Breaking News
Abhishek Banerjee: বিজেপি নেত্রীকে নিয়ে ‘আপত্তিকর’ মন্তব্যের অভিযোগ, প্রশাসনিক পদক্ষেপের দাবি জাতীয় মহিলা কমিশনের      Convocation: যাদবপুরের পর এবার রাষ্ট্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়, সমাবর্তনে স্থগিতাদেশ রাজভবনের      Sandeshkhali: স্ত্রীকে কাঁদতে দেখে কান্নায় ভেঙে পড়লেন 'সন্দেশখালির বাঘ'...      High Court: নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় প্রায় ২৬ হাজার চাকরি বাতিল, সুদ সহ বেতন ফেরতের নির্দেশ হাইকোর্টের      Sandeshkhali: সন্দেশখালিতে জমি দখল তদন্তে সক্রিয় সিবিআই, বয়ান রেকর্ড অভিযোগকারীদের      CBI: শাহজাহান বাহিনীর বিরুদ্ধে জমি দখলের অভিযোগ! তদন্তে সিবিআই      Vote: জীবিত অথচ ভোটার তালিকায় মৃত! ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত ধূপগুড়ির ১২ জন ভোটার      ED: মিলে গেল কালীঘাটের কাকুর কণ্ঠস্বর, শ্রীঘই হাইকোর্টে রিপোর্ট পেশ ইডির      Ram Navami: রামনবমীর আনন্দে মেতেছে অযোধ্যা, রামলালার কপালে প্রথম সূর্যতিলক      Train: দমদমে ২১ দিনের ট্রাফিক ব্লক, বাতিল একগুচ্ছ ট্রেন, প্রভাবিত কোন কোন রুট?     

scam

PM Modi: 'তৃণমূলের তো ভাইপোর চিন্তা,' শিলিগুড়ির সভা থেকে একযোগে তৃণমূলকে বিঁধলেন প্রধানমন্ত্রী ও অভিজিৎ

শিলিগুড়ির সভা থেকে তৃণমূলের বিরুদ্ধে তীব্র আক্রমণ শানালেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। পাশাপাশি মঞ্চে উপস্থিত থাকা কলকাতা হাইকোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি তথা অধুনা বিজেপি নেতা অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ও তৃণমূলকে ‘দুর্নীতিপরায়ণ’ বলে আক্রমণ করেন।

ভাইপোর কথা তুলেও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে বিঁধলেন নরেন্দ্র মোদী। প্রধানমন্ত্রী বলেন,'দেশবাসীকে বিনামূল্যে রেশন দিচ্ছে কেন্দ্র। অথচ এই বঙ্গে রেশন দুর্নীতিতেই জেলে খাদ্যমন্ত্রী। তাই রেশন নিয়েও এখানে দুর্নীতি হয়েছে।' এই সভায় তিনি ‘ভাইপো’ নিয়ে তৃণমূলকে আক্রমণ করেছেন। তাঁর মন্তব্য, 'তৃণমূল ভাইপোকে নিয়ে ব্যস্ত।'

অন্যদিকে, বিজেপিতে যোগদানের পর মোদীর সঙ্গে এটাই প্রথম সাক্ষাৎকার অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়-এর। সকাল থেকে আলাদাই আনন্দ ও উচ্ছ্বাস দেখা গিয়েছিল তাঁর মধ্যে। সেই ইচ্ছেই পূরণ হল শিলিগুড়ির সভামঞ্চে। কাছাকাছি বসার সুযোগও পেয়েছেন। হাত বাড়িয়ে দেন অভিজিতের দিকে। আর তিনি প্রধানমন্ত্রীর হাত দু’হাতে ধরে নিজের কপালে ছোঁয়ান। আর একেবারে সভার শেষে মোদীর কাছ থেকে সাহসের শংসাপত্রও পেলেন কলকাতা হাই কোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি।

একদিকে তৃণমূল যখন তাদের ১ লক্ষ কোটি টাকারও বেশি পাওনা আদায়ে মরিয়া, তখন শিলিগুড়িতে আজ নরেন্দ্র মোদী বলে গেলেন, তৃণমূল সরকার ২৫ লাখ ভুয়ো জবকার্ড তৈরি করে সাধারণ মানুষের টাকা সরিয়ে নিয়েছে। মানুষকে উজ্জ্বলা যোজনা থেকে বঞ্চিত করেছে।

2 months ago
Ration Scam: রেশন দুর্নীতি মামলায় দ্বিতীয় চার্জশিট পেশ ইডির...

শিয়রে লোকসভা নির্বাচন। তাই নির্বাচনের পূর্বে একের পর দুর্নীতির জাল গোটাতে তৎপর কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা মহল। ইডির রেশন দুর্নীতির তদন্তে ইতিমধ্যেই গ্রেফতার হয়েছে একাধিক রাঘববোয়াল। বনগাঁর প্রাক্তন চেয়ারম্যান শঙ্কর আঢ্য় গ্রেফতারের দু'মাসের মাথায় পেশ করা হল চার্জশিট।

 সূত্রের খবর, রেশন দুর্নীতি মামলায় দ্বিতীয় চার্জশিট দিতে চলেছে ইডি। আজ, মঙ্গলবার নগর দায়রা আদালতে চার্জশিট পেশ করতে চলেছে ইডি। শঙ্কর ছাড়াও তাঁর পরিবারের আরও কয়েকজনের নামও চার্জশিটে উল্লেখ থাকার সম্ভবনা রয়েছে। উল্লেখ্য, এর আগেরবারের চার্জশিটে শুধু শঙ্কর আঢ্য নয় তার পরিবারের আরও কয়েকজন এই দুর্নীতির নেপথ্যে রয়েছে বলে দাবি কেন্দ্রীয় গোয়েন্দামহলের। ফরেক্স ছাড়াও শঙ্করের পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের একাধিক কোম্পানির নামও ছিল চার্জশিটে।

2 months ago
Ration Scam: রেশন দুর্নীতির দ্বিতীয় চার্জশিটে শঙ্কর আঢ্য ও তাঁর পরিবারের নাম

শিয়রে লোকসভা নির্বাচন। তাই নির্বাচনের পূর্বে একের পর দুর্নীতির জাল গোটাতে তৎপর কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা মহল। ইডির রেশন দুর্নীতির তদন্তে ইতিমধ্যেই গ্রেফতার হয়েছে একাধিক রাঘববোয়াল। ধৃত মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক ও বাকিবুর রহমানের বিরুদ্ধে চার্জশিটও জমা দিয়েছিল ইডি। সেই দুর্নীতির সূত্র ধরে সম্প্রতি পুলিসের জালে ধরা পড়েছে সন্দেশখালির প্রভাবশালী তৃণমূল নেতা শেখ শাহজাহান। আগামী সপ্তাহে রেশন দুর্নীতি মামলায় দ্বিতীয়বার চার্জশিট জমা দেওয়ার সিদ্ধান্ত ইনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের। বনগাঁর প্রাক্তন চেয়ারম্যান তথা ধৃত তৃণমূল নেতা শঙ্কর আঢ্য ও তাঁর বিভিন্ন ফরেক্স সংস্থার বিরুদ্ধেও একাধিক তথ্যের উল্লেখ চার্জশিটে রয়েছে বলে সূত্রের খবর। তবে শুধু শঙ্কর আঢ্য নয় তার পরিবারের আরও কয়েকজন এই দুর্নীতির নেপথ্যে রয়েছে বলে দাবি কেন্দ্রীয় গোয়েন্দামহলের। ফরেক্স ছাড়াও শঙ্করের পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের একাধিক কোম্পানির নামও থাকার সম্ভাবনা রয়েছে চার্জশিটে।

কিন্তু তদন্ত এখানেই শেষ নয়। দুর্নীতির রহস্যের পর্দাফাঁস করতে ইডির দ্বিতীয় চার্জশিটেও রেশন বন্টনে কারচুপিতে ধৃত মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের ভূমিকা সংক্রান্ত তথ্য থাকছে। মূলত রেশন দুর্নীতির টাকা বালু ওরফে জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের হাত ঘুরে কিভাবে শঙ্কর আঢ্যের মাধ্যমে বিদেশে পাচার হয়েছে? এমনকি দুবাইতে যে সংস্থায় রেশন দুর্নীতির টাকা লগ্নি হয়েছে তারও স্পষ্ট উল্লেখ রয়েছে চার্জশিটে। সূত্রের খবর এর আগে শঙ্কর ও তার কোম্পানির মাধ্যমে লক্ষ লক্ষ টাকা দুবাইতে পাঠানোর তথ্য হাতে এসেছিল ইডির।  ভারতীয় মুদ্রায় প্রায় ৬৬ লক্ষেরও বেশি টাকা পাঠানো হয়েছিল শঙ্কর ওরফে ডাকু মারফত। এখন ইডির পেশ করা দ্বিতীয় চার্জশিটে রেশন বন্টন দুর্নীতির আর কোন কোন সত্য প্রকাশ পায় সেটাই দেখার।

2 months ago


ED: নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ধৃত প্রসন্ন রায়-এর ইডি হেফাজত, স্বাস্থ্য পরীক্ষার পর সিজিওতে প্রসন্ন

শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে ফের কেন্দ্রীয় গোয়েন্দাদের হাতে গ্রেফতার মিডলম্যান প্রসন্ন রায়। ৪ঠা মার্চ পর্যন্ত ইডি হেফাজতেই অভিযুক্ত। নিয়ম মোতাবেক শুক্রবারও বিধাননগর মহকুমা হাসপাতালে স্বাস্থ্যপরীক্ষার পর সিজিও নিয়ে আসা হল নিয়োগ দুর্নীতির অন্যতম অভিযুক্ত প্রসন্ন রায়কে। মূলত প্রথমে শিক্ষক নিয়োগে কারচুপির ঘটনায় মিডলম্যান হিসেবে সিবিআইয়ের হাতে গ্রেফতার হয়েছিলেন প্রসন্ন রায়। কিন্তু গতবছর সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে জামিনে ছাড়া পেয়ে যান তিনি। যদিও তার বিপুল অঙ্কের সম্পত্তি দেখে সন্দেহ থেকেই গিয়েছিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকদের। এমনকি অভিযোগ উঠে আসে যে সিবিআই-এর গ্রেফতারির পরও জেল হেফাজতে থাকাকালীন সম্পত্তি বিক্রির চেষ্টা করেছিলেন নিয়োগ দুর্নীতির এই মিডলম্যান। প্রসন্ন রায়ের এই বিপুল পরিমাণ সম্পত্তির উৎস কী? নিয়োগ দুর্নীতির কালো টাকাতেই বৈভব ফুলেফেঁপে উঠেছে প্রসন্ন রায়ের? টাকার যোগানটাই বা তাকে দিত কে? প্রসন্নকে নিজেদের হেফাজতে নিয়ে তারই তথ্য সন্ধানে  কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকরা।

প্রসঙ্গত, ১৮ জানুয়ারি প্রসন্ন রায়ের বাড়ি ও অফিসে তল্লাশি চালায় ইডি। প্রসন্ন রায়ের নিউটাউনের অফিস থেকে একাধিক নথি উদ্ধার করেছিল ইডি আধিকারিকরা। উদ্ধার হয় ৪০০-র বেশি দলিল, শতাধিক এটিএম ও ৭০টি প্যানকার্ড। তদন্তে দেখা গিয়েছে যে, দলিলগুলি উদ্ধার হয়েছে, তা ছিল প্রসন্ন রায়ের অফিসের বেতনভুক কর্মীদের নামে। মূলত ইডির হাতে উঠে আসে প্রসন্নর একাধিক সম্পত্তির নথি ও তথ্য প্রমাণ। প্রসন্ন রায়ের ১০০ কোটির বেশি সম্পত্তির হদিশ পায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকরা। এই সব নথির উপর ভিত্তি করেই দ্বিতীয়বার গ্রেফতার হয়েছিলেন প্রসন্ন। বুধবার সেই নিয়োগ দুর্নীতি সংক্রান্ত মামলায় প্রসন্নর হয়ে আদালতে সওয়াল করেন আইনজীবী অনির্বাণ গুহঠাকুরতা।

কিন্তু আদালতে প্রসন্ন রায়ের জামিনের আবেদন করেননি আইনজীবী। বরং ইডির তরফে আদালতে প্রসন্ন রায়ের ২০০টি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট এবং ১০০টি কোম্পানির তথ্য প্রমাণ পেশ করতে দেখা যায় এদিন। পাশাপাশি ইডির আইনজীবী ভাস্করপ্রসাদ বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, মিডলম্যান প্রসন্নর ৯৭টি সম্পত্তির হদিশ এবং ৭০ কোটি টাকার হিসাব খতিয়ে দেখা হচ্ছে। বাদী-বিবাদী পক্ষের সওয়াল জবাবের ভিত্তিতে আপাতত ইডি হেফাজতেই প্রসন্ন। এখন  ইডির প্রশ্নবাণে অভিযুক্ত প্রসন্ন রায়ের কাছ থেকে নিয়োগ দুর্নীতি সংক্রান্ত আর কোন কোন তথ্যের সন্ধান মেলে সেটাই দেখার।

2 months ago
Ration Scam: কালো টাকা সাদা করার কারবার! আদালতে পেশ ব্যবসায়ী বিশ্বজিৎ দাসকে

রেশনবন্টন দুর্নীতির তদন্তের গতি বাড়াতেই ধৃত শঙ্কর আঢ্যের কোম্পানির সূত্র ধরেই সামনে এসেছিল তার ম্যানেজার ব্যবসায়ী বিশ্বজিৎ দাসের নাম। আপাতত ইডি হেফাজতেই ঠাঁই হয়েছে ব্যবসায়ীর। মঙ্গলবার হেফাজত শেষে ফের আদালতে পেশ ধৃত বিশ্বজিৎ দাসকে।

সূত্রের খবর, দফায় দফায় জিজ্ঞাসাবাদে একাধিক অভিযোগ উঠে এসেছে ধৃত ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে। মূলত ইডি গোয়েন্দামহলের দাবি, তদন্তে অসহযোগিতা করছে বিশ্বজিৎ দাস। মানি এক্সচেঞ্জিং, আমদানি-রপ্তানি সহ সোনার গয়নার ব্যবসা রয়েছে বিশ্বজিতের। দুর্নীতির কালো টাকাও, ধৃত বিশ্বজিৎ দাসের মাধ্যমেই দুবাই সহ বিভিন্ন দেশের পাচার করা হত বলে ইডি সূত্রে খবর। কিন্তু তাঁর এই দুর্নীতির কারবারের সঙ্গে ধৃত মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের যোগাযোগ রয়েছে কি? ব্যবসায় কোনওভাবে কি মন্ত্রী টাকা লেনদেন করেছিলেন? ইডির প্রশ্ন কার্যত এড়িয়ে গিয়েছেন ব্যবসায়ী বিশ্বজিৎ দাস। এমনকি শেখ শাহজাহানের প্রসঙ্গ উঠলেও নীরব থাকতে দেখা গিয়েছে বিশ্বজিতকে।

প্রসঙ্গত, বিশ্বজিতের বাড়ি ও অফিসে তল্লাশি চালিয়ে ইডির আধিকারিকরা উদ্ধার করেছিলেন হাওয়ালা সংক্রান্ত বিপুল নথি। প্রমাণ মিলেছিল তারা নানাবিধ অসাধু কারবারের।২০১৬-২০১৭ এর মধ্যে দুবাইতে বিশ্বজিতের ৩টি কোম্পানির হদিসও পেয়েছিল ইডি। যাবতীয় প্রমাণ এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের হাতে আসার পরও বিশ্বজিৎ দাসের নিজেকে বার বার নির্দোষ দাবি করার মরিয়া চেষ্টা আদতে যে ধোপে টিকবে না তা সহজেই অনুমেয়। আগামীদিনে ইডির প্রশ্নবাণে ধৃত ব্যবসায়ীর কাছ থেকে রেশন দুর্নীতি সংক্রান্ত নতুন কোনও তথ্যের সন্ধান মেলে কিনা এখন সেটাই দেখার।

2 months ago


ED: দুর্নীতির 'মাধ্যম' শাহজাহান ঘনিষ্ঠ ব্যবসায়ীর এক্সপোর্ট সংস্থা, সিজিওতে হাজিরা অরুণ সেনগুপ্তের

রেশন বন্টনে দুর্নীতির সূত্র ধরে একের পর এক রাঘব বোয়ালের নাম উঠে আসছে ইডির হাতে। সেই দুর্নীতির তদন্ত করতে গিয়ে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দাদের নজরে আসে সন্দেশখালির বেতাজ বাদশাহ শাহজাহান। সময় যত এগিয়েছে ততই তার একের পর এক অপকর্ম প্রকাশ্যে এসেছে। ইডির স্ক্যানারে এসেছে শাহজাহান ঘনিষ্ঠ একাধিক ব্যবসায়ীও। তল্লাশি হয়েছিল শাহজাহানের ঘনিষ্ঠ ব্যবসায়ীদের বাড়িতেও। ব্যবসায়ী অরুণ সেনগুপ্তের বিরাটির বাড়ি ও ফার্মেও হানা দেয় ইডি। খোঁজ মেলে ব্যবসায়ীর নিজস্ব এক্সপোর্ট সংস্থা ম্যাগনাম এক্সপোর্ট কোম্পানির। দুর্নীতির তদন্তের খাতিরে আজ, মঙ্গলবার ইডি দফতরে এলেন অরুণ সেনগুপ্ত। সূত্রের খবর, বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ নথি বিশেষ করে মাছ বিক্রির বিল সহ ব্যাঙ্কের একাধিক নথি নিয়ে হাজিরা দেন তিনি। সোমবার তলব করা হলেও এদিন অরুণ তনয়া ও ব্যবসায়ীর আইনজীবী উপস্থিত হন ইডি দফতরে।

তদন্তে জানা গিয়েছিল, ম্যাগনাম এক্সপোর্ট কোম্পানির কর্ণধার অরুণ সেনগুপ্ত। এই কোম্পানি মূলত চিংড়ি রপ্তানির সঙ্গে জড়িত। ম্যাগনাম এক্সপোর্ট কোম্পানি মারফত বাইরের দেশে ব্যাবসায়ীর মাছ ব্যবসার মাধ্যমেই টাকা পাচার করা হত বলে সূত্রের খবর।অরুণ সেনগুপ্তের বাড়িতে ইডির তল্লাশিতে বিদেশে মাছ চালানোর কিছু বিল হাতে এসে পৌঁছলেও সম্পূর্ণ তথ্য প্রমাণ এখনও হাতে পায়নি তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকরা।

আপাতত শেখ শাহজাহানের সঙ্গে ওই ব্যবসায়ীর কবে থেকে সম্পর্ক? রেশন দুর্নীতির কালো টাকা কোনওভাবে এই ব্যবসায় ব্যবহার করা হয়েছে কিনা? সে বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করবেন ইডি আধিকারিকরা, এমনটাই সূত্রের খবর। সপ্তাহের শুরুতেই এবার রেশন দুর্নীতির এই রহস্য কোন দিকে মোড় নেই সেটাই দেখার।

2 months ago
Shankar Adhya: 'বালু-বিশ্বজিৎকে চিনি না', চিকিৎসার জন্য কাতর আবেদন শঙ্করের

রেশন বন্টন দুর্নীতির তদন্তে নেমে বাকিবুর ও বালুর সূত্র ধরে ইডির জালে ধরা পড়েছিল দাপুটে রাঘব বোয়াল বনগাঁর প্রাক্তন চেয়ারম্যান তথা তৃণমূল নেতা শঙ্কর আঢ্য। আর্থিক দুর্নীতি, বিদেশে মুদ্রা পাচার-সহ পরিবারের নামে একাধিক কোম্পানি এমনকি নিজের নামেও একাধিক FFMC কোম্পানি, সবেতেই যে দুর্নীতির কাণ্ডারি শঙ্কর, সেই তথ্যের সন্ধান মিলেছিল ইডির তল্লাশিতে। ইডির হাতে এসেছিল শঙ্করের ফরেন মানি এক্সচেঞ্জ কোম্পানির খোঁজও। শঙ্কর ও তাঁর পুত্র শুভ আঢ্যের বিদেশি কোম্পানির হদিশও পেয়েছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দামহল।

ইতিমধ্যেই, শুক্রবার নগর দায়রা আদালতে পেশ করা হয়েছে রেশন বন্টন দুর্নীতিতে ধৃত শঙ্কর আঢ্য ঘনিষ্ঠ ব্যবসায়ী বিশ্বজিৎ দাসকে। শনিবার ধৃত বনগাঁ পুরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান শঙ্কর আঢ্যর মামলা কলকাতার নগর দায়রা আদালতে পেশ করা হয়। আলিপুর সংশোধনাগার থেকে ধৃত শঙ্কর আঢ্যকে আদালতে নিয়ে আসার সময় সাংবাদিকদের প্রশ্নে তিনি জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক বা বিশ্বজিৎ দাসকে চেনেন না, এমনই চাঞ্চল্যকর মন্তব্য করেন।

সাংবাদিক শঙ্কর আঢ্যকে প্রশ্ন করেন, জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের কালো টাকা বিশ্বজিৎ দাসের হাত ঘুরে আপনার কোম্পানিতে আসতো? শঙ্করের সাফ জবাব, 'চিনি না... আমি এদের কাউকেই চিনি না।'

এদিন ইডির বিশেষ আদালতে শঙ্কর আঢ্যের মামলা চলে ভারপ্রাপ্ত বিচারক শুভেন্দু সাহার অধীনে। শঙ্করের আইনজীবী হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আইনজীবী জাকির হুসেন এবং আইনজীবী শ্যামল ঘোষ। পাশাপাশি ইডির তরফে ছিলেন আইনজীবী ভাস্কর প্রসাদ বন্দ্যোপাধ্যায়।

সূত্রের খবর, এদিন শঙ্কর আঢ্যর আইনজীবী, আদালতে সিজার লিস্ট এবং কেস ডাইরির আবেদন জানান। কোনও জামিনের আবেদন করা হয়নি শঙ্কর আঢ্যর আইনজীবীর তরফে। অন্যদিকে ইডির তরফে শঙ্কর আঢ্যর জেল হেফাজতের জন্য আবেদন করা হয়েছে আদালতে। তবে শনিবার আদালতে বিচারকের কাছে কাতর আবেদন ধৃত শঙ্কর আঢ্যর।

এখন গরিবের অন্ন নিয়ে ঠিক কত পরিমাণ দুর্নীতিতে মজেছিলেন শঙ্কর আঢ্য ওরফে ডাকু? তা জানার অপেক্ষাতেই বঙ্গের ওয়াকিবহাল মহল।

2 months ago
Ration Scam: 'আমার সঙ্গে অন্যায় হয়েছে'! চাঞ্চল্যকর দাবি রেশন বন্টন দুর্নীতিতে ধৃত বিশ্বজিতের

সম্প্রতি রেশন বন্টন দুর্নীতিতে ধৃত শঙ্কর আঢ্যের কোম্পানির সূত্র ধরে ব্যবসায়ী বিশ্বজিৎ দাসের বাড়িতে প্রায় ২৪ ঘণ্টা তল্লাশি চালানোর পর অবশেষে গ্রেফতার হয়েছিলেন তিনি। শুক্রবার পৰ্যন্ত ইডি হেফাজতের নির্দেশ ছিল তাঁর। এদিন যখন তাঁকে আদালতে তোলার জন্য বের করা হয় তখন সাংবাদিকদের মুখোমুখি হলে তিনি জানান, 'আমার সঙ্গে অন্যায় হয়েছে।'

যদিও, ১৪ ফেব্রুয়ারি গ্রেফতার হওয়া বিশ্বজিতের বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে ইডির আধিকারিকরা উদ্ধার করেছিলেন হাওয়ালা সংক্রান্ত বিপুল নথি। শঙ্কর আঢ্য ঘনিষ্ঠ এই ব্যবসায়ীর বিদেশি মুদ্রা কেনাবেচার ব্যবসা রয়েছে, পাশাপাশি, এক্সপোর্ট ইম্পোর্ট-এর ব্যবসাও রয়েছে তাঁর। বিশ্বজিতের অফিসে কর্মরত কর্মীর বয়ান থেকেও জানা যায়, হাওয়ালার মাধ্যমে টাকা পাচারের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন বিশ্বজিৎ। শুধু বিদেশি মুদ্রা কেনাবেচাই নয়, শঙ্কর আঢ্যর কথামতো বাইরের দেশে ঘুরপথে কালো টাকাকে সাদা করার কাজও করতেন বিশ্বজিৎ দাস।

আর শুক্রবার ব্যাঙ্কশাল কোর্টে যাওয়ার আগেও সেই বিশ্বজিৎ বলছেন, তিনি অন্যায় করেননি। গত বুধবার যখন গ্রেফতারির পর তাঁকে আদালতে তোলা হয় বলেছিলেন, তিনি শঙ্করকে চেনেন না। শুক্রবার তিনিই বললেন, শঙ্করকে তিনি চেনেন, কিন্তু ঘনিষ্ঠতা নেই তেমন।  ফলে বক্তব্যে অসঙ্গতি ক্রমশই স্পষ্ট হচ্ছে বিশ্বজিতের। এখন দেখার, বিশ্বজিতের সূত্র ধরে আরও কোনও রাঘব বোয়ালের নাম গরুবের চাল চুরির কালো টাকা সাদা করার ক্ষেত্রে উঠে আসে কি না।

2 months ago


ED Raid: সাতসকালে রেশন দুর্নীতি মামলায় অভিযান ইডির, সল্টলেক সহ একাধিক জায়গায় তল্লাশি

রেশন দুর্নীতি মামলায় মঙ্গলবার সকাল থেকে ফের তেড়ে ফুঁড়ে উঠেছে ইডি। কলকাতার বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশি অভিযান চালাচ্ছেন ইডি আধিকারিকরা। গত কয়েকদিনের তদন্তে বেশ কিছু নতুন তথ্য হাতে আসে ইডির হাতে। তারপরেই এই তল্লাশি অভিযান বলে জানা গিয়েছে। কীভাবে টাকা পাচার করা হয়েছে, কোন কোন ফরেন এক্সচেঞ্জ সংস্থা যুক্ত রয়েছে তা নিয়ে খোঁজ খবর করছে ইডি।

এদিন বিধাননগর আইবি ব্লকে বিশ্বজিৎ দাসের বাড়িতে হানা দেয় ইডি। সকাল সাতটা কুড়ি মিনিট নাগাদ ইডি আধিকারিকের ৫ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল এসে পৌঁছয় মেট্রোপলিটনে বিশ্বজিৎ দাসের ফ্ল্যাটে। বিশ্বজিৎ দাসের যে ফ্ল্যাটে প্রথমে সকালবেলা আধিকারিকরা গিয়েছিলেন ওই ফ্ল্যাটটি মূলত ভাড়া দেওয়া। মেট্রোপলিটনের সেই ফ্ল্যাট থেকে বেরিয়ে পাশেই আরও একটি ফ্ল্যাটে এলেন আধিকারিকরা। সেই ফ্ল্যাটে বিশ্বজিৎ না থাকলেও তাঁর বাড়ির কর্মীরা রয়েছে, ফলে তাঁদের সঙ্গে গিয়ে কথা বলেন আধিকারিকরা। ইডি আধিকারিকদের অনুমান, যেহেতু শঙ্কর আঢ্য এবং বিশ্বজিৎ অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ ছিল, ফলে রেশন বন্টন দুর্নীতির ক্ষেত্রে যে ১০ হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাচার হয়েছে, তার মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে এই বিশ্বজিৎ-এর ফরেক্স কোম্পানির।

এদিন ইডির আধিকারিকরা বিধাননগর ছাড়াও মেট্রোপলিটন, মধ্য কলকাতা, পোর্ট, বাগুইআটি এলাকায় তল্লাশি চালায়। উল্লেখ করা যেতে পারে, ইডির আধিকারিকরা এর মধ্যে জেল হেফাজতে থাকা জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক এবং শঙ্কর আঢ্যকেও জেরা করেন এবং তাদের হাতে পাওয়া তথ্য মিলিয়ে দেখার চেষ্টা করেন।

3 months ago
Ration Scam: বাগুইআটিতে বড়ঞা কাণ্ডের ছায়া, ইডি আসতেই জীবনকৃষ্ণের মতোই মোবাইল ছুড়ে ফেললেন ব্যবসায়ী

রেশন দুর্নীতিকাণ্ডে ফের 'অ্যাকশন মোডে' ইডি। শহরের একাধিক জায়গায় সকাল থেকে তল্লাশি অভিযান শুরু করেছেন তদন্তকারী অফিসাররা। বাগুইআটিতে এক ব্যবসায়ীর বাড়িতে ইডি ঢুকতেই একেবারে বড়ঞার বিধায়ক জীবনকৃষ্ণের মতো মোবাইল ছুঁড়ে দিলেন পাশের ফ্ল্যাটের ছাদে। পাঁচিল টপকে মোবাইল উদ্ধার করলেন ইডি আধিকারিকরা।

কয়েকমাস আগে নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় মুর্শিদাবাদের বড়ঞায় বিধায়ক জীবনকৃষ্ণের বাড়িতে তল্লাশি অভিযানে গিয়েছিল ইডি। সেসময় বিধায়ক প্রমাণ লোপাট করতে তাঁর মোবাইলটি বাড়ির পুকুরে জলে ফেলে দিয়েছিলেন। ইডিও নাছোড়, সেই মোবাইলটি পুকুর থেকে খুঁজে বের করে আনে। প্রমাণ লোপাট করতেই বিধায়ক মোবাইলটি জলে ছুঁড়ে ফেলেছিলেন বলে দাবি করেছিল ইডি।

যদিও মোবাইল জলে ফেলেও শেষ রক্ষা হয়নি। ইডির হতে গ্রেফতার হতে জয়েছিল বিধায়ককে। এবার রেশন দুর্নীতিকাণ্ডে মঙ্গলবার সকাল থেকে শহরের একাধিক জায়গায় তল্লাশি অভিযান শুরু করেছেন তদন্তকারীরা। কৈখালির এক অভিজাত আবাসনে তল্লাশি অভিযানে যান ইডি আধিকারিকরা। জানা যাচ্ছে, বাকিবুরের নামে ওই ফ্ল্যাট। কিন্তু বাকিবুর নয়, এই ফ্ল্যাটে থাকেন ঘনিষ্ঠ ব্যবসায়ী হানিস তোসিবাল। ইডি ফ্ল্যাটে ঢুকতেই ব্যবসায়ী তাঁর মোবাইল ফোনটি ছুঁড়ে ফেলে দেন। সেই মোবাইলদুটিই উদ্ধার করেছে ইডি। তার একটির ব্যাক কভারে ৫০০ টাকা নোট ছিল বলে জানা গিয়েছে। মোবাইলটি উঁচু থেকে ছুঁড়ে ফেলতেই ব্যাক কভারটি খুলে ৫০০ টাকার নোটটি বেরিয়ে এসেছিল। সেটিও উদ্ধার করে নিয়ে গিয়েছেন তদন্তকারীরা। ব্যবসায়ীর কীর্তি দেখে ইডি দাবি করেছে তথ্য লোপাট করতেই তিনি মোবাইলটি ফেলে দিয়েছেন। কলকাতা শহরের বেশ কয়েকটি জায়গায়ও একযোগে চলছে তল্লাশি।

বাগুইআটি ছাড়াও নিউআলিপুরের একটি বহুতলে এবং সল্টলেকের আইবি ব্লকে চলছে ইডি অভিযান। ইডির ৮ থেকে ১০টি টিম এখন শহরের বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশি চালাচ্ছে। ৮ নম্বর সদরস্ট্রিটের একটি বৈদেশিক মুদ্রা বিনিময়ের অফিসেও তল্লাশি অভিযান চালাচ্ছে ইডি। এছাড়া পার্কস্ট্রিটেও একটি বাড়িতে চলছে ইডি অভিযান।

3 months ago


ED: প্রকাশ্যে বিস্ফোরক তথ্য! এই প্রথম সংশোধনাগারে গিয়ে বালুকে ইডির জিজ্ঞাসাবাদ

ফের রেশন বন্টন দুর্নীতি মামলায় তৎপর এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের আধিকারিকরা।হাসপাতাল থেকে জেলে যাওয়ার পর এই প্রথমবার প্রেসিডেন্সি জেলে গিয়ে ধৃত জ্যোতিপ্রিয় মল্লিককে জিজ্ঞাসাবাদ করলেন এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের আধিকারিকরা।

প্রসঙ্গত, জানুয়ারির শেষের দিকে ব্যাঙ্কশাল কোর্টে জমা দেওয়া রিপোর্টে চাঞ্চল্যকর তথ্য দিয়েছিল ইডি। বলা হয়েছিল, রেশন বন্টনে দুর্নীতি হচ্ছে তা নিজে মুখে স্বীকার করেছেন জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। তাঁর নির্দেশেই বাংলায় বিস্তার ঘটেছিল রেশন বন্টন দুর্নীতির জাল। প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী বর্তমানে ধৃত জ্যোতিপ্রয় মল্লিকের নির্দেশেই ধৃত প্রাক্তন পুর প্রধান শঙ্কর আঢ্য ওরফে ডাকুর কোম্পানির মাধ্যমে বিদেশে পৌঁছে যেত গরিবের চাল চুরির বিপুল টাকা। এই গোটা চক্রে একাধিক মিল মালিক ও সন্দেহজনক কয়েকজন প্রভাবশালী যুক্ত বলে দাবি করা হয়েছিল ইডির তরফে। এছাড়াও আরও বিভিন্ন তথ্য নাগালে এসেছে ইডির, এমনটাই সূত্রের খবর। যার জেরেই বুধবার একেবারে জেলে গিয়ে বালুকে জিজ্ঞাসাবাদ ইডির আধিকারিকদের।

3 months ago
Shankar Adhya: ফের বিপাকে শঙ্কর, আদালতে বিস্ফোরক দাবি ইডির

শঙ্কর আঢ্য এই মুহূর্তে ইডির হাতে গ্রেফতার হয়ে রয়েছেন জেলে। তাঁকে নিয়ে চলছেই ইডির তদন্ত। আগেই জানা গিয়েছিল, আর্থিক দুর্নীতি, বিদেশে মুদ্রা পাচার-সহ পরিবারের নামে একাধিক কোম্পানি এমনকি নিজের নামেও একাধিক FFMC কোম্পানি, সবেতেই দুর্নীতির শিরোমণি মন্ত্রী ঘনিষ্ঠ শঙ্কর। ইডির হাতে এসেছিল শঙ্করের ফরেন মানি এক্সচেঞ্জ কোম্পানির খোঁজও।

এবার, শঙ্করকে নিয়ে আদালতেও বিস্ফোরক দাবি ইডির। দুবাইতে শঙ্করের ফরেক্স কোম্পানির নথি, আদালতে পেশ করল ইডি। জানা যাচ্ছে, শঙ্কর ও তার কোম্পানির মাধ্যমে লক্ষ লক্ষ টাকা পাঠানো হত দুবাইতে। ভারতীয় মুদ্রায় প্রায় ৬৬ লক্ষেরও বেশি টাকা পাঠানো হয়েছে শঙ্কর ওরফে ডাকু মারফত।

সবমিলিয়ে, গরিবের চাল চুরির দুর্নীতিতে শঙ্করের নাম জোড়ার পর থেকেই তদন্তে যা তথ্য তাকে নিয়ে উঠে আসছে, তাতে তদন্তকারী সংস্থার বুঝতে বাকি নেই যে শঙ্করের দুর্নীতির শিকড় আরও গভীরে। দিন যতই এগোচ্ছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দাদের তল্লাশিতে ততই প্রকাশ্যে আসছে একের পর গুরুত্বপূর্ণ তথ্যপ্রমাণ। এখন আদালতে শঙ্করের কোম্পানির নথি পেশ করার পর, খতিয়ে দেখা হচ্ছে এই টাকার সঙ্গে রেশন বন্টন দুর্নীতির যোগ ঠিক কতটা। দেখা হচ্ছে, গরিবের অন্ন  নিয়ে ঠিক কতটা পরিমাণ দুর্নীতিতে মজেছিলেন শঙ্কর আঢ্য ওরফে ডাকু। 

3 months ago
Ration Scam: রেশন দুর্নীতিতে নয়া তথ্য, ভুয়ো রেশন দোকানের হদিশ

রেশন বণ্টন দুর্নীতির শেকড় খুঁজতে গিয়ে প্রায়শই নিত্য নতুন তথ্য উঠে আসছে ইডির তদন্তে। ইতিমধ্যেই এই রেশন দুর্নীতিতে ইডির হাতে একে একে গ্রেফতার হয়েছেন ব্যবসায়ী বাকিবুর রহমান, মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক এবং বনগাঁর প্রাক্তন চেয়ারম্যান শঙ্কর আঢ্য। এবার ইডি তদন্তে উঠে এলো নয়া তথ্য। জানা গিয়েছে, অধিকাংশ রেশন দোকানেই  রেশন ডিলার এবং মালিকদের থেকে প্রায়শই  মাসে ৪ হাজার করে টাকা নেওয়া হতো। যে টাকা ঘুরপথে চলে যেত মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয়র ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে। ইডি তদন্তে পাওয়া গিয়েছে, বহু ভুয়ো রেশন দোকানের হদিশ। এই ভুয়ো রেশন দোকানগুলোকে ব্যবহার করেই  সেখান থেকে প্রায়  ৩০০ কোটির বেশি টাকা তোলা হয়েছে যা বর্তমানে ২০ হাজার কোটি ছাড়িয়েছে। ইতিমধ্যেই এইসব তথ্য আদালতেও জানিয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডি।

রেশন দুর্নীতির জাল গোটাতে গিয়ে রীতিমত হাঁপিয়ে যাচ্ছেন ইডির আধিকারিকরা কিন্তু দুর্নীতির তল খুঁজে পাওয়া এখনও যায়নি। এতো কোটি কোটি টাকার দুর্নীতি যে এক দুজন লোকের কম্ম নয় তা বলাই বাহুল্য।  তাহলে এই দুর্নীতির পেছনে শাসকদলের আর কোন কোন প্রভাবশালীর হাত রয়েছে? এই বিপুল দুর্নীতির শেষ কোথায়? রাজ্যের এই দুর্নীতির দায় আসলে কার? জবাব চাইছে বাংলার ওয়াকিবহাল মহল।

3 months ago


CBI: সিবিআই স্ক্যানারে এস বসু রায় কোম্পানি, প্রমাণ লোপাট ও নম্বর বিকৃতের অভিযোগ

নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তের তল পেতে আবারও তৎপর সিবিআই। তদন্তের গতি বাড়াতেই এবার বিস্ফোরক তথ্য হাতে পেল কেন্দ্রীয় গোয়েন্দামহল। ফের সিবিআই স্ক্যানারে উঠে আসে ওএমআর শিট কারচুপিতে নাম জড়ানো বিতর্কিত সংস্থা এস বসু রায় কোম্পানি। নিয়োগ দুর্নীতির মামলায় ইতিমধ্যেই শ্রীঘরে ঠাঁই মিলেছে সংস্থার অন্যতম অংশীদার কৌশিক মাজির। এবার সেই সংস্থার দুষ্কর্মের হদিশ মিলল সিবিাইয়ের তদন্তে। যে 'দুষ্কর্ম'-এর অন্যতম সাগরেদ ছিলেন কৌশিক মাঝি, বিস্ফোরক দাবি কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকদের। এমনকি ২০১৪ টেট পরীক্ষার দুর্নীতির যাবতীয় তথ্য লোপাটও এই সংস্থার কারসাজি। কেন্দ্রীয় এজেন্সির তদন্ত বলছে, এস বসু রায় কোম্পানির সার্ভারে দুর্নীতি সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য স্ক্যান করে রাখা থাকত। যার কোনও বিকল্প রাখা হত না। তাই প্রতিদিন বিপুল পরিমাণ নতুন তথ্য সার্ভার এ আপডেট হওয়ার ফলে বিগত দিনের তথ্য অনায়াসে প্রতিস্থাপিত হয়ে গিয়েছে।কার্যত এই ভাবেই নতুন তথ্য সার্ভারে রেখে পুরনো তথ্য লোপাট করত এস বসু রায় কোম্পানি।

কিন্তু এস বসু রায় কোম্পানির সার্ভার বদলে ফেলা হয় ২০১৭ সালেই। প্রসঙ্গত, এর আগেও সিবিআই এর লাগাতার তল্লাশি ও ওই সংস্থার আধিকারিকদের ম্যারাথন জিজ্ঞাসাবাদে সিবিআইয়ের হাতে উঠে এসেছিল একাধিক চাঞ্চল্যকর নথি, তথ্য প্রমাণ। SSC-র চাকরিপ্রার্থীদের OMR শিট মূল্যায়নের দায়িত্বে ছিল যেমন NYSA, ঠিক তেমনই প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের চাকরিপ্রার্থীদের OMR শিট মূল্যায়নের দায়িত্বে ছিল এস বসু রায় অ্যান্ড কোম্পানি, যার সঙ্গে ধৃত মানিক ভট্টাচার্যেরও প্রত্যক্ষ যোগাযোগ ছিল বলে উঠেছিল অভিযোগ। এই কোম্পানি থেকেই ওএমআর শিটে কারচুপি ও পরীক্ষার্থীদের নম্বর বিকৃত করা হত বলেও মিলেছিল তথ্য। এবার সেই সংস্থায় প্রমাণ গুম করার মূল কাণ্ডারী দাবি করছে সিবিআই। আগামী দিনে সিবিাআই এর তদন্তে এবার সংস্খার আর কোন কোন অপকর্ম প্রকাশ্যে আসে সেটাই দেখার।

3 months ago
Ration Scam: জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের নির্দেশেই বিস্তৃত হয়েছে রেশন বণ্টন দুর্নীতির জাল, স্বীকরোক্তি খোদ বালুর!

ব্যাঙ্কশাল কোর্টে জমা দেওয়া রিপোর্টে রেশন দুর্নীতির চাঞ্চল্যকর তথ্য। জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক নিজে স্বীকার করেছেন রেশন বন্টনে দুর্নীতির কথা তিনি জানতেন। তাঁর নির্দেশেই রেশন দুর্নীতির জাল বিস্তৃত করেছিলেন শঙ্কর আঢ্য। বালুর নির্দেশে 'ডাকু' এভাবেই রেশন বন্টন দুর্নীতির অর্থ পাচার করতেন বিদেশে। এবার বিস্ফোরক তথ্য প্রকাশ্যে রেশন দুর্নীতিতে জ্যোতিপ্রয় মল্লিককে নিয়ে।

ব্যাঙ্কশাল কোর্টে জমা দেওয়া রিপোর্টে চাঞ্চল্যকর তথ্য। জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক নিজে স্বীকার করেছেন যে দুর্নীতি হচ্ছে তিনি জানতেন। ইডির পাশাপাশি সিআইডিও এই রেশন বন্টন দুর্নীতি মামলার তদন্ত করছে। এই মর্মে প্রেসিডেন্সি জেলে গিয়ে ধৃত জ্যোতিপ্রিয় মল্লিককে একাধিক প্রশ্ন করা হয়। আর সেই জেরা থেকেই রেশন বন্টন দুর্নীতির এই বিস্ফোরক তথ্য উঠে আসে ব্যাঙ্কশাল আদালতে।

আদালতে পেশ করা নথি থেকে জানা যাচ্ছে, রেশন বন্টনে দুর্নীতি হচ্ছে তা জানতেন জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। তাঁর নির্দেশেই বাংলায় বিস্তার ঘটেছিল রেশন বন্টন দুর্নীতির জাল। প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী বর্তমানে ধৃত জ্যোতিপ্রয় মল্লিকের নির্দেশেই ধৃত প্রাক্তন পুর প্রধান শঙ্কর আঢ্য ওরফে ডাকুর কোম্পানির মাধ্যমে বিদেশে পৌঁছে যেত গরিবের চাল চুরির বিপুল টাকা। এই গোটা চক্রে একাধিক মিল মালিক ও সন্দেহজনক কয়েকজন প্রভাবশালী যুক্ত বলে দাবি ইডির তরফে।

রেশন বন্টন দুর্নীতির বিস্ফোরক এই তথ্য সামনে আসার পর, ফের মোড় ঘুরল তদন্তের। এখন গরিবের চাল নিয়ে এমন বিদেশ খেলা প্রকাশ্যে আসার পর, সাধারণের একটাই প্রশ্ন, গরিব মানুষের এমন বঞ্চিত করে, দুর্বলের ওপর সবলের অত্যাচারের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হবে তো?

3 months ago