শিয়রে লোকসভা নির্বাচন। তাই নির্বাচনের পূর্বে একের পর দুর্নীতির জাল গোটাতে তৎপর কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা মহল। ইডির রেশন দুর্নীতির তদন্তে ইতিমধ্যেই গ্রেফতার হয়েছে একাধিক রাঘববোয়াল। ধৃত মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক ও বাকিবুর রহমানের বিরুদ্ধে চার্জশিটও জমা দিয়েছিল ইডি। সেই দুর্নীতির সূত্র ধরে সম্প্রতি পুলিসের জালে ধরা পড়েছে সন্দেশখালির প্রভাবশালী তৃণমূল নেতা শেখ শাহজাহান। আগামী সপ্তাহে রেশন দুর্নীতি মামলায় দ্বিতীয়বার চার্জশিট জমা দেওয়ার সিদ্ধান্ত ইনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের। বনগাঁর প্রাক্তন চেয়ারম্যান তথা ধৃত তৃণমূল নেতা শঙ্কর আঢ্য ও তাঁর বিভিন্ন ফরেক্স সংস্থার বিরুদ্ধেও একাধিক তথ্যের উল্লেখ চার্জশিটে রয়েছে বলে সূত্রের খবর। তবে শুধু শঙ্কর আঢ্য নয় তার পরিবারের আরও কয়েকজন এই দুর্নীতির নেপথ্যে রয়েছে বলে দাবি কেন্দ্রীয় গোয়েন্দামহলের। ফরেক্স ছাড়াও শঙ্করের পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের একাধিক কোম্পানির নামও থাকার সম্ভাবনা রয়েছে চার্জশিটে।
কিন্তু তদন্ত এখানেই শেষ নয়। দুর্নীতির রহস্যের পর্দাফাঁস করতে ইডির দ্বিতীয় চার্জশিটেও রেশন বন্টনে কারচুপিতে ধৃত মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের ভূমিকা সংক্রান্ত তথ্য থাকছে। মূলত রেশন দুর্নীতির টাকা বালু ওরফে জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের হাত ঘুরে কিভাবে শঙ্কর আঢ্যের মাধ্যমে বিদেশে পাচার হয়েছে? এমনকি দুবাইতে যে সংস্থায় রেশন দুর্নীতির টাকা লগ্নি হয়েছে তারও স্পষ্ট উল্লেখ রয়েছে চার্জশিটে। সূত্রের খবর এর আগে শঙ্কর ও তার কোম্পানির মাধ্যমে লক্ষ লক্ষ টাকা দুবাইতে পাঠানোর তথ্য হাতে এসেছিল ইডির। ভারতীয় মুদ্রায় প্রায় ৬৬ লক্ষেরও বেশি টাকা পাঠানো হয়েছিল শঙ্কর ওরফে ডাকু মারফত। এখন ইডির পেশ করা দ্বিতীয় চার্জশিটে রেশন বন্টন দুর্নীতির আর কোন কোন সত্য প্রকাশ পায় সেটাই দেখার।