সংসদ (Parliament) হামলার ২২ বছর পূর্তিতেই নতুন সংসদ ভবনের লোকসভা কক্ষে দুই যুবকের হানা। বুধবার এই শিহরন জাগানো ঘটনার পর গ্রেফতার করা হয়েছিল চার জনকে। সেই রাতে বিক্রম নামে পঞ্চম একজনকে গ্রেফতার করে দিল্লি পুলিস। প্রত্যেকের বিরুদ্ধে ইউএপিএ ধারায় মামলা রুজু করেছে দিল্লি পুলিস। হেফাজতে থাকা পাঁচ জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করে ষষ্ঠ ব্যক্তি ললিত ঝায়ের খোঁজ পায় দিল্লি পুলিস, কিন্তু সে পলাতক, এমনটাই দিল্লি পুলিস সূত্রে খবর। এই ললিতই নাকি সংসদে হানার মূল চক্রী, প্রাথমিক তদন্তের পর বলছে দিল্লি পুলিসের একটি সূত্র।
সংসদে হানা-কাণ্ডে অন্যতম পাঁচ অভিযুক্তের নাম হল সাগর শর্মা, মনোরঞ্জন দেবারাজাগৌডা, নীলম সিং, অমল ধনরাজ শিণ্ডে, ললিত ঝা। এই ঘটনার পর সংসদের ভিতর থেকে গ্রেফতার হওয়া সাগর শর্মার বোন মাহি শর্মার দাবি, তিন মাস যাবৎ দাদা ই-রিক্সা চালান। আগে বেঙ্গালুরুতে কর্মসূত্রে থাকতেন, বাড়িতে দাদা বলেছিল দিল্লিতে ধর্না দেখাতে যাচ্ছেন, এমনটাই দাবি সাগরের বোনের। বুধবার সংসদের বাইরে থেকে গ্রেফতার হওয়া নীলম সিংয়ের ভাইয়ের দাবি, 'আমরা জানতামই না দিদি কোথায়। আমাদের বলা হয়েছিল হিসারে আছেন নীলম। দিদি যা করেছে, সে ব্যাপারে পরিবার অবগত নয়।' দাবি নীলমের ভাইয়ের।
এদিকে বুধবারের ঘটনার পর সংসদে নিরাপত্তার গাফিলতির অভিযোগে সরব ছিল বিরোধী দলগুলো। সেই অভিযোগ খতিয়ে দেখার আশ্বাস সর্বদলীয় বৈঠকে দিয়েছিলেন লোকসভার অধ্যক্ষ ওম বিড়লা। সূত্রের খবর, লোকসভার সচিবালয় কালার স্মোক-কাণ্ডে নিরাপত্তায় গাফিলতির অভিযোগে সংসদের আট জন নিরাপত্তাকর্মীকে সাসপেন্ড করেছে। কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকও করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।