অমানবিক! পরিচারিকার উপর অকথ্য অত্যাচারের অভিযোগে ঝাড়খণ্ডের (Jharkhand) বিজেপি নেত্রী সীমা পাত্রকে (Seema Patra) সাসপেন্ড (suspended BJP leader) করা হয়েছিল। অবশেষে রাঁচি পুলিস গ্রেফতার (arrested) করেছে তাঁকে। জানা গিয়েছে, আজ, বুধবার তাঁকে আদালতে পেশ করা হবে।
উল্লেখ্য, ঝাড়খণ্ডের বিজেপি মহিলা মোর্চার ন্যাশনাল কার্যকরী কমিটির সদস্য সীমা। তিনি অবসরপ্রাপ্ত আইএএস মহেশ্বর পাত্রর স্ত্রী। পরিচারিকার উপর পাশবিক অত্যাচারের ভিডিও ভাইরাল হতেই বিজেপি মঙ্গলবার সীমা পাত্রকে প্রথমে সাসপেন্ড ও পরে বরখাস্ত করে।
ভিডিওতে দেখা গিয়েছে, পরিচারিকা সুনিতা হাসপাতালের বিছানায় শুয়ে। তাঁর শরীর ও মুখে আঘাতের চিহ্ন। সুনিতা অভিযোগ করেছেন, তাঁর মালকিন সীমা তাঁকে রড এবং একটি লোহার প্যান দিয়ে মারধর করেছেন। তাঁকে মেঝে থেকে প্রস্রাব চাটতে বাধ্য করা হয়েছিল। এমনকি লোহার রড দিয়ে দাঁত ভেঙে দেয় বলেও অভিযোগ।
পরিচারিকা এও বলেন, 'যখন তাঁকে মারধর করা হচ্ছিল, তখন নেত্রীর ছেলে আয়ুষ্মান তাঁকে বাঁচাতে ছুটে এসেছিলেন। আয়ুষ্মান তাঁর বন্ধুর সাহায্য নিয়ে সুনিতাকে উদ্ধার করেন। এরপর আয়ুষ্মানের বন্ধু বিবেক আনন্দ বাস্কি থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। বাস্কি কর্মী ও প্রশাসনিক সংস্কার বিভাগের একজন স্টেশন অফিসার।
পাত্রর বাড়ি থেকে সুনিতাকে উদ্ধার করার পর, পুলিস তাঁকে চিকিৎসার জন্য রাজেন্দ্র ইনস্টিটিউট অফ মেডিকেল সায়েন্সে (RIMS) নিয়ে যায়। সুনিতার ওই নির্যাতনের ভিডিও ভাইরাল। এহেন ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই নিন্দার ঝড় ওঠে। ঝাড়খণ্ডের রাজ্যপাল রমেশ বৈশও মঙ্গলবার পুলিসের ডিজি নীরজ সিনহার সঙ্গে দেখা করেছেন এবং সাসপেন্ড করা বিজেপি নেত্রীর অপরাধ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে দেরি কেন, সে বিষয়ে ডিজির থেকজে রিপোর্ট তলব করেছেন রাজ্যপাল।
পুলিস জানিয়েছে, নেত্রীর স্বামীর বিরুদ্ধে কোনও প্রমাণ এখনও পাওয়া যায়নি।