শুক্রবার সন্ধ্যায় ভয়ঙ্কর ট্রেন দুর্ঘটনা (Train Accident)। বড়সড় দুর্ঘটনার কবলে হাওড়া-চেন্নাই করমণ্ডল এক্সপ্রেস (Howrah-Chennai Coromandel Express)। সূত্রের খবর, ওড়িশার (Odisha) বালেশ্বর স্টেশনের কাছে এই ট্রেনের একাধিক কামরা লাইনচ্যুত হয়েছে। মালগাড়ি ও এক্সপ্রেসের মুখোমুখি ধাক্কার ফলেই এই দুর্ঘটনা বলে জানা গিয়েছে। ট্রেনটি শালিমার স্টেশন থেকে চেন্নাই যাচ্ছিল। আর চেন্নাই যাওয়ার আগেই ঘটে গেল এই দুর্ঘটনা। ঘটনায় বহু যাত্রী আহত হয়েছেন বলে খবর। ১৩২ জনকে ভর্তি করা হয়েছে হাসপাতালে, জানালেন ওড়িশার মুখ্যসচিব। রেলমন্ত্রকসূত্রে খবর, ঘটনায় মৃতের সংখ্যা ১০০ জন ছাড়িয়ে যেতে পারে। কিন্তু কীভাবে একই লাইনে মালগাড়ি ও এক্সপ্রেস ট্রেন, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।
জানা গিয়েছে, প্রবল সংঘর্ষে তিনটি বাদে করমণ্ডল এক্সপ্রেসের সবকটি বগি লাইনচ্যুত হয়ে গিয়েছে। এমনকি গতি এতটাই ছিল যে, মালগাড়ির পাঁচটি বগিও লাইনচ্যুত হয়েছে। এতটাই জোরে দুই ট্রেনের মধ্যে সংঘর্ষ লাগে যে করমণ্ডল এক্সপ্রেসের ইঞ্জিন উঠে যায় মালগাড়ির ওপরে। ইতিমধ্যে খড়্গপুর থেকে বেশ কয়েকটি উদ্ধারকারী দল রওনা দিয়েছে দুর্ঘটনাস্থলের দিকে। সূত্রের খবর, উদ্ধারকারী ও চিকিৎসকদের ২ টি দল পাঠানো হয়েছে ও প্রায় ৫০টি অ্যাম্বুলেন্স পৌঁছেছে ঘটনাস্থলে।
তবে দুর্ঘটনার তীব্রতা ও ভয়াবহতা দেখে আশঙ্কা করা হচ্ছে, হতাহতের সংখ্যা অনেক হতে পারে। মুখোমুখি সংঘর্ষের পর স্থানীয়রা প্রথমে ছুটে আসেন ঘটনাস্থলে। এরপর শুরু হয় উদ্ধারকার্য। তবে কীভাবে দুটি ট্রেন এক লাইনে এসে পড়ল? সিগনালিংয়ের কোনও সমস্যা নাকি কারোর গাফিলতির জেরে এমন ভয়াবহ দুর্ঘটনা, তা খতিয়ে দেখার কাজও শুরু হয়েছে।