চাঁদে কিছু উপাদান মাটিকে বেঁধে রেখেছে। কিন্তু কী সেই উপাদান যা মাটিকে বেঁধে রেখেছে, তা গবেষণা করতে হবে।
ইসরো সূত্রে খবর, এর থেকেই অনুমান করা হচ্ছে, চাঁদেও থাকতে পারে জল। এছাড়াও ফিজিক্যাল রিসার্চ ল্যাবরেটরির নির্দেশক অনিল ভরদ্বাজ জানিয়েছেন, 'আমরা খুব স্পষ্টভাবে দেখতে পাচ্ছি যে, রোভারের চলাচলের কারণে চাঁদের পৃষ্ঠে গর্ত তৈরি হচ্ছে। ল্যান্ডিং সাইট এবং রোভার চলাচলের স্থানের চারপাশে তোলা ফটোগুলি দেখায় যে রোভারের চলাচলের কারণে সৃষ্ট গর্তগুলি প্রায় এক সেন্টিমিটার গভীর। ল্যান্ডারের পা চন্দ্রপৃষ্ঠে বসে যাচ্ছে। যা নির্দেশ করে সেখানকার মাটি আলগা রয়েছে। আমরা যত গভীরে যাব, মাটি তত ঘন হবে।'