প্রসূন গুপ্ত: এই বছর ৯টি রাজ্যে বিধানসভার নির্বাচন। কাজেই কোমর বেঁধে নামার উপর জোর দিচ্ছে বিজেপি হাইকমান্ড। চলতি সপ্তাহের সোমবার ও মঙ্গলবার দিল্লিতে আয়োজন হয়েছে বিজেপির সর্বভারতীয় কর্মসমিতির বৈঠক। এনডিএমসি কনভেনশন সেন্টারে দলের শীর্ষ নেতারা তো আছেনই, খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী আছেন এই বৈঠকে। সমাপ্তি ভাষণ দেবেন প্রধানমন্ত্রী। কেন্দ্রীয় বিজেপি জানে, ২০২৩-এ ৯টি রাজ্যের নির্বাচন, লোকসভা ভোটের আগে সেমিফাইনাল। যদি জম্মু-কাশ্মীরের ভোট হয়, তবে এ বছর গুরুত্বপূর্ণ ১০টি রাজ্যের ভোট। এই রাজ্যগুলির মধ্যে উত্তর-পূর্বাঞ্চলের ছোট রাজ্যগুলি যেমন আছে তেমন রাজস্থান, কর্নাটক,মধ্যপ্রদেশ,ছত্রিশগড়ের মতো রাজ্যগুলিও আছে। যেখানে পদ্ম শিবিরের অন্যতম প্রতিদ্বন্দ্বী কংগ্রেসও। তাই বিজেপির নজরে কোনও ভাবে প্রতি রাজ্যে ক্ষমতায় আসা।
বিশেষ করে রাজস্থান এবং ছত্তিশগড়ে। ২০২৪ লোকসভা ভোটের আগে টানা ১০ বছর ক্ষমতায় থাকবে বিজেপি। ঠিক যেভাবে ইউপিএ ১ এবং ইউপিএ ২ সরকার চলেছে। ভারতীয় রাজনীতির ইতিহাসে টানা ১৫ বছর কংগ্রেস তথা পণ্ডিত নেহেরু ক্ষমতায় ছিলেন। প্রধানমন্ত্রী মোদীও চান ওই রেকর্ড ছুঁতে। ৭০ পেরোলেই বিদায়, এই শব্দটি যতই আগের ভোট পর্বে প্রয়োগ হোক না কেন, এবার লোকসভা ভোটে বিজেপির মুখ ওই নরেন্দ্র মোদীই।
সম্প্রতি গুজরাতে বিশাল জয় পেয়েছে বিজেপি, কিন্তু হারাতে হয়েছে হিমাচল প্রদেশ। যা নিয়ে আলোচনা হতে পারে কর্মসমিতির বৈঠকে। কেন পরাজয় প্রশ্ন না তুলে বরং নাড্ডা জোর দিয়েছেন আসন্ন রাজ্যগুলির ভোটের দিকেই। এই দলীয় কর্মসূচিতে মূলত বক্তব্য রাখছেন কোনও রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী অথবা প্রদেশ সভাপতি। স্বাভাবিক ভাবেই সোমবার বক্তব্য রাখতে ওঠেন পশ্চিমবঙ্গের রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। তিনি কিছু বলার আগেই প্রধানমন্ত্রী তাঁকে থামিয়ে পশ্চিমবঙ্গ বিজেপির প্রশংসা করেন। জানান যে, ২০২১ নির্বাচনের পর যেভাবে বিজেপি বাংলায় ঘুরে দাঁড়াচ্ছে তা সত্যি প্রশংসার। যদিও কেন্দ্রীয় বিজেপি আপাতত বাংলার পঞ্চায়েত ভোট নিয়ে মাথা ঘামাতে চাইছে না। তাদের টার্গেট, গত লোকসভা নির্বাচনে প্রাপ্ত সাংসদের থেকে আগামি ভোটে সাংসদসংখ্যা বাড়ানো।
যদিও তারা বুঝতে পেরেছে রাজ্য বিজেপির এই মুহূর্তে কোথায় গলদ। কিন্তু তবুও তারা চায় রাজ্যের সমস্যা সমাধানের পথ রাজ্য নেতারাই খুঁজুক।