এবার কালীঘাটের কাকুকে 'স্ট্রেস মায়োকার্ডিয়াল পারফিউশন স্ক্যান' টেস্টের পরামর্শ এসএসকেএমের চিকিৎসকদের। সঠিক কাঠামো না থাকায় বেসরকারি হাসপাতালে এই পরীক্ষা করানোর নিদান এসএসকেএমের। প্রেসিডেন্সি জেল কর্তৃপক্ষকে এ ব্যাপারে জানিয়েছে এসএসকেএম।
দীর্ঘ কয়েকমাস ধরে এসএসকেএমের বেড আগলে বহাল তবিয়তে রয়েছেন নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডের অন্যতম অভুযুক্ত কালীঘাটের কাকু ওরফে সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র। এই 'ভদ্র' কাকুর কন্ঠস্বরের নমুনা পরীক্ষার জন্য কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডির আধিকারিকরা বারংবার এসএসকেএমে আবেদন জানিয়েছেন। কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হয়নি। এসএসকেএমের ছত্রছায়ায় কাকু রীতিমতো ঘোল খাইয়ে ছেড়েছেন ইডি আধিকারিকদের। পাশাপাশি এসএসকেএম নিয়েও শুরু হয়েছে বহু বিতর্ক। ইতিমধ্যেই রাজ্যের এই প্রথম সারির হাসপাতালের বিরুদ্ধে কাকুর মেডিক্যাল রিপোর্ট বিকৃতির অভিযোগ করেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারীরা। এরপরই শনিবার সুজয়কৃষ্ণকে "স্ট্রেস মায়োকার্ডিয়াল পারফিউশন স্ক্যান' টেস্ট অর্থাৎ হৃদযন্ত্রের মাংসপেশীর সক্ষমতা যাচাইয়ের পরামর্শ দিলেন এসএসকেএমের চিকিৎসকরা। তবে এই পরীক্ষা সরকারি হাসপাতালের কোথাও না হওয়ায় বেসরকারি স্বাস্থ্যক্ষেত্রে করতে হবে বলে প্রেসিডেন্সি জেল কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছে এসএসকেএম।
যদিও সূত্রের খবর এসএসকেএমেই রয়েছে হৃদযন্ত্রের মাংসপেশীর সক্ষমতা যাচাইয়ের যন্ত্র। যদিও অভাব রয়েছে যন্ত্রীর। অর্থাৎ মেশিন চালানোর জন্য কোনও লোকই নেই। আর এই কারণেই নিষ্ক্রিয় অবস্থায় এসএসকেএমে পড়ে রয়েছে যন্ত্রটি। এই মেশিনের দাম প্রায় দেড় কোটি টাকা। উল্লেখ্য ২০১০ সালে বাম আমলে নিউক্লিয়ার মেডিসিন বিভাগে উদ্বোধন হয় পারফিউশন স্ক্যানের যন্ত্রের। ২০১৩ সালে মেডিক্যাল টেকনোলজিস্টের অভাবে বন্ধ হয়ে যায় সেই পরিষেবা। অভিযোগ, ১০ বছরে এই বিষয় নিয়ে একাধিক আবেদনেও মেলেনি সাড়া। এমনকি স্বাস্থ্য ভবনে এ সংক্রান্ত মঞ্জুর ফাইলও পড়ে রয়েছে বলে সূত্রের খবর।
এসএসকেএমে কাকুর স্বাস্থ্যের এই বিষয়গুলি খতিয়ে দেখতে ফের শনিবার এসএসকেএমে হাজির হয়েছিলেন ইডির দুই আধিকারিক। আপাতত কাকুর ভবিষ্যত কী? এ নিয়ে জল্পনা চলছে রাজ্য রাজনীতিতে। আদৌ কি কথা কইবেন কালীঘাটের কাকু? পাশাপাশি কাকুকে জোকা ইএসআই হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার জন্য ইডির পরবর্তী পদক্ষেপ কী হয় আপাতত সেদিকেই তাকিয়ে রাজ্যের ওয়াকিবহাল মহল।