
প্রসূন গুপ্তঃ ৪ মাসের জন্য যেন বনবাস হয়েছিল রাহুল গান্ধীর। সেই বাধা উতরে সোমবার জিরো আওয়ারে লোকসভায় প্রবেশ করলেন রাহুল। অবিশ্যি এমনটিই হওয়ার কথা ছিল। প্রসঙ্গত চার মাস আগে রাহুলের লোকসভার সাংসদ পদ চলে গিয়েছিলো। বহু বছর আগে ভোটের প্রচার করতে গিয়ে রাহুল দক্ষিণ ভারতের এক সভায় প্রধানমন্ত্রীকে ব্যঙ্গ করে প্রশ্ন তুলেছিলেন যে, দেশের সব মোদীরাই কি এক রকম। তখন এই বিষয়ে বিজেপি আর উচ্চবাচ্য না করলেও সম্প্রতি কোনও এক গুজরাতে বসবাস করা মোদী, একটি নিম্ন আদালতে রাহুলের বিরুদ্ধে মামলা করে।
বিচারক আদেশ দেন যে, রাহুল জাতি বা গোষ্ঠীগত ভাবে অবমাননাকর মন্তব্য করেছেন। কাজেই তাঁর লোকসভার সদস্য পদ থাকবে না এবং তাঁর দু'বছর জেল হবে। অবিশ্যি রাহুল এই আদেশকে চ্যালেঞ্জ করে উচ্চ আদালতে যেতে পারবেন এমন বিকল্পের কথাও বলা হয়েছিল। সেই আদেশকে চ্যালেঞ্জ করে কংগ্রেসের পক্ষ থেকে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করা হয় এবং গত শুক্রবার উচ্চ আদালত সেই আদেশের উপর স্থগিতাদেশ দেন। কাজেই রাহুলের আর আইনসভায় আস্তে বাধা রইলো না। কিন্তু ভাবনা একটিই ছিল কংগ্রেস তথা 'ইন্ডিয়া' ফ্রন্ট্রের যে লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লা কি রাহুলকে সভায় অনুমতি দেবেন? সেই ভাবনার কাঁটাতেও সমস্যা থাকলো না যেহেতু ইতিমধ্যে স্পিকারের দফতর থেকে রাহুল গান্ধীর কাছে লোকসভায় আসতে অনুরোধ করা হয়েছে বলেই খবর।
সোমবার সকল থেকেই উৎসবের মেজাজে চলে যায় কংগ্রেস দল। রাহুলকে লোকসভায় এক প্রকার ধরে নিয়েই আসা হয়। রাহুলের আগমনকে টেবিল বাজিয়ে স্বাগতম জানায় বিরোধী দলের প্রতিনিধিরা। উঠে এসে রাহুলের পাশে দেখা যায় তৃণমূলের সদস্যদের। এরপর কংগ্রেসের পক্ষ থেকে মিষ্টি মুখ করানো হয় জোটের বিভিন্ন দলকে। এনডিএর বিজেপি ব্যাতিত অন্য দলের প্রতিনিধিদেরও শুভেচ্ছা বার্তা দিতে দেখা যায়। মোটের উপর বর্ষাকালীন অধিবেশনে রাহুল গান্ধী যে সরকার বিরোধী ভাষণ দেবেন তা নিঃসংকোচে বলে দেওয়া যায়।