Breaking News
Abhishek Banerjee: বিজেপি নেত্রীকে নিয়ে ‘আপত্তিকর’ মন্তব্যের অভিযোগ, প্রশাসনিক পদক্ষেপের দাবি জাতীয় মহিলা কমিশনের      Convocation: যাদবপুরের পর এবার রাষ্ট্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়, সমাবর্তনে স্থগিতাদেশ রাজভবনের      Sandeshkhali: স্ত্রীকে কাঁদতে দেখে কান্নায় ভেঙে পড়লেন 'সন্দেশখালির বাঘ'...      High Court: নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় প্রায় ২৬ হাজার চাকরি বাতিল, সুদ সহ বেতন ফেরতের নির্দেশ হাইকোর্টের      Sandeshkhali: সন্দেশখালিতে জমি দখল তদন্তে সক্রিয় সিবিআই, বয়ান রেকর্ড অভিযোগকারীদের      CBI: শাহজাহান বাহিনীর বিরুদ্ধে জমি দখলের অভিযোগ! তদন্তে সিবিআই      Vote: জীবিত অথচ ভোটার তালিকায় মৃত! ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত ধূপগুড়ির ১২ জন ভোটার      ED: মিলে গেল কালীঘাটের কাকুর কণ্ঠস্বর, শ্রীঘই হাইকোর্টে রিপোর্ট পেশ ইডির      Ram Navami: রামনবমীর আনন্দে মেতেছে অযোধ্যা, রামলালার কপালে প্রথম সূর্যতিলক      Train: দমদমে ২১ দিনের ট্রাফিক ব্লক, বাতিল একগুচ্ছ ট্রেন, প্রভাবিত কোন কোন রুট?     

krishna

ED: এবছরও জেলেই থাকতে হচ্ছে কালীঘাটের কাকুকে, জামিনের জন্য আগামী বছরের অপেক্ষা

গ্রেফতার হওয়ার পর থেকে জেলে প্রায় থাকেননি সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র। অসুস্থ থাকার নাম করে হাসপাতালেই কাটছে দিন। ইডি মরিয়া হয়ে উঠেছে কাকুর ভয়েস স্যাম্পেল টেস্ট করার জন্য। কিন্তু এসএসকেএম কোনও অজানা কারণে কাকুর ফিট সার্টিফিকেট দিতেই চাইছে না। এই পরিস্থিতিতে এবছর জেলেই থাকতে হচ্ছে কালীঘাটের কাকুকে। জামিনের জন্য নতুন বছরের জন্য অপেক্ষা করতে হবে তাঁকে। সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রের জামিনের আবেদনের মামলায় SSKM-এর কাছে ও সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রের কাছে রিপোর্ট চাইলো আদালত। আগামী ৫ জানুয়ারি মামলার পরবর্তী শুনানি।

১ জানুয়ারি SSKM-এর MSVP রিপোর্ট দেবে আদালত বান্ধব রুদ্র নন্দীকে। আইনজীবী রুদ্র নন্দীর সেই রিপোর্ট কলকাতা হাইকোর্টের কাছে জামা দিতে হবে। এর আগে SSKM ইডির হাতে কাকুর যে রিপোর্ট জমা দিয়েছিল মঙ্গলবার ইডির আইনজীবী আদালতে সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রের সেই মেডিক্যাল রিপোর্ট জমা দিল। রিপোর্টে আছে সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রের চিকিত্সক পীযূষ রায় ইডিকে জানান অ্যাপেনডিক্স অপারেশন হয়েছে সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রের। হৃদরোগের কিছু চিকিৎসা হয়। মানসিক চাপ ছাড়া কিছু নয়। তবুও গলার স্বর পরীক্ষা করা যাবে না সুজয়কৃষ্ণের। ৩০ মে থেকে ১৬ জুলাই পর্যন্ত প্যারল ছিল। তারপর বেসরকারি হাসপাতালে হার্টের চিকিৎসা হয়।তারপর তিনি কিছুদিন জেলে ছিলেন। এরপর আবার এসএসকেম-এ ভর্তি হয়েছেন।

বিচারপতি বলেন গত চার মাসের মধ্যে সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রের ভয়েস স্যাম্পেল নেওয়া গেলো না? কতদিন ইডি জিজ্ঞাসাবাদ করতে পেরেছে? কতবার SSKM-এ গেছে ইডি?

ইডির আইনজীবী ফিরোজ এডুলজি জানান, ইডি অফিসাররা ভয়েস টেস্টের জন্য SSKM-এ গেলেও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ নানান কারণ দেখিয়ে এড়িয়ে গেছেন। সামান্য কণ্ঠস্বরের নমুনা সংগ্রহ করতে গিয়ে গত কয়েক মাস ধরে বাধার মুখে পড়তে হচ্ছে ইডিকে, ইডি আঁটঘাট বেঁধে মাঠে নামার মধ্যেই আইসিসিইউ থেকে কেবিনে দেওয়া হয় সুজয়কৃষ্ণকে। কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা সেই কেবিনের বাইরে পাহারায় রয়েছেন। সুজয়কৃষ্ণের জোকা যাত্রা নিশ্চিত করতে তৎপর হয়েছে ইডি। তারই মাঝে এসএসকেএমের তরফে কাকুর হৃদযন্ত্রের সমস্যা নিয়ে নতুন পরীক্ষার কথা সামনে আনছে এসএসকেম কর্তৃপক্ষ।

5 months ago
SSKM: এবার কালীঘাটের কাকুর মানসিক স্বাস্থ্যের পরীক্ষা করাতে চায় SSKM, ইডির পরবর্তী পদক্ষেপ কী?

সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রের ভয়েস স্যাম্পেল টেস্ট নিয়ে জট এখনও অব্যাহত। এখনও এসএসকেএম-এ ভর্তি রয়েছেন সুজয়কৃষ্ণ ওরফে কালীঘাটের কাকু। ফলে ইডির পক্ষে এখনও কাকুর ভয়েস স্যাম্পেল টেস্ট করা সম্ভব হয়ে ওঠেনি। তবে নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় কালীঘাটের কাকুর কণ্ঠস্বরের নমুনা যে অতি প্রয়োজন তা আদালতে স্পষ্ট জানিয়েছিলেন ইডির আধিকারিকরা। অন্যদিকে, সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রের মানসিক স্বাস্থ্য কেমন রয়েছে, তা জানতে চায় এসএসকেএম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। এর জন্য হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের তরফে মেন্টাল টাফনেস পরীক্ষা করানোর কথা জানিয়ে জেল কর্তৃপক্ষকে চিঠি দিল। এবার জেল কর্তৃপক্ষের তরফ থেকে কী পদক্ষেপ নেওয়া হয়, আদৌ কি তারা সুজয় কৃষ্ণ ভদ্রের মানসিক স্বাস্থ্যের চিকিৎসার জন্য এসএসকেএম এর আবেদনে সাড়া দেবে, নাকি আদালতকে জানিয়ে তবেই অনুমতি দেবে তারা, সেটাই দেখার।

প্রসঙ্গত, কালীঘাটের কাকুর কণ্ঠস্বরের নমুনা সংগ্রহ কাজ কবে সম্পন্ন করা যাবে তা নিয়ে ধন্ধে রয়েছেন ইডির আধিকারিকরা। এসএসকেএম থেকে যতক্ষণ না পর্যন্ত গ্রিন সিগন্যাল দেওয়া হচ্ছে ততক্ষণ পর্যন্ত সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র ওরফে কালীঘাটের কাকুকে জোকা ইএসআই হাসপাতালে নিয়ে যেতে পারছে না ইডি। ইতিমধ্যে বেশ কয়েকবার ইডির তরফে এসএসকেএম থেকে সুজয় কৃষ্ণ ভদ্রের মেডিকেল রিপোর্ট সংগ্রহ করা হয়েছে।

5 months ago
SSKM: কালীঘাটের কাকুকে নয়া পরীক্ষার নিদান এসএসকেএমের, কবে কথা বলবেন কাকু?

এবার কালীঘাটের কাকুকে 'স্ট্রেস মায়োকার্ডিয়াল পারফিউশন স্ক্যান' টেস্টের পরামর্শ এসএসকেএমের চিকিৎসকদের। সঠিক কাঠামো না থাকায় বেসরকারি হাসপাতালে এই পরীক্ষা করানোর নিদান এসএসকেএমের। প্রেসিডেন্সি জেল কর্তৃপক্ষকে এ ব্যাপারে জানিয়েছে এসএসকেএম।

দীর্ঘ কয়েকমাস ধরে এসএসকেএমের বেড আগলে বহাল তবিয়তে রয়েছেন নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডের অন্যতম অভুযুক্ত কালীঘাটের কাকু ওরফে সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র। এই 'ভদ্র' কাকুর কন্ঠস্বরের নমুনা পরীক্ষার জন্য কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডির আধিকারিকরা বারংবার এসএসকেএমে আবেদন জানিয়েছেন। কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হয়নি। এসএসকেএমের ছত্রছায়ায় কাকু রীতিমতো ঘোল খাইয়ে ছেড়েছেন ইডি আধিকারিকদের। পাশাপাশি এসএসকেএম নিয়েও শুরু হয়েছে বহু বিতর্ক। ইতিমধ্যেই রাজ্যের এই প্রথম সারির হাসপাতালের বিরুদ্ধে কাকুর মেডিক্যাল রিপোর্ট বিকৃতির অভিযোগ করেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারীরা। এরপরই শনিবার সুজয়কৃষ্ণকে "স্ট্রেস মায়োকার্ডিয়াল পারফিউশন স্ক্যান' টেস্ট অর্থাৎ হৃদযন্ত্রের মাংসপেশীর সক্ষমতা যাচাইয়ের পরামর্শ দিলেন এসএসকেএমের চিকিৎসকরা। তবে এই পরীক্ষা সরকারি হাসপাতালের কোথাও না হ‌ওয়ায় বেসরকারি স্বাস্থ্যক্ষেত্রে করতে হবে বলে প্রেসিডেন্সি জেল কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছে এস‌এসকেএম।

যদিও সূত্রের খবর এসএসকেএমেই রয়েছে হৃদযন্ত্রের মাংসপেশীর সক্ষমতা যাচাইয়ের যন্ত্র। যদিও অভাব রয়েছে যন্ত্রীর। অর্থাৎ মেশিন চালানোর জন্য কোনও  লোকই নেই। আর এই কারণেই নিষ্ক্রিয় অবস্থায় এসএসকেএমে পড়ে রয়েছে যন্ত্রটি। এই মেশিনের দাম প্রায় দেড় কোটি টাকা। উল্লেখ্য ২০১০ সালে বাম আমলে নিউক্লিয়ার মেডিসিন বিভাগে উদ্বোধন হয়  পারফিউশন স্ক্যানের যন্ত্রের। ২০১৩ সালে মেডিক্যাল টেকনোলজিস্টের অভাবে বন্ধ  হয়ে যায়  সেই পরিষেবা। অভিযোগ, ১০ বছরে এই বিষয় নিয়ে একাধিক আবেদনেও মেলেনি সাড়া।  এমনকি  স্বাস্থ্য ভবনে এ সংক্রান্ত মঞ্জুর  ফাইলও  পড়ে  রয়েছে বলে সূত্রের খবর।

এসএসকেএমে কাকুর স্বাস্থ্যের এই বিষয়গুলি খতিয়ে দেখতে ফের শনিবার এসএসকেএমে হাজির হয়েছিলেন ইডির দুই আধিকারিক। আপাতত কাকুর ভবিষ্যত কী? এ নিয়ে জল্পনা চলছে রাজ্য রাজনীতিতে। আদৌ কি কথা কইবেন কালীঘাটের কাকু? পাশাপাশি কাকুকে জোকা ইএসআই হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার জন্য ইডির পরবর্তী পদক্ষেপ কী হয় আপাতত সেদিকেই তাকিয়ে রাজ্যের ওয়াকিবহাল মহল।

5 months ago


SujayKrishna: 'কাকু'র অসুস্থতা 'বানানো গল্প'! সুজয়কৃষ্ণকে জামিন নয় কেন, ইডির কাছে রিপোর্ট চাইল হাইকোর্ট

এসএসকেএম-এ (SSKM) 'কালীঘাটের কাকু'র মেডিক্যাল রিপোর্ট বিকৃত করা হচ্ছে, এমন দাবি আগেও করা হয়েছে ইডির তরফে। এবারে কলকাতা হাইকোর্টে সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র ওরফে কালীঘাটের কাকুর শারীরিক অবস্থা প্রশ্নের মুখে। এর আগে বারবার ইডি প্রশ্ন তুলেছে, কালীঘাটের কাকু কতটা অসুস্থ সেটাই তাদের কাছে স্পষ্ট নয়। অথচ তারা কোনওভাবেই কাকুর কণ্ঠের নমুনা নিতে সফল হচ্ছে না। শুক্রবার সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রের জামিন মামলায় আরও একবার সে প্রশ্নই উঠল। বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষের এজলাসে এই মামলার শুনানি হয়। কাকুর অসুস্থতাকে 'বানানো গল্প' বলেই মনে করছে ইডি। সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রের শারীরিক অবস্থা জানিয়ে এবং কেন তাঁকে জামিন দেওয়া যাবে না, সেই বিষয়ে রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ হাইকোর্টের। অন্তর্বর্তী জামিনের শুনানি আগামী ১৯ ডিসেম্বর।

জামিন চেয়ে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র ওরফে কালীঘাটের কাকু। স্বাস্থ্যের কারণ দেখিয়ে জামিনের আর্জি করেন তিনি। বৃহস্পতিবার দ্রুত শুনানির আর্জি জানিয়ে বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন ‘কাকু’র আইনজীবী। শুক্রবার এই মামলার শুনানির সময় ইডির দাবি, কালীঘাটের কাকুর মেডিক্যাল রিপোর্ট বিকৃত করা হচ্ছে। এছাড়াও এদিন ইডির আইনজীবী ফিরোজ এডুলজি তাঁর জামিনের বিরোধিতা করে জানান, সুপ্রিম কোর্ট বলে দিয়েছে যে অন্তর্বর্তীকালীন জামিন নয়, জামিনের বিষয় বিচার করতে হবে। এসএসকেএম-কে বিশ্বাস করা যাচ্ছে না। এসএসকেএম বলছে রোগী উঠতে পারছে না। অথচ সংবাদমাধ্যমে দেখা যাচ্ছে তিনি সোফায় বসে আছেন। সিস্টেমের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন হচ্ছে। তাই ইএসআই-তে চিকিৎসার ইচ্ছে প্রকাশ করেছে ইডি। সব ঠিকঠাক থাকলে আগামীকালই তাঁকে এসএসকেএম থেকে ইএসআই তে নিয়ে গিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা করাতে চায় ইডি।

এদিন সুজয়কৃষ্ণের আইনজীবী কিশোর জানান, 'হার্টের অপারেশনের পর তিনি জেলে গিয়েছিলেন কিন্তু সেখানে বমি শুরু হয় সেই জন্য তাঁকে হসপিটালে আনা হয়।' আবার ইডির আইনজীবী জানান, 'মেডিক্যাল সার্টিফিকেট সব ম্যানুফ্যাকচার করা হচ্ছে। কালকে ইএসআই-তে নিয়ে যাওয়া হোক। এরপরই আগামী ১৯ ডিসেম্বর সুজয়কৃষ্ণের শারীরিক অবস্থা নিয়ে ইডির বক্তব্য জানাতে নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি।

5 months ago
ED: কবে কইবেন কথা? আর কতদিন শিশুর বেডে কাকু? খতিয়ে দেখতে এসএসকেএমের আইসিসিইউতে ইডি

বেশ কয়েকমাস ধরেই এসএসকেএমের নিরাপদ আশ্রয়ে বহাল তবিয়তে রয়েছেন সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র ওরফে কালীঘাটের কাকু। কণ্ঠস্বরের নমুনা সংগ্রহের জন্য একাধিকবার চেষ্টা করেও এখনও অবধি কাকুর টিকিও ছুঁতে পারেননি ইডি সিবিআই আধিকারিকরা। গত শুক্রবার থেকে এসএসকেএম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের কার্ডিওলজি  বিভাগে আইসিসিইউতে শিশুদের সংরক্ষিত বেডে ভর্তি রয়েছেন সুজয়কৃষ্ণ। মঙ্গলবার পঞ্চম দিনে পড়ল কাকুর এই আইসিসিইউ যাত্রা। ইতিমধ্যেই কাকুর অ্যাঞ্জিওপ্লাস্টির রিপোর্ট এসে গিয়েছে এবং সেই রিপোর্টে তেমন ভয়ের কারণ উঠে আসেনি। আর এই সুযোগকেই এবার কাজে লাগাতে চাইছে ইডি। গত সোমবার সরাসরি এসএসকেএমের আইসিসিইউতে পৌঁছে গেলেন ইডি আধিকারিকরা। এই কদিনে শারীরিক অবস্থার কতটা উন্নতি হয়েছে ভদ্র কাকুর, তা খতিয়ে দেখতেই এসএসকেএমে পৌঁছন ইডি কর্তারা।

সূত্রের খবর, আইসিসিইউ থেকে বার করা হলেই, সুজয়কৃষ্ণকে নিয়ে যাওয়া হবে, জোকা ইএসআই হাসপাতালে  কণ্ঠস্বরের নমুনা সংগ্রহের জন্য। এই কারণে নজরদারিও  বাড়ানো হয়েছে, এসএসকেএমের কার্ডিওলজি বিভাগের আইসিসিইউ -এর বাইরে। পাশাপাশি গত সোমবার থেকেই ২ জন করে ইডি আধিকারিক এবং দুজন সিআইএসএফ এর নিরাপত্তারক্ষী থাকছেন কালীঘাটের কাকুর নজরদারিতে। এমনকি কাকুর জন্য ব্যবস্থা করা হয়েছে ৫জি অ্যাম্বুলেন্সেরও।

তবে বিভিন্ন টালবাহানায় আটকে রয়েছে সুজয়কৃষ্ণের কণ্ঠস্বরের নমুনা সংগ্রহের পরীক্ষা। এক্ষেত্রে এসএসকেএম হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে অভিযোগও উঠে এসেছে। আর ঠিক কতদিন এসএসকেএমের শিশুর বেড দখল করে থাকবেন কালীঘাটের কাকু? এ প্রশ্নের উত্তরে কার্ডিওলজির বিভাগীয় প্রধান জানান, বেশি দিন রাখা সম্ভব নয় আইসিসিইউতে, তবে সব কিছুই পরিস্থিতির উপর নির্ভর করছে। প্রায়শই বেড না পাওয়ার অভিযোগ শুনতে পাওয়া যায় এসএসকেএমের বিরুদ্ধে।  তারপরেও রীতিমত শিশুর বেড দখল করে ৫ দিন ধরে সেখানে রয়েছেন সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র। বেশ কয়েক মাস ধরে কী এমন চিকিৎসা চলছে তাঁর? পাশাপাশি কাকুর ভবিষ্যতই বা কী? আদৌ কি তিনি কথা বলবেন? আপাতত সেদিকেই তাকিয়ে রাজ্যের ওয়াকিবহাল মহল। 

5 months ago


SSKM: শিশুর বেডেই আছেন কাকু! শারীরিক অবস্থা খতিয়ে দেখতে এসএসকেএম গেলেন ইডি আধিকারিক

এসএসকেএম হাসপাতালের কড়া নিরাপত্তার মধ্যে কার্ডিওলজি বিভাগের আইসিইউতে শিশুদের জন্য সংরক্ষিত বেড আঁকড়ে রয়েছেন কালীঘাটের কাকু। ৩ দিন হয়ে গেল, শিশুদের বেডেই আছেন কাকু। এই কদিনে কাকুর শারীরিক পরিস্থিতির কি কোনও উন্নতি হয়নি? তা খতিয়ে দেখতেই সোমবার সকাল ১০.৫০ নাগাদ SSKM  হাসপাতালে এলেন ইডির এক আধিকারিক।

উল্লেখ্য, কালীঘাটের কাকু এসএসকেএম হাসপাতালের আইসিইউতে আসার পর, এই প্রথম ইডির কোনও আধিকারিক তাঁকে দেখতে এলেন। আর কতদিন আইসিইউতে একজন শিশুর জন্য সংরক্ষিত বেড আটক রাখবেন কাকু?

আর কতদিন লাগবে কাকুর কণ্ঠস্বরের নমুনা পেতে, শারীরিক ভাবে আদতে কেমন আছেন কালীঘাটের কাকু? শারীরিক অসুস্থতার গুরুত্ব ঠিক কতটা- এই সবটা নিজের চোখে খতিয়ে দেখতেই ইডির আধিকারিক আসেন SSKM হাসপাতালে। এর আগেও দেখা গিয়েছে কার্ডিওলজি বিভাগের একটি কেবিন আঁকড়ে কালীঘাটের কাকুকে সেখানে থেকে যেতে, এখন দেখা যাচ্ছে একেবারে শিশুর বেড দখল করে হাসপাতালে রয়েছেন তিনি। তাই এখানেই প্রশ্ন জাগছে কাকুর ভবিষ্যৎ তবে কী? ছিলেন জেলে, সেখান থেকে শারীরিক অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে এলেন হাসপাতালে। অতঃপর সেখানেই রয়ে গেলেন। সেই কারণেই কাকুর ভবিষ্যৎ কী আর কাকুর কণ্ঠস্বর নমুনা নেওয়ার ভবিষ্যৎই বা কী? সেই নিয়ে কাটছে না ধোঁয়াশা। ইডির আধিকারিকের আসার পর কী এবার কাকুর গলার স্বরের নমুনা সংগ্রহে খানিক তৎপরতা দেখা যাবে ? প্রশ্নগুলো থেকেই যাচ্ছে।

5 months ago
ED: পরীক্ষা শেষেও শিশুর বেডেই! কালীঘাটের কাকুর কণ্ঠ পেতে নাজেহাল ইডি

কালীঘাটের কাকু এখনও রয়েছেন শিশুদের জন্য সংরক্ষিত বেডে। শিশুর বেড আঁকড়ে আর কতদিন ইডির হাতে তাঁর কণ্ঠস্বরের নমুনা দেওয়া থেকে তিনি বিরত রাখবেন নিজেকে, তা এখনও অজানা। ঠিক এই কারণেই প্রশ্নচিহ্নের মুখে এসএসকেএম হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের ভূমিকা। শুক্রবার তাঁকে নিয়ে যাওয়ার কথা ছিল জোকা ইএসআই হাসপাতালে কণ্ঠস্বরের নমুনা সংগ্রহের জন্য। তবে হঠাৎ দেখা গেল কার্ডিওলজি বিভাগের উপরের কেবিনে কালীঘাটের কাকু অনুপস্থিত। তিনি কোথায়, এই রব উঠলে জানা যায়, তাঁকে স্থানান্তরিত করা হয়েছে কার্ডিওলজি জরুরি বিভাগের অ্যাডাল্ট এবং পেডিয়াট্রিক ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিটে। সেখানে ২০ টি বেড রয়েছে। যার মধ্যে শিশুদরে জন্য রাখা ১৮ নম্বর বেডে সন্ধান মিলল কালীঘাটের কাকুর। এরপর শনিবার ইডির হাতে SSKM হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ কাকুর সমস্ত শারীরিক রিপোর্ট তুলে দেয়। তারপরে রাতে কালীঘাটের কাকুর ইসিজি, অ্যাঞ্জিওপ্লাস্টি ইত্যাদি শারীরিক পরীক্ষাও হয়।

শুধু কি তাই? সুজয় কৃষ্ণ ভদ্রের কণ্ঠস্বরের নমুনা পাওয়া গেলে নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তের মোড় ঘুরে যেতে পারে, বারবার এমন দাবি করতে দেখা গিয়েছে ইডিকে। এর আগেও দেখা গেছিল কাকুর শারীরিক পরীক্ষার রিপোর্ট আসার পরে এসএসকেএম -এর উপর ভরসা হারিয়ে দিল্লি AIIMS-এর সাহায্য নিয়েছিলেন ইডির আধিকারিকরা। এখন দেখার কাকুকে আইসিইউ মুক্ত করতে কী ব্যবস্থা নেয় তাঁরা। তবে এসএসকেএম হাসপাতালের অব্যবস্থার চিত্র দিনদিন কাকুর কীর্তিতে আরও বেশি সামনে আসছে। আর কতদিন সাধারণ মানুষ বেড না পেয়ে প্রাণ হারায়, চূড়ান্ত হেনস্থার মুখে পড়তে হয়, তার উত্তর হয়ত একমাত্র দিতে এসএসকেএম হাসপাতাল কর্তৃপক্ষই।

5 months ago
ED: আদালতের পথে হাঁটবে ইডি? মিলল না কাকুর কণ্ঠস্বর

সুজয় কৃষ্ণ ভদ্রকে নিয়ে জল্পনা কাটতে চাইছে না কিছুতেই। শুক্রবার দেখা গিয়েছিল, এসএসকেএম হাসপাতালের আইসিসিইউতে শিশুদের জন্য সংরক্ষিত বেড দখল করে সেখানে থেকে যান কালীঘাটের কাকু ওরফে সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র। এদিকে পূর্ব সিদ্ধান্ত মোতাবেক কাকুর কণ্ঠস্বর নমুনা সংগ্রহের জন্য ইডির আধিকারিকরা শুক্রবার সকাল সকাল এসএসকেএম হাসপাতালে এসে পৌঁছেছিলেন কাকুকে জোকা ইএসআই হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার জন্য। কাকুর শারীরিক অবস্থা ভালো নেই, সাফ জানান হাসপাতাল সুপার। প্রায় ৬ ঘণ্টা ধরে তাঁদের মধ্যে বৈঠক হয়। তবে শেষ পর্যন্ত কাকুর কণ্ঠস্বর নমুনা সংগ্রহ না হওয়ায় একেবারেই সন্তুষ্ট নন ইডির আধিকারিকরা। কাকুকে কেন ইডির হাতে তুলে দেওয়া সম্ভব হল না, তাঁর শারীরিক পরিস্থিতি আদতে ঠিক কীরকম- সেই সম্পর্কিত বিস্তারিত তথ্য তলব করে ইডি। সেই তথ্য ইতিমধ্যেই ইডির হাতে তুলে দিয়েছে এসএসকেএম হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।

হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের তরফে জানানো হয়েছে, যত দ্রুত সম্ভব সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রের শারীরিক পরিস্থিতির উন্নতি ঘটিয়ে তাঁকে জোকা ইএসআই হাসপাতালে স্থানান্তরিত করার কথা ভাবা হবে। তবে, কালীঘাটের কাকুর কণ্ঠস্বর নমুনা সংগ্রহের জন্য এভাবে আর কতদিন অপেক্ষা করতে হবে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাকে, সে নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে। বারবার ইডির আধিকারিকরা বলেছেন, কাকুর কণ্ঠস্বরের নমুনা পাওয়া গেলে নিয়োগ দুর্নীতি মামলার তদন্তের মোড় ঘুরে যেতে পারে, বেরিয়ে আসতে পারে নানা অজানা তথ্য। তবে তা সত্বেও এসএসকেএম হাসপাতালের কোনও সক্রিয় ভূমিকা দেখছেন না ইডির আধিকারিকরা। তাই এবার আবারও এই বিষয়ে আদালতের মুখাপেক্ষী হতে পারে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট, এমনটাই মনে করা হচ্ছে। না হলে কাকুর কণ্ঠস্বর নমুনা সংগ্রহে আরও কত বিপাকে ইডিকে পড়তে হতে পারে, সেই  নিয়েই দ্বন্দ্বে আছেন ইডির আধিকারিকরা।

5 months ago


Sujoykrishna: সুজয়কৃষ্ণের ভয়েস স্যাম্পেল টেস্টে 'ঢিলেমি'! এসএসকেএম-এর ভূমিকা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন

নিয়োগ দুর্নীতিতে (Recruitment Scam) ধৃত সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র বর্তমানে রয়েছেন এসএসকেএম হাসপাতালে। তবে ঠিক কী হয়েছে তাঁর, তা নিয়ে রয়েছে ধোঁয়াশা। এরই মধ্যে কালীঘাটের কাকুর ভয়েস স্যাম্পেল নেওয়ার জন্য তৎপর ইডি। এমনকি জোকা ইএসআই হাসপাতাল তৈরি রেখেছে মেডিক্যাল বোর্ড। ভয়েস স্যাম্পেল টেস্টের আগে, প্রস্তুত রয়েছে বেডও। কিন্তু সুজয়কৃষ্ণকে সেখানে কেনও এখনও পাঠানো হচ্ছে না, তা নিয়েই উঠছে প্রশ্ন।

এসএসকেএম হাসপাতাল সূত্রে বারংবার জানানো হয়েছে অসুস্থ সুজয়কৃষ্ণ। সম্প্রতি চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, প্রবল মানসিক চাপে রয়েছেন কালীঘাটের কাকু। বিভিন্ন শারীরিক জটিলতাও রয়েছে। এই অবস্থায় তার গলার স্বরের নমুনা সংগ্রহ করতে গেলে সমস্যা বাড়বে। তবে ইডিও ছাড়ার পাত্র নয়। কণ্ঠস্বরের নমুনা নেওয়ার জন্য তৎপর ইডি।

জানা গিয়েছে, জোকা ইএসআই হাসপাতালে করা হবে ভয়েস স্যাম্পেল টেস্ট। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, তারা সুজয়কৃষ্ণর গলার স্বরের নমুনা নিতে প্রস্তুত, কিন্তু তাঁকে পাঠাতে এত কেন ঢিলেমি, তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। কালীঘাটের কাকুকে জোকা ইএসআই হাসপাতালে ভয়েজ স্যাম্পেল টেস্টের জন্য পাঠানো কেন হচ্ছে না, তা নিয়ে মুখ খুলতে নারাজ এসএসকেএম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের সুপার থেকে ডিরেক্টর। ফলে এবারে এসএসকেএম হাসপাতালের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু হয়েছে।

5 months ago
ED: কখনও হৃদরোগ, কখনও বা মানসিক, কাকুর কণ্ঠস্বর নিয়ে ইডির সঙ্গে লুকোচুরি এসএসকেএমের

এ যেন লুকোচুরি খেলা। এসএসকেএম ও কালীঘাটের কাকু যেন ইডির সঙ্গে একপ্রকার লুকোচুরি খেলায় নেমেছে। একদিকে যখন কাকুর কণ্ঠস্বরের নমুনা সংগ্রহে তৎপর ইডির আধিকারিকরা। অন্যদিকে তখন যে কোনও উপায়ে ইডির চেষ্টাকে ব্যর্থ করার চেষ্টা এসএসকেমের। আপাত দৃষ্টিতে দেখলে এমনই মনে হবে সাধারণের। এসএসকেএম ও কাকুর এহেন খেলায় গেরোয় কাকুর কণ্ঠস্বরের নমুনা সংগ্রহ। এবার ফের ঠিক যেন কালীঘাটের কাকুকে আড়াল করতে ফের এসএসকেএমের জারিজুরি। জানা গিয়েছে, চলতি সপ্তাহেই কাকুর কণ্ঠস্বরের নমুনা সংগ্রহে যেতে পারে ইডি, এমটাই জানিয়ে এসএসকেএমকে চিঠি লিখেছিল ইডি। কিন্তু ইডির পাল্টা চিঠিতে এসএসকেএম জানিয়েছে, কালীঘাটের কাকুর  মানসিক অবস্থা ঠিক নেই। অর্থাৎ অসস্তি ভাবে এসএসকেএম বুঝিয়ে দিল ইডিকে এ মুহূর্তে তাঁর কণ্ঠস্বরের নমুনা সংগ্রহ সম্ভব নয়।

পূর্বেই কালীঘাটের কাকু ও এসএসকেএমের উপর সন্দিহান প্রকাশ করে ব্যাঙ্কশাল আদালতের দ্বারস্থ হয় ইডি। ইডির আবেদনে সাড়া দিয়ে ব্যাঙ্কশাল আদালত কাকুর স্বাস্থ্যপরীক্ষার জন্য ইএসআই হাসপাতালকে একটি মেডিকেল বোর্ড গঠন করার নির্দেশ দেয়। এবার এসএসকেমেমকে পাল্টা চাপ ইডির, সূত্রের খবর অনুযায়ী, ইডির তরফে চিঠি দেওয়া হলো এসএসকেএম হাসপাতাল, ই এস আই হাসপাতাল ও সিএফএসএল-কে। যদিও পাল্টা চিঠিতে এসএসকেএম জানিয়েছে কালীঘাটের কাকু অর্থাৎ সুজয় কৃষ্ণের মানসিক অবস্থা ভালো নয়। সে জন্যই তাকে মানসিক চিকিৎসার বিভাগ অর্থাৎ সাইক্রিয়াটিক বিভাগে স্থানান্তরিত করা হচ্ছে। এ ঘটনায় অবশ্য ইডির আধিকারিকরা মনে করছেন নমুনা সংগ্রহে বিলম্বের চেষ্টাতেই এই রিপোর্ট এবং চিঠি এসএসকেএম হাসপাতালের। এঅবস্থায় কাকুর কণ্ঠস্বরের নমুনা সংগ্রহে ইডি কোন পথে হাটবে সেটাই এখন দেখার।

5 months ago


Sujoy: আরামের দিন শেষ! কাকুর স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য ইএসআইকে মেডিকেল বোর্ড গঠনের নির্দেশ আদালতের

এবার হয়ত শেষ হতে চলেছে কাকুর জারিজুরি , নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডের তদন্তে নেমে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দাদের হাতে গ্রেফতার হয় কালিঘাটের কাকু, অর্থাৎ সুজয় কৃষ্ণ ভদ্র। এরপরে সুজয় কৃষ্ণের অফিস ও ফোন ঘেটে রীতিমত চাঞ্চল্যকর তথ্য পায় ইডির আধিকারিকরা। তদন্ত যত এগিয়েছে টোটো কাকুর কালো হাতের হদিশ মিলেছে। এরপরে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পরে কালীঘাটের কাকু। এরপর তার চিকিৎসা হয় ,এবং একটি বেসরকারি হাসপাতালে তার হৃদরোগের অপারেশন ও করা হয়। তারপর থেকেই সরকারি হাসপাতাল অর্থাৎ এসএসকেএমে চিকিৎসাধীন আছে কালীঘাটের কাকু। কিন্তু কালীঘাটের কাকুকে নিজের হেফাজতে নেওয়া কিংবা জেলে পাঠানো, বা কালীঘাটের কাকুর নমুনা সংগ্রহে একমাত্র বাধা এসএসকেএম। এবার এসএসকেএমের রিপোর্ট সংক্রান্ত বিষয়ে সন্দিহান প্রকাশ করে আদালতের দ্বারস্থ হয় ইডি। ওই শুনানিতে আজ অর্থাৎ শনিবার ব্যাঙ্কশাল আদালতের নির্দেশ, সুজয় কৃষ্ণ ভদ্রের স্বাস্থ্যের পরীক্ষা জন্য ইএসআই হাসপাতালকে চিকিৎসক দ্বারা মেডিকেল বোর্ড গঠন করে, তাঁর সাস্থের একটি রিপোর্ট দিতে হবে।' কার্যত এবার হয়ত এসএসকেএমে শুয়ে আরাম করার দিন শেষ হয়ে আসছে কাকুর।

জানা গিয়েছে, সুজয় কৃষ্ণ ভদ্রের চিকিৎসার জন্য এসএসকে এম হাসপাতাল দ্বারা গঠিত মেডিকেল বোর্ডের রিপোর্টে সন্তুষ্ট ছিল না ইডি। তদন্তকারী আধাকিরকরা মনে করছেন, রাজ্যে সরকারি হাসপাতাল সুজয় কৃষ্ণ ভদ্রের চিকিৎসা সংক্রান্ত মেডিকেল রিপোর্টে কিছু ত্রুটি থাকছে। সেই কারণেই কেন্দ্রীয় সরকার দ্বারা পরিচালিত ইএসআই হাসপাতালে মেডিকেল বোর্ড গঠন করে সুজয় কৃষ্ণ ভদ্রের স্বাস্থ্যের পরীক্ষা করার আর্জি জানিয়ে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিল ইডি। ইডির আবেদন মঞ্জুর করে জোকা ই এস আই হাসপাতালকে মেডিকেল বোর্ড গঠন করে সুজয় কৃষ্ণ ভদ্রের স্বাস্থ্যের পরীক্ষা করা নির্দেশ দিল ইডির বিশেষ আদালত।

নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে গ্রেফতার হওয়ার পর, নানা সময়ে নানা জারিজুরি করেছেন কালীঘাটের কাকু অর্থাৎ সুজয় কৃষ্ণ ভদ্র। তদন্তক্রমে ইডির কালীঘাটের কাকুর কণ্ঠস্বরের নমুনা সংগ্রহ করার প্রয়োজন হয় ইডির।কিন্তু সেই পথে একমাত্র বাধা হয়ে দাঁড়ায় এসএসকেএম। এসএসকেএমে চিকিৎসাধীন কাকুর কণ্ঠস্বরের নমুনা পেতে রীতিমত হিমশিম খাচ্ছে ইডি। এমনকি বারবার চিঠি লিখেও মেলেনি কোনো সদুত্তর। সেজন্যই এবার আদালতের দ্বারস্থ ইডি। এর আগে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সময় আদালতে মুখ পুড়েছিল এসএসকেএমের। এবার কি ফের কালীঘাটের কাকুর সহায় থেকে এসএসকেমের মেডিকেল রিপোর্টে মুখ পুড়বে হাসপাতাল কতৃপক্ষের! সেটাই এখন দেখার।  

5 months ago
Mahua: 'ক্যাশ ফর কোয়েশ্চেন' বিতর্কের মাঝেই মহুয়ার পাশে দল! জেলা সভাপতির দায়িত্বে সাংসদ

'টাকা নিয়ে প্রশ্ন' মামলায় লোকসভায় তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্রের (Mahua Moitra) সাংসদপদ খারিজ হওয়ার প্রস্তাব ইতিমধ্যে দেওয়া হয়েছে। এখন কার্যত সময়ের অপেক্ষা। আর সেই পরিস্থিতিতে তৃণমূলে পদোন্নতি হল মহুয়ার। কল্লোল খাঁকে সরিয়ে লোকসভা ভোটের আগে মহুয়াকে নদিয়ার কৃষ্ণনগর সাংগঠনিক জেলার সভাপতি করল তৃণমূল। 'ক্যাশ ফর কোয়েশ্চেন' বিতর্কে মহুয়া মৈত্র থাকলেও দল থেকে ব্রাত্য নন তিনি, বরং তাঁর উপরই ভরসা রাখল তৃণমূল (TMC)।

আগামী বছর লোকসভা নির্বাচন। তার আগেই আজ অর্থাৎ সোমবার কিছু জেলার নেতৃত্বে বদল এনেছে ঘাসফুল শিবির। তখনই জানা গেল, 'ক্যাশ ফর কোয়েশ্চেন' বিতর্কের মাঝেই দলে ওজন বাড়ল মহুয়ার। একেবারে সাংগঠনিক জেলার সভাপতি করা হল মহুয়া মৈত্রকে। টাকা নিয়ে প্রশ্ন কাণ্ডে, দলের তরফে তেমন কোনও প্রতিক্রিয়া দিতে না দেখা গেলেও দলের এই সিদ্ধান্তে বোঝাই গেল মহুয়ার পাশেই রয়েছে দল। এর পরই নিজের এক্স হ্যান্ডেলে দলকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন মহুয়া। ক্যাপশনে লিখেছেন, "কৃষ্ণনগরের (নদিয়া উত্তর) সাংগঠনিক জেলা সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব দেওয়ার জন্য মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও তৃণমূল কংগ্রেসকে ধন্যবাদ জানাই। কৃষ্ণনগরের সাধারণ মানুষের জন্য আমি সবসময় দলের হয়ে কাজ করে যাব।"

6 months ago
ED: সুজয় কৃষ্ণকে নিয়ে ফাঁপরে ইডি! কণ্ঠস্বরের নমুনা সংগ্রহে আইনি পথে কেন্দীয় গোয়েন্দারা!

সুজয় কৃষ্ণকে নিয়ে মহা ফাঁফরে ইডি। নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে নেমে ইডির হাতে গ্রেফতার হয় কালীঘাটের কাকু অর্থাৎ সুজয় কৃষ্ণ ভদ্র। এরপরে সময় যত এগিয়েছে কালীঘাটের কাকুর সমন্ধে বিস্ফোরক তথ্য ফাঁস হয়েছে। এ অবস্থায় কালীঘাটের কাকুর কণ্ঠস্বরের নমুনা সংগ্রহ  করতে রীতিমত ঝক্কি পোহাতে হচ্ছে ইডিকে। জানা গিয়েছে, ফলস্বরূপ কণ্ঠস্বরের নমুনা সংগ্রহে এবার আইনি পথে হাটতে পারে ইডির কর্তারা।

সূত্রের খবর, সুজয় কৃষ্ণ অর্থাৎ কালিঘাটের কাকুকে গ্রেফতারের পর হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। এরপর তাঁকে এসএসকেমে হাসপাতালে ভর্তি করা হলে তাঁর বাইপাস সার্জারি করা হয়। এরপর থেকেই এসএসকেএমে চিকিৎসাধীন ছিলেন তিনি। যদিও এতদিন পরেও কেন কালীঘাটের কাকুর কণ্ঠস্বরের নমুনা নিতে বেগ পেতে হচ্ছে ইডিকে তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। জানা গিয়েছেন, ইতিমধ্যেই, কালীঘাটের কাকুর স্বাস্থ্য জনিত সমস্ত খোঁজ নেওয়া শুরু করেছে ইডির আধিকারিকরা। পাশাপাশি জানা গিয়েছে, ইডির তরফে এসএসকেএমের কাছে মেইল মারফত জানতে চাওয়া হয়েছে, কি কি চিকিৎসা করতে করা হচ্ছে সুজয় কৃষ্ণের, পাশাপাশি ইডির তরফে জানতে চাওয়া হয়েছে, কেমন আছে সুজয় কৃষ্ণ?

জানা গিয়েছে, এর পরিপেক্ষিতে উত্তর দিয়েছে এসএসকেএম কর্তৃপক্ষ। এসএসকেএম কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রের চিকিৎসার জন্য যে মেডিকেল টিম গঠন করা হয়েছে, তারাই একমাত্র বলতে পারবে তার বর্তমান পরিস্থিতির সম্পর্কে। এখন দেখার মেডিকেল টিমের রিপোর্ট কি হয়। যদিও কণ্ঠস্বরের নমুনা সংগ্রহে পূর্বে এসএসকেএমকে চিঠিও দিয়েছিল ইডি। পাশাপাশি ইডি সূত্রে জানা গিয়েছে, মেডিকেল টিমের উত্তর এলে আগামী দিনে আইনিপথে হাঁটতে পারে ইডি।

6 months ago


Sujay: ইডির চিঠির উত্তর দিল এসএসকেএম, পাল্টা 'হাইকোর্ট' দাওয়াই ইডির

কালীঘাটের কাকু অর্থাৎ সুজয় কৃষ্ণ ভদ্রের কন্ঠস্বর নিয়ে এবার কড়া পদক্ষেপ গ্রহণ করতে পারে ইডি। ইতিমধ্যেই কালীঘাটের কাকুর কণ্ঠস্বর নিয়ে টালবাহানা শুরু হয়েছে ইডি ও এসএসকেএম হাসপাতালের মধ্যে। জানা গিয়েছে কালীঘাটের কাকুর কণ্ঠস্বরের নমুনা করতে চেয়ে ইতিমধ্যেই এসএসকেএমকে চিঠি লিখেছে ইডি। সেই চিঠির উত্তরে এসএসকেএম কতৃপক্ষ জানিয়েছে, মেডিকেল বোর্ড গঠন করা হবে কালীঘাটের কাকুর জন্য। রোগীর শারীরিক অবস্থাকে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে। এরপর তাদের কণ্ঠস্বর নমুনা নেওয়ার জন্য তারিখ জানানো হবে।' যদিও এ উত্তরে কোনও ভাবেই খুশি নয় কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা। এর পরিপেক্ষিতে ইডির তরফ থেকে জানানো হচ্ছে যে, এসএসকেএম যদি ঠিকমতো পদক্ষেপ না নেয় তাহলে সেক্ষেত্রে তারা হাইকোর্টে আবেদন জানিয়ে এসএসকেএম এর বিরুদ্ধে দারস্থ হবে।

ওদিকে এসএসকেমের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ তুলেছেন বিরোধীরা। অভিযোগ বিশেষ চিকিৎসার মাধ্যমে সুজয়কৃষ্ণের গলার স্বর পাল্টানো হচ্ছে। সুকান্ত-সেলিমের এই অভিযোগের পরেই চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে রাজ্য জুড়ে। প্রশ্ন উঠছে সত্যই কি তাহলে তদন্তের মোড় ঘোরাতেই এই চেষ্টা? কাউকে আড়াল করতেই এই প্রয়াস? এই অভিযোগের প্রেক্ষিতে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা কি পদক্ষেপ নেয় সেটাই এখন দেখার। যদিও এই অভিযোগ সামনে আসায় সলামচনায় সরব হয়েছেন শহরের বিশিষ্ট চিকিৎসকেরা।

6 months ago
Sujay: কালীঘাটের কাকুর কণ্ঠস্বর পাল্টানো হচ্ছে! বিস্ফোরক অভিযোগ বিরোধীদের

বিশেষ চিকিৎসার মাধ্যমে সুজয়কৃষ্ণের গলার স্বর পাল্টানো হচ্ছে। সুকান্ত-সেলিমের এই অভিযোগের পরেই চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে রাজ্য জুড়ে। প্রশ্ন উঠছে সত্যই কি তাহলে তদন্তের মোড় ঘোরাতেই এই চেষ্টা? কাউকে আড়াল করতেই এই প্রয়াস? এই অভিযোগের প্রেক্ষিতে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা কি পদক্ষেপ নেয় সেটাই এখন দেখার। যদিও এই অভিযোগ সামনে আসায় সলামচনায় সরব হয়েছেন শহরের বিশিষ্ট চিকিৎসকেরা।

পাশাপাশি, ধৃতদের দিনের পর দিন এসএসকেএম-হাসপাতালকে রেখে চিকিৎসা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন মেডিক্যাল সার্ভিস সেন্টারের কলকাতা জেলার যুগ্ম সম্পাদক তথা এসএসকেএম-এর প্রাক্তনী চিকিৎসক কবিউল হক। এছাড়াও চিকিৎসকদের চাপের মুখে নতিস্বীকার না করার অনুরোধ করেন তিনি।

এই ধরণের ঘটনা যদি সত্যিই ঘটে তাহলে এসএসকেএম হাসপাতালের চিকিসকদের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্নটা থেকেই যাবে। ইডি হেফাজতে থাকা ব্যক্তির অস্ত্রোপচার করে স্বরবদল করে বিপদে পড়বে না তো শহরের নামজাদা এই হাসপাতাল? আপাতত এই কথাগুলোই ঘুরপাক খাচ্ছে রাজ্য-রাজনীতির অলিন্দে। 

6 months ago