কালীঘাটের কাকু অর্থাৎ সুজয় কৃষ্ণ ভদ্রের কন্ঠস্বর নিয়ে এবার কড়া পদক্ষেপ গ্রহণ করতে পারে ইডি। ইতিমধ্যেই কালীঘাটের কাকুর কণ্ঠস্বর নিয়ে টালবাহানা শুরু হয়েছে ইডি ও এসএসকেএম হাসপাতালের মধ্যে। জানা গিয়েছে কালীঘাটের কাকুর কণ্ঠস্বরের নমুনা করতে চেয়ে ইতিমধ্যেই এসএসকেএমকে চিঠি লিখেছে ইডি। সেই চিঠির উত্তরে এসএসকেএম কতৃপক্ষ জানিয়েছে, মেডিকেল বোর্ড গঠন করা হবে কালীঘাটের কাকুর জন্য। রোগীর শারীরিক অবস্থাকে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে। এরপর তাদের কণ্ঠস্বর নমুনা নেওয়ার জন্য তারিখ জানানো হবে।' যদিও এ উত্তরে কোনও ভাবেই খুশি নয় কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা। এর পরিপেক্ষিতে ইডির তরফ থেকে জানানো হচ্ছে যে, এসএসকেএম যদি ঠিকমতো পদক্ষেপ না নেয় তাহলে সেক্ষেত্রে তারা হাইকোর্টে আবেদন জানিয়ে এসএসকেএম এর বিরুদ্ধে দারস্থ হবে।
ওদিকে এসএসকেমের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ তুলেছেন বিরোধীরা। অভিযোগ বিশেষ চিকিৎসার মাধ্যমে সুজয়কৃষ্ণের গলার স্বর পাল্টানো হচ্ছে। সুকান্ত-সেলিমের এই অভিযোগের পরেই চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে রাজ্য জুড়ে। প্রশ্ন উঠছে সত্যই কি তাহলে তদন্তের মোড় ঘোরাতেই এই চেষ্টা? কাউকে আড়াল করতেই এই প্রয়াস? এই অভিযোগের প্রেক্ষিতে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা কি পদক্ষেপ নেয় সেটাই এখন দেখার। যদিও এই অভিযোগ সামনে আসায় সলামচনায় সরব হয়েছেন শহরের বিশিষ্ট চিকিৎসকেরা।