যে চন্দ্রযান ৩ (Chandrayaan 3) সফল হওয়ার জন্য দেশের মুখ উজ্জ্বল হয়েছে বিশ্বদরবারে, সেই মহাকাশযান তৈরির পিছনে এক ইঞ্জিনিয়ারকে নাকি এখন দিন কাটাতে হচ্ছে রাস্তায় ইডলি, ধোসা বিক্রি করে। প্রায় ১৮ মাস ধরে তিনি বেতন পাননি বলে দাবি এক আন্তর্জাতিক সংবাদসংস্থার। চন্দ্রযান ৩-এর বিভিন্ন যন্ত্রপাতি তৈরির পিছনে তাঁর হাত রয়েছে বলে খবর। চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে প্রথমবার পৌঁছে ইতিহাস সৃষ্টি করার পরও এমন কেন হাল ইঞ্জিনিয়ারদের, তা নিয়ে বিতর্কের সৃষ্টি হয় মঙ্গলবার থেকে। কিন্তু কতটা সত্যি এই খবর, এই নিয়েই এবারে শুরু জল্পনা। মঙ্গলবার এই খবর ছড়িয়ে পরার পরই পিআইবি থেকে এই খবরকে 'ভুয়ো' বলে দাবি করা হচ্ছে।
গতকাল অর্থাৎ মঙ্গলবার খবরে আসে, চন্দ্রযান ৩-এর লঞ্চপ্যাড তৈরি করেছেন এইইসি-এর ইঞ্জিনিয়ার দীপক কুমার উপারারিয়া। আন্তর্জাতিক সংবাদসংস্থার তরফে দাবি করা হয়েছে, ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ইসরোর চন্দ্রযান-৩ মহাকাশযানের লঞ্চপ্যাড তৈরিতে যুক্ত ছিলেন দীপক কুমার উপরারিয়া (Deepak Kumar Uprariya)। হেভি ইঞ্জিনিয়ারিং কর্পোরেশন লিমিটেড (HEC)-তে কর্মরত তিনি। সম্প্রতি ঝাড়খণ্ডের রাঁচির রাস্তায় তাঁকে ঠেলাগাড়িতে ইডলি বিক্রি করতে দেখা গিয়েছে। ধুরওয়া এলাকায় পুরনো বিধানসভা ভবনের ঠিক উল্টোদিকের রাস্তায় ইডলি বিক্রি করেন তিনি। সকালে অফিসে যাওয়ার আগে ইডলি বিক্রি করেন ও অফিস থেকে ফিরেও আবার দোকানে যান। আর এতেই চলছে সংসার। শুধু তাই নয়, দাবি করা হয়েছে, দীপকের মতো আরও প্রায় ২৮০০ জন ইঞ্জিনিয়ার এইচইসি থেকে প্রায় ১৮ মাস ধরে বেতন পাননি।
কিন্তু এই সমস্ত দাবিকে মিথ্যা বলে উড়িয়ে দেয় কেন্দ্রীয় সরকার, সঙ্গে দেওয়া হয় 'প্রমাণ'। পিআইবি-এর তরফে জানানো হয়েছে, ইঞ্জিনিয়ারদের পারিশ্রমিক না পাওয়ার তথ্য় একেবারেই 'ভুয়ো'। আবার তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রকের সিনিয়র অ্যাডভাইজার কাঞ্চন গুপ্তা জানিয়েছেন, আন্তর্জাতিক সংবাদসংস্থার তরফে মিথ্যা অভিযোগ করা হয়েছে। এমনকি চন্দ্রযান ৩-এর কোনও যন্ত্রপাতি তৈরির নেপথ্যে এইচইসি ছিলই না। এইচইসি থেকে শুধুমাত্র পরিকাঠামোর জন্য কিছু সামগ্রী নেওয়া হয়েছিল।