মেঘভাঙা বৃষ্টি, ভূমিধসে (Landslide) বিপর্যস্ত হিমালয়ের দুই রাজ্যের জনজীবন। দিনের পর দিন হিমাচলপ্রদেশ (HimachalPradesh), উত্তরাখণ্ডে (Uttarakhand) মৃত্যুর সংখ্যা বেড়েই চলেছে। সূত্রের খবর, ১৩ অগাস্ট থেকে আজ অর্থাৎ বুধবার পর্যন্ত হিমাচলপ্রদেশ ও উত্তরাখণ্ডে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬৬ জন। মঙ্গলবার রাত পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা ছিল ৬৩ জন। বেশিরভাগ মৃত্যুই হয়েছে হিমাচলপ্রদেশে। প্রায় ৬০ জন মানুষের প্রাণ গিয়েছে এই প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে। রাজ্যের এমন পরিস্থিতিতে হিমাচলপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী সেখানকার সমস্ত স্কুল, কলেজ বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছেন।
১৩ অগাস্ট থেকে অনবরত বৃষ্টি হয়েই চলেছে উত্তরাখণ্ড ও হিমাচলপ্রদেশে। প্রবল বর্ষণের ফলে জলের তোড়ে ভেসে গিয়ে মৃত্যু হয়েছে কিছুজনের। আবার কেউ কেউ প্রাণ হারিয়েছেন ভূমিধসে চাপা পড়ে। মঙ্গলবার বিকেল সাড়ে পাঁচটা নাগাদ হিমাচলপ্রদেশের সিমলার কৃষ্ণনগর এলাকায় ধসের কারণে ভেঙে পড়ে চারটি বাড়ি। ধ্বংসাবশেষের তলায় চাপা পড়ে মারা যান দু’জন। আশঙ্কা করা হচ্ছে এখনও অন্তত পাঁচ থেকে দশ জন আটকে রয়েছেন। অন্যদিকে সোমবার সিমলার শিবমন্দির ভেঙে পড়ার পর সেখানকার ধ্বংসস্তূপ থেকেও একজনের দেহ উদ্ধার করা হয়েছে। রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী এখনও উদ্ধারকাজ চালাচ্ছে।
অন্যদিকে উত্তরাখণ্ডেও একই অবস্থা। তবে এই রাজ্যে মৃতের সংখ্যা হিমাচলপ্রদেশের তুলনায় কম। গত সোমবার থেকে টানা বৃষ্টি পড়ায় নদ-নদীর জল বিপদসীমার বাইরে অতিক্রম করেছে। ফলে জলের তোড়ে ভেসে গিয়েছেন ৪জন। এরপর খবরে এসেছে, পরে আরও দু'জনের দেহ উদ্ধার করা হয়েছে। সাতজন এখনও নিখোঁজ। ১৯ অগাস্ট পর্যন্ত উত্তরাখণ্ডের একাধিক জায়াগায় হলুদ সতর্কতা জারি করা হয়েছে।