চণ্ডীগড় বিশ্ববিদ্যালয়ের (Chandigarh University) ছাত্রীদের স্নানের ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় (Social Media) ফাঁস কাণ্ডে উঠে এল আরও চাঞ্চল্যকর তথ্য। এবার অরুণাচল প্রদেশ (Arunachal Pradesh) থেকে সেনাবাহিনীর (Army) এক সদস্যকে গ্রেফতার (Arrest) করল পঞ্জাব পুলিস। এ ঘটনায় এখনও পর্যন্ত মোট চার জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
অভিযোগ, ভিডিও করার জন্য ধৃত ছাত্রীকে ব্ল্যাকমেল করত সঞ্জীব সিং নামে এই সেনা। এর আগে পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছিল অভিযুক্ত ছাত্রীর প্রেমিক ও বন্ধু তাঁকে হুমকি দিত। একপ্রকার বাধ্য হয়েই সহপাঠীদের স্নানের ভিডিও করত ছাত্রী। বর্তমানে পুলিসি হেফাজতে রয়েছে প্রত্যেকে। এ ঘটনার প্রতিবাদে বিপুল সংখ্যক পড়ুয়া বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ অবস্থান শুরু করেন।
এক পুলিস আধিকারিক জানিয়েছেন, সঞ্জীবের বিরুদ্ধে নির্দিষ্ট তথ্যপ্রমাণের ভিত্তিতেই স্থানীয় পুলিস তাঁকে গ্রেফতার করতে অরুণাচল প্রদেশে পৌঁছয়। অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে অরুণাচলের বমডিলার মুখ্য বিচারবিভাগীয় আদালতে পেশ করা হয়। আদালতে তাঁকে দু’দিনের ট্রানজিট রিম্যান্ডে পঞ্জাবে নিয়ে যাওয়ার আবেদন জানানো হবে বলে জানিয়েছে পুলিস।
এই ঘটনার প্রতিক্রিয়া জানিয়ে পঞ্জাবের (Punjab) স্কুল শিক্ষামন্ত্রী এইচএস বেইনস চণ্ডীগড় বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রীদের শান্ত থাকার আবেদন জানিয়েছিলেন। এবং তাঁদের আশ্বস্ত করেছেন যে, দোষীদের রেহাই দেওয়া হবে না। সেই মতো এগোচ্ছে তদন্ত তা বলা যায়।
রিপোর্ট অনুযায়ী, ওই অভিযুক্ত ছাত্রী তাঁর সহকর্মী, হস্টেল সঙ্গীদের ভিডিও তৈরি করে হিমাচল প্রদেশের সিমলায় থাকা তাঁর প্রেমিকের কাছে পাঠাতেন। তিনি ইন্টারনেটে এমএমএস ক্লিপগুলি আপলোড করেছিলেন বলে অভিযোগ। স্নান করার ক্লিপ অনলাইনে প্রকাশিত হলে ছাত্রীরা কান্নায় ভেঙে পড়েন।
এই ঘটনায় কয়েকজন ছাত্রী আত্মহত্যার চেষ্টা করেছিল বলে খবর পাওয়া গিয়েছে। যদিও চণ্ডীগড় বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র কল্যাণ আধিকারিক জানিয়েছেন, কোনও আত্মহত্যার চেষ্টা করা হয়নি। "শুধুমাত্র একটি মেয়ে অজ্ঞান হয়ে গিয়েছিল। তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল এবং এখন স্থিতিশীল। বিষয়টি সাইবার ক্রাইম শাখাকে জানানো হয়েছে।"