শঙ্কর আঢ্য এই মুহূর্তে ইডির হাতে গ্রেফতার হয়ে রয়েছেন জেলে। তাঁকে নিয়ে চলছেই ইডির তদন্ত। আগেই জানা গিয়েছিল, আর্থিক দুর্নীতি, বিদেশে মুদ্রা পাচার-সহ পরিবারের নামে একাধিক কোম্পানি এমনকি নিজের নামেও একাধিক FFMC কোম্পানি, সবেতেই দুর্নীতির শিরোমণি মন্ত্রী ঘনিষ্ঠ শঙ্কর। ইডির হাতে এসেছিল শঙ্করের ফরেন মানি এক্সচেঞ্জ কোম্পানির খোঁজও।
এবার, শঙ্করকে নিয়ে আদালতেও বিস্ফোরক দাবি ইডির। দুবাইতে শঙ্করের ফরেক্স কোম্পানির নথি, আদালতে পেশ করল ইডি। জানা যাচ্ছে, শঙ্কর ও তার কোম্পানির মাধ্যমে লক্ষ লক্ষ টাকা পাঠানো হত দুবাইতে। ভারতীয় মুদ্রায় প্রায় ৬৬ লক্ষেরও বেশি টাকা পাঠানো হয়েছে শঙ্কর ওরফে ডাকু মারফত।
সবমিলিয়ে, গরিবের চাল চুরির দুর্নীতিতে শঙ্করের নাম জোড়ার পর থেকেই তদন্তে যা তথ্য তাকে নিয়ে উঠে আসছে, তাতে তদন্তকারী সংস্থার বুঝতে বাকি নেই যে শঙ্করের দুর্নীতির শিকড় আরও গভীরে। দিন যতই এগোচ্ছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দাদের তল্লাশিতে ততই প্রকাশ্যে আসছে একের পর গুরুত্বপূর্ণ তথ্যপ্রমাণ। এখন আদালতে শঙ্করের কোম্পানির নথি পেশ করার পর, খতিয়ে দেখা হচ্ছে এই টাকার সঙ্গে রেশন বন্টন দুর্নীতির যোগ ঠিক কতটা। দেখা হচ্ছে, গরিবের অন্ন নিয়ে ঠিক কতটা পরিমাণ দুর্নীতিতে মজেছিলেন শঙ্কর আঢ্য ওরফে ডাকু।