সম্প্রতি রেশন বন্টন দুর্নীতিতে ধৃত শঙ্কর আঢ্যের কোম্পানির সূত্র ধরে ব্যবসায়ী বিশ্বজিৎ দাসের বাড়িতে প্রায় ২৪ ঘণ্টা তল্লাশি চালানোর পর অবশেষে গ্রেফতার হয়েছিলেন তিনি। শুক্রবার পৰ্যন্ত ইডি হেফাজতের নির্দেশ ছিল তাঁর। এদিন যখন তাঁকে আদালতে তোলার জন্য বের করা হয় তখন সাংবাদিকদের মুখোমুখি হলে তিনি জানান, 'আমার সঙ্গে অন্যায় হয়েছে।'
যদিও, ১৪ ফেব্রুয়ারি গ্রেফতার হওয়া বিশ্বজিতের বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে ইডির আধিকারিকরা উদ্ধার করেছিলেন হাওয়ালা সংক্রান্ত বিপুল নথি। শঙ্কর আঢ্য ঘনিষ্ঠ এই ব্যবসায়ীর বিদেশি মুদ্রা কেনাবেচার ব্যবসা রয়েছে, পাশাপাশি, এক্সপোর্ট ইম্পোর্ট-এর ব্যবসাও রয়েছে তাঁর। বিশ্বজিতের অফিসে কর্মরত কর্মীর বয়ান থেকেও জানা যায়, হাওয়ালার মাধ্যমে টাকা পাচারের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন বিশ্বজিৎ। শুধু বিদেশি মুদ্রা কেনাবেচাই নয়, শঙ্কর আঢ্যর কথামতো বাইরের দেশে ঘুরপথে কালো টাকাকে সাদা করার কাজও করতেন বিশ্বজিৎ দাস।
আর শুক্রবার ব্যাঙ্কশাল কোর্টে যাওয়ার আগেও সেই বিশ্বজিৎ বলছেন, তিনি অন্যায় করেননি। গত বুধবার যখন গ্রেফতারির পর তাঁকে আদালতে তোলা হয় বলেছিলেন, তিনি শঙ্করকে চেনেন না। শুক্রবার তিনিই বললেন, শঙ্করকে তিনি চেনেন, কিন্তু ঘনিষ্ঠতা নেই তেমন। ফলে বক্তব্যে অসঙ্গতি ক্রমশই স্পষ্ট হচ্ছে বিশ্বজিতের। এখন দেখার, বিশ্বজিতের সূত্র ধরে আরও কোনও রাঘব বোয়ালের নাম গরুবের চাল চুরির কালো টাকা সাদা করার ক্ষেত্রে উঠে আসে কি না।