ব্যাঙ্কশাল কোর্টে জমা দেওয়া রিপোর্টে রেশন দুর্নীতির চাঞ্চল্যকর তথ্য। জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক নিজে স্বীকার করেছেন রেশন বন্টনে দুর্নীতির কথা তিনি জানতেন। তাঁর নির্দেশেই রেশন দুর্নীতির জাল বিস্তৃত করেছিলেন শঙ্কর আঢ্য। বালুর নির্দেশে 'ডাকু' এভাবেই রেশন বন্টন দুর্নীতির অর্থ পাচার করতেন বিদেশে। এবার বিস্ফোরক তথ্য প্রকাশ্যে রেশন দুর্নীতিতে জ্যোতিপ্রয় মল্লিককে নিয়ে।
ব্যাঙ্কশাল কোর্টে জমা দেওয়া রিপোর্টে চাঞ্চল্যকর তথ্য। জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক নিজে স্বীকার করেছেন যে দুর্নীতি হচ্ছে তিনি জানতেন। ইডির পাশাপাশি সিআইডিও এই রেশন বন্টন দুর্নীতি মামলার তদন্ত করছে। এই মর্মে প্রেসিডেন্সি জেলে গিয়ে ধৃত জ্যোতিপ্রিয় মল্লিককে একাধিক প্রশ্ন করা হয়। আর সেই জেরা থেকেই রেশন বন্টন দুর্নীতির এই বিস্ফোরক তথ্য উঠে আসে ব্যাঙ্কশাল আদালতে।
আদালতে পেশ করা নথি থেকে জানা যাচ্ছে, রেশন বন্টনে দুর্নীতি হচ্ছে তা জানতেন জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। তাঁর নির্দেশেই বাংলায় বিস্তার ঘটেছিল রেশন বন্টন দুর্নীতির জাল। প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী বর্তমানে ধৃত জ্যোতিপ্রয় মল্লিকের নির্দেশেই ধৃত প্রাক্তন পুর প্রধান শঙ্কর আঢ্য ওরফে ডাকুর কোম্পানির মাধ্যমে বিদেশে পৌঁছে যেত গরিবের চাল চুরির বিপুল টাকা। এই গোটা চক্রে একাধিক মিল মালিক ও সন্দেহজনক কয়েকজন প্রভাবশালী যুক্ত বলে দাবি ইডির তরফে।
রেশন বন্টন দুর্নীতির বিস্ফোরক এই তথ্য সামনে আসার পর, ফের মোড় ঘুরল তদন্তের। এখন গরিবের চাল নিয়ে এমন বিদেশ খেলা প্রকাশ্যে আসার পর, সাধারণের একটাই প্রশ্ন, গরিব মানুষের এমন বঞ্চিত করে, দুর্বলের ওপর সবলের অত্যাচারের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হবে তো?