এসএসকেএম-এ (SSKM) 'কালীঘাটের কাকু'র মেডিক্যাল রিপোর্ট বিকৃত করা হচ্ছে, এমন দাবি আগেও করা হয়েছে ইডির তরফে। এবারে কলকাতা হাইকোর্টে সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র ওরফে কালীঘাটের কাকুর শারীরিক অবস্থা প্রশ্নের মুখে। এর আগে বারবার ইডি প্রশ্ন তুলেছে, কালীঘাটের কাকু কতটা অসুস্থ সেটাই তাদের কাছে স্পষ্ট নয়। অথচ তারা কোনওভাবেই কাকুর কণ্ঠের নমুনা নিতে সফল হচ্ছে না। শুক্রবার সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রের জামিন মামলায় আরও একবার সে প্রশ্নই উঠল। বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষের এজলাসে এই মামলার শুনানি হয়। কাকুর অসুস্থতাকে 'বানানো গল্প' বলেই মনে করছে ইডি। সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রের শারীরিক অবস্থা জানিয়ে এবং কেন তাঁকে জামিন দেওয়া যাবে না, সেই বিষয়ে রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ হাইকোর্টের। অন্তর্বর্তী জামিনের শুনানি আগামী ১৯ ডিসেম্বর।
জামিন চেয়ে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র ওরফে কালীঘাটের কাকু। স্বাস্থ্যের কারণ দেখিয়ে জামিনের আর্জি করেন তিনি। বৃহস্পতিবার দ্রুত শুনানির আর্জি জানিয়ে বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন ‘কাকু’র আইনজীবী। শুক্রবার এই মামলার শুনানির সময় ইডির দাবি, কালীঘাটের কাকুর মেডিক্যাল রিপোর্ট বিকৃত করা হচ্ছে। এছাড়াও এদিন ইডির আইনজীবী ফিরোজ এডুলজি তাঁর জামিনের বিরোধিতা করে জানান, সুপ্রিম কোর্ট বলে দিয়েছে যে অন্তর্বর্তীকালীন জামিন নয়, জামিনের বিষয় বিচার করতে হবে। এসএসকেএম-কে বিশ্বাস করা যাচ্ছে না। এসএসকেএম বলছে রোগী উঠতে পারছে না। অথচ সংবাদমাধ্যমে দেখা যাচ্ছে তিনি সোফায় বসে আছেন। সিস্টেমের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন হচ্ছে। তাই ইএসআই-তে চিকিৎসার ইচ্ছে প্রকাশ করেছে ইডি। সব ঠিকঠাক থাকলে আগামীকালই তাঁকে এসএসকেএম থেকে ইএসআই তে নিয়ে গিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা করাতে চায় ইডি।
এদিন সুজয়কৃষ্ণের আইনজীবী কিশোর জানান, 'হার্টের অপারেশনের পর তিনি জেলে গিয়েছিলেন কিন্তু সেখানে বমি শুরু হয় সেই জন্য তাঁকে হসপিটালে আনা হয়।' আবার ইডির আইনজীবী জানান, 'মেডিক্যাল সার্টিফিকেট সব ম্যানুফ্যাকচার করা হচ্ছে। কালকে ইএসআই-তে নিয়ে যাওয়া হোক। এরপরই আগামী ১৯ ডিসেম্বর সুজয়কৃষ্ণের শারীরিক অবস্থা নিয়ে ইডির বক্তব্য জানাতে নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি।