বুধবার সংসদে দুই ব্যক্তির আচমকা হানায় শোরগোল পড়ে গিয়েছে সারা দেশজুড়ে। এরপর ধীরে ধীরে এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত অভিযুক্তদের গ্রেফতার করা হয়েছে ও প্রকাশ্যে এসেছে 'মূলচক্রী'র নামও। সংসদে স্মোক কাণ্ডের পর থেকেই সে পলাতক বলে জানা গিয়েছে। আর এরপরই সামনে আসে 'মূলচক্রী' ললিত ঝাঁ-এর সঙ্গে বাংলার যোগের। জানা গিয়েছে, সংসদে হামলার ঘটনায় ললিত বাইরেই ছিল। সে সংসদ ভবনের বাইরে বিক্ষোভের ছবি তোলে ও বিক্ষোভরত চারজনের মোবাইল নিয়ে পালিয়ে যায়। এরপর সোশ্যাল মিডিয়ায় এই বিক্ষোভের ছবি পোস্টও করে সে। আর সেই বাংলার ভিডিও বাংলার 'বন্ধু' নীলাক্ষ আইচকেও ফোনে পাঠায় ললিত।
জানা গিয়েছে, সংসদে হানা কাণ্ডে 'মূলচক্রী' ললিত ঝাঁ কলকাতার ২১৮, রবীন্দ্র সরণীতে থাকতেন এবং সেখানেই টিউশন পড়াতেন। কিন্তু প্রায় ১.৫ বছরের বেশি সময় ধরে বন্ধ রয়েছে ললিতদের ভাড়া নেওয়া এই ঘরটি। ৫৯ মুক্তারামবাবু স্ট্রিটে সপরিবারেই থাকতেন ললিত ঝাঁ। পরিবারের শুধুই ছিলেন তার বাবা। পূজা অর্চনার কাজ করতেন ললিতের বাবা। লকডাউনের পর থেকেই এখান থেকে চলে যায় ললিতের বাবা ও ললিত। আরও জানা গিয়েছে, পলাতক ললিত একসময় পশ্চিমবঙ্গের একটি এনজিওতে কাজ করতেন। সাম্যবাদী সুভাষ সভা নামে এনজিওতে কাজ করতেন পলাতক ললিত ঝাঁ। মূলত আদিবাসী উপজাতির পিছিয়ে পরা গ্রামের শিশুদের শিক্ষাও দিত সে।
ললিতের পরিচয় সামনে আসতেই বাংলার 'বন্ধু' নীলাক্ষ আইচের প্রসঙ্গ সামনে আসতেই বৃহস্পতিবার তাঁর বাড়িতে পৌঁছে যায় পুলিস। জানা গিয়েছে, হালিশহরের জেটিয়ার বাসিন্দা নীলাক্ষ আইচ। বিধান নগর কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র। এনার মোবাইলেই সংসদে হামলার ঘটনার ভিডিওটা হোয়াটসঅ্যাপে পাঠায়। সাম্যবাদী সুভাষ সভা নামে একটি এনজিও করে নীলাক্ষও। আর সেই সূত্রেই ললিত ঝাঁর সঙ্গে আলাপ তাঁর। দিল্লি পুলিস থেকে ওনার সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে। এদিনই ব্যারাকপুর পুলিস কমিশনারেটের পুলিস অফিসাররা এসে কথা বলেছে। ওনারা আদিবাসী ছেলেমেয়েদের পড়াশুনা করায় বলে জানিয়েছে নীলাক্ষর বাবা নিলয় আইচ। গোটা পাড়া হতবাক এই ঘটনায়।