একটি মামলা নিয়ে বচসার জেরে স্ত্রী ও দুই মেয়েকে অচেতন অবস্থায় পুড়িয়ে মারলেন বাবা। পরে নিজে কীটনাশক খেয়ে আত্মহত্যার (Suicide) চেষ্টা করেন। ঘটনাটি ঘটেছে বুধবার ভোরে কর্নাটকের (Karnataka) হেন্নুর গ্রামে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিস (Police)। সেখানে তিনজনের আধপোড়া শরীর এবং এক মাঝবয়সি ব্যক্তির অচেতন দেহ উদ্ধার করে তারা। পরে চারজনকেই হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকেরা জানান, ওই ব্যক্তি কীটনাশক খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছেন। আর বাকি তিনজনের মৃত্যু হয়েছে।
পুলিস সূত্রে খবর, ওই ব্যক্তির নাম সোনেগৌড়া ওরফে সোনাপ্পা। মঙ্গলবার রাত থেকে তাঁর স্ত্রী নেত্রার সঙ্গে একটি মামলা নিয়ে ঝগড়া শুরু হয়। এর আগে সোনাপ্পার বিরুদ্ধে গার্হস্থ্য হিংসার অভিযোগ এনেছিলেন নেত্রা। পুলিসের কাছে এফআইআর দায়ের করেছিলেন তিনি। সেই নিয়ে শুরু হয় ঝামেলা। বুধবার ভোরে পরিস্থিতি চরম পর্যায়ে পৌঁছয়। এরপরই স্ত্রী এবং দুই কিশোরী মেয়ের উপর চড়াও হন সোনাপ্পা।
প্রথমে ভোঁতা অস্ত্র দিয়ে আঘাত, তার পরে গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেন। জানা গিয়েছে, তাঁদের দুই কন্যার বয়স যথাক্রমে ১১ এবং ৯ বছর। জানা গিয়েছে, ওই মামলায় সোনাপ্পার থেকে ক্ষতিপূরণও চেয়েছিলেন তিনি। সোনাপ্পার বাবাকেও সেই মামলায় যুক্ত করে সম্পত্তির ভাগ চেয়েছিলেন নেত্রা। ওই ব্যক্তি বর্তমানে হাসপাতালের জরুরি বিভাগে চিকিৎসাধীন।