রেহাই পেল না চার বছর বয়সী কিন্ডারগার্ডেনের (KG School) ছাত্রীও। স্কুলের অধ্যক্ষের গাড়ির ড্রাইভারের যৌন লালসার (Sexually Harassment) শিকার হয় মেয়েটি বলে অভিযোগ। অভিযোগের ভিত্তিতে গ্রেফতার করা হয় ড্রাইভারকে। হায়দরাবাদের বানজারা হিলস এলাকায় ডিএভি পাবলিক স্কুলের ছাত্রী শিশু (Girl Child) মেয়েটি। মেয়েটির বাবা-মা তার আচরণে পরিবর্তন লক্ষ্য করেছিলেন। তাঁরা জানান, তাঁদের মেয়ে অস্বাভাবিকভাবে শান্ত হয়ে গিয়েছিল। প্রায় সময় বিষণ্ণ অবস্থায় দেখা যেত এবং অকারণে কাঁদত। এরপরই সন্দেহ হয় তাঁদের। মায়ের সঙ্গে কথা বলার পর অবশেষে লাঞ্ছনার কথা জানতে পারেন। সোমবার অধ্যক্ষের চেম্বারের কাছে একটি ল্যাবে তাকে নির্যাতন করে অধ্যক্ষের ড্রাইভার বলে জানায় মেয়েটি।
এই অমানবিক ঘটনার কথা জানতে পেরে মেয়েটির বাবা-মা এবং অন্য ছাত্র-ছাত্রীরা ও তাদের অভিভাবকরা স্কুলের সামনে জড়ো হয়ে প্রতিবাদ দেখান। গাড়ির চালককে ধরে মারধরও শুরু করেন সকলে। তখন মেয়েটি জানায়, দু'মাস ধরে তার উপর এই অত্যাচার করছে। মঙ্গলবার বাবা-মা তার সঙ্গে স্কুলে গেলে, ড্রাইভারের দিকে ইঙ্গিত করে মেয়েটি। এরপরে অভিভাবকরা অভিযোগ দায়ের করেন। এবং সেই দিনই অভিযুক্ত ড্রাইভারকে গ্রেফতার করা হয়। মেয়েটিকে একটি কাউন্সেলিং সেন্টারে পাঠানো হয়েছিল, যেখানে সে আরও বিস্তারিত জানায় এবং পরে তাকে বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হয়।
IPC-এর ৩৭৬ (ধর্ষণ) ধারা এবং পকসো আইনের অধীনে এই মামলা নথিভুক্ত করা হয়েছে। একজন সিনিয়র পুলিস আধিকারিক বলেছেন, ড্রাইভারটি স্কুলের পরীক্ষাগারগুলি রক্ষণাবেক্ষণ এবং স্টাফ সদস্যদের জন্য কাজ করতেন। এভাবে ক্যাম্পাসের অভ্যন্তরে শিক্ষার্থীদের সংস্পর্শে আসে। এটি আরও বলেছে যে তিনি অন্য ছাত্রদের হয়রানি বা লাঞ্ছিত করেছেন কিনা তা পুলিশ তদন্ত করে দেখছে।