বিশেষ অধিবেশনের আগে নতুন সংসদ ভবনে আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হল। আজ অর্থাৎ রবিবার রাজ্যসভার চেয়ারম্যান জগদীপ ধনখড় জাতীয় পতাকা উত্তোলন করলেন। সূত্রের খবর, সোমবার, ১৮ সেপ্টেম্বর থেকে বসছে সংসদের বিশেষ অধিবেশন। এদিন এই অনুষ্ঠানে মোদির উপস্থিত থাকার কথা থাকলেও তিনি থাকতে পারেননি। তবে অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকতে পারবেন না কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সভাপতি তথা রাজ্যসভার বিরোধী দলনেতা মল্লিকার্জুন খাড়্গে। অনুষ্ঠানে অংশ নিতে না পারার জন্য দুঃখ প্রকাশও করেছেন কংগ্রেস সভাপতি। আজকের এই অনুষ্ঠানের পর রীতি মেনে সর্বদলীয় বৈঠকও রয়েছে।
কেন্দ্রীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, রবিবার সকালেই নতুন সংসদ ভবনে জাতীয় পতাকা উত্তোলনের অনুষ্ঠান হবে। সমস্ত কেন্দ্রীয় নেতৃত্বরা এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন। আমন্ত্রিত বিরোধী দলের নেতারাও। এই অনুষ্ঠানের পর আজ বিকেল সাড়ে চারটে নাগাদ সর্বদলীয় বৈঠক হবে। আগামী ১৮ থেকে ২২ সেপ্টেম্বর সংসদে বিশেষ অধিবেশন বসছে। তার আগেই সমস্ত দলের নেতাদের নিয়ে বৈঠক করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
কেন্দ্রের ডাকা এই বিশেষ অধিবেশন ঘিরে জল্পনার শেষ নেই। কেন হঠাৎ বিশেষ অধিবেশন ডাকা হল, তা নিয়ে বিরোধীরা নানা রকমের প্রশ্ন তুলেছেন। পরে কেন্দ্রের তরফে এই অধিবেশনে আলোচ্যসূচি প্রকাশ করা হয়, যেখানে ৪টি বিলের উল্লেখ করা হয়েছে। এর মধ্যে অন্য়তম হল মুখ্য নির্বাচন কমিশনার সহ অন্যান্য কমিশনারদের নিয়োগ সংক্রান্ত বিল। এছাড়াও অ্যাডভোকেট (সংশোধনী) বিল, ২০২৩, প্রেস অ্যান্ড রেজিস্ট্রেশন অব পিরিওডিক্য়াল বিল ২০২৩, পোস্ট অফিস বিল পেশ করা হবে।
এই বিলগুলির মধ্যে বিরোধীরা নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ সংক্রান্ত বিলের বিরোধিতা করবে বিরোধীরা। কোন ইস্যুতে অধিবেশন, সেই নিয়েও কেন্দ্র ধোঁয়াশা রেখেছে বলে অভিযোগ বিরোধীদের। কেন্দ্রের তরফে জানানো হয়েছে, সংসদের বিশেষ অধিবেশনের প্রথম দিন সংসদের দুই কক্ষে স্বাধীনতার ৭৫ তম বর্ষ ও পুরনো সংসদ ভবনের ইতিহাস, ঐতিহ্য় নিয়ে আলোচনা করা হবে। এরপর ১৯ সেপ্টেম্বর থেকে নতুন সংসদ ভবনে অধিবেশন বসতে পারে।