সুজয় কৃষ্ণ ভদ্রকে নিয়ে জল্পনা কাটতে চাইছে না কিছুতেই। শুক্রবার দেখা গিয়েছিল, এসএসকেএম হাসপাতালের আইসিসিইউতে শিশুদের জন্য সংরক্ষিত বেড দখল করে সেখানে থেকে যান কালীঘাটের কাকু ওরফে সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র। এদিকে পূর্ব সিদ্ধান্ত মোতাবেক কাকুর কণ্ঠস্বর নমুনা সংগ্রহের জন্য ইডির আধিকারিকরা শুক্রবার সকাল সকাল এসএসকেএম হাসপাতালে এসে পৌঁছেছিলেন কাকুকে জোকা ইএসআই হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার জন্য। কাকুর শারীরিক অবস্থা ভালো নেই, সাফ জানান হাসপাতাল সুপার। প্রায় ৬ ঘণ্টা ধরে তাঁদের মধ্যে বৈঠক হয়। তবে শেষ পর্যন্ত কাকুর কণ্ঠস্বর নমুনা সংগ্রহ না হওয়ায় একেবারেই সন্তুষ্ট নন ইডির আধিকারিকরা। কাকুকে কেন ইডির হাতে তুলে দেওয়া সম্ভব হল না, তাঁর শারীরিক পরিস্থিতি আদতে ঠিক কীরকম- সেই সম্পর্কিত বিস্তারিত তথ্য তলব করে ইডি। সেই তথ্য ইতিমধ্যেই ইডির হাতে তুলে দিয়েছে এসএসকেএম হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের তরফে জানানো হয়েছে, যত দ্রুত সম্ভব সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রের শারীরিক পরিস্থিতির উন্নতি ঘটিয়ে তাঁকে জোকা ইএসআই হাসপাতালে স্থানান্তরিত করার কথা ভাবা হবে। তবে, কালীঘাটের কাকুর কণ্ঠস্বর নমুনা সংগ্রহের জন্য এভাবে আর কতদিন অপেক্ষা করতে হবে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাকে, সে নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে। বারবার ইডির আধিকারিকরা বলেছেন, কাকুর কণ্ঠস্বরের নমুনা পাওয়া গেলে নিয়োগ দুর্নীতি মামলার তদন্তের মোড় ঘুরে যেতে পারে, বেরিয়ে আসতে পারে নানা অজানা তথ্য। তবে তা সত্বেও এসএসকেএম হাসপাতালের কোনও সক্রিয় ভূমিকা দেখছেন না ইডির আধিকারিকরা। তাই এবার আবারও এই বিষয়ে আদালতের মুখাপেক্ষী হতে পারে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট, এমনটাই মনে করা হচ্ছে। না হলে কাকুর কণ্ঠস্বর নমুনা সংগ্রহে আরও কত বিপাকে ইডিকে পড়তে হতে পারে, সেই নিয়েই দ্বন্দ্বে আছেন ইডির আধিকারিকরা।