পক্ষে ৪৫৪ আর বিপক্ষে ২, সংখ্যাগরিষ্ঠ সাংসদের সমর্থনে লোকসভায় মহিলা সংরক্ষণ বিল পাশের পর চাক দে ইন্ডিয়া বলা যেতেই পারে। মঙ্গলবার কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী অর্জুনরাম মেঘওয়াল লোকসভায় নারী শক্তি বন্দন অধিনিয়ম বিল-২০২৩ বা মহিলা সংরক্ষণ বিল পেশ করেন। যদিও বিল পেশের আগে থেকে সমর্থনের ইঙ্গিত দিয়ে রেখেছিল কংগ্রেস-তৃণমূল। বুধবার দুপুরে কংগ্রেসের সংসদীয় দলের নেত্রী সোনিয়া গান্ধীও বিলে সমর্থন আছে, ঘোষণা করেন লোকসভায়। এই বিলের পক্ষে বিতর্কে অংশ নেয় শাসক-বিরোধী পক্ষ। প্রায় ৮ ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে চলে বিতর্ক। অবশেষে গোপন ভোটাভুটিতে নারী শক্তি বন্দন অধিনিয়ম বিল-২০২৩-এর পক্ষে পড়েছ ৪৫৪টি ভোট আর সংশোধনী চেয়ে বিপক্ষে পড়েছে মাত্র দুটি ভোট। এরপর রাজ্যসভায় এই বিল পাশের পর রাষ্ট্রপতি অনুমোদন মিললেই লোকসভা এবং দেশের বিধানসভাগুলোতে মহিলাদের জন্য এক-তৃতীয়াংশ বা ৩৩ শতাংশ আসন সংরক্ষিত হয়ে যাবে। উল্লেখ্য, এই বিলের উপর আলোচনা সংসদের নির্ধারিত সময়ের পরেও চলেছে। যা দেখে সাংবিধানিক বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সত্যি মহিলা সংরক্ষণ বিল পাশ করতে সংকল্পবদ্ধ ছিল সংসদের নিম্নকক্ষ। দীর্ঘ ২৭ বছর পর লোকসভা সম্পূর্ণ সমর্থন উজাড় করে দিয়েছে এই বিলের পক্ষে, এমনটাই মানছেন বিশেষজ্ঞরা। ভোটাভুটির পর ফল প্রকাশে লোকসভার অধ্যক্ষ ওম বিড়লাও বলেন লোকসভায় উপস্থিত সাংসদদের অন্তত দুই-তৃতীয়াংশের সমর্থন পেয়েছে এই বিল।
এদিকে, কঙ্গনা রানাউত, জয়া বচ্চনের পর এবার এমসি মেরি কম। অলিম্পিকে পদকজয়ী এই বক্সারও মহিলা সংরক্ষণ বিলের পক্ষেই বললেন। খুব ভালো লাগছে, মহিলারা আরও বেশি সংরক্ষণ পেয়ে এগিয়ে যাক। এরম একটা ঘটনায় আমন্ত্রিত হয়ে আমিও সম্মানিত, জানান মেরি কম। নোবেলজয়ী মালালা ইউসুফজাইয়ের মত, আমি গলা তুলেছিলাম, চিত্কার করতে নয়। বরং যাতে আমার গলা শোনা যায় তাই। আমরা কখনই সাফল্য পাবো না, যখন আমাদের অর্ধেককে পিছু টেনে রাখা হবে। এবার ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৩-ও স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে, যখন নারী স্বশক্তিকরণে দলমত নির্বিশেষে রাজনীতির উর্ধ্বে উঠে ভোট দিয়েছে পার্লামেন্ট অফ ইন্ডিয়ার নিম্নকক্ষ তথা লোকসভা। আদতেই চাক দে ইন্ডিয়া।
ঐতিহাসিক! ২০২৪ সালের লোকসভা ভোটের আগে ঐতিহাসিক সিদ্ধান্ত নিয়ে চমক দিল নরেন্দ্র মোদী সরকার। নতুন সংসদ ভবনের প্রথম দিনেই পেশ করা হয় মহিলা সংরক্ষণ বিল। অবশেষে লোকসভায় পাশ হল সেই মহিলা সংরক্ষণ বিল (Women Reservation Bill)। নানা মতবিরোধ-বিতর্কের মাঝে হাসিমুখে মহিলা সংরক্ষণ বিল পাশ করে নিল মোদী সরকার (Modi Government)।
সূত্রের খবর, ভোটাভুটির পর মহিলা সংরক্ষণ বিলের পক্ষে পড়ে ৪৫৪টি ভোট। বিপক্ষে ভোট দেন মাত্র দু'জন সাংসদ। বিলটি লোকসভায় পাস করার জন্য দুই-তৃতীয়াংশ সদস্যের ভোটের প্রয়োজন ছিল। কিন্তু তারও বেশি ভোট পেয়ে লোকসভার গণ্ডি পার করে ফেলল মহিলা সংরক্ষণ বিল। এবার থেকে দেশের আইনসভায় অর্থাৎ লোকসভা এবং বিধানসভাগুলিতে ৩৩ শতাংশ আসন সংরক্ষিত হবে মহিলাদের জন্য। এদিকে তফশিলি জাতি বা উপজাতিদের জন্য বরাদ্দ আসনের মধ্যেও এক-তৃতীয়াংশ সংরক্ষিত থাকবে মহিলাদের জন্য।
ওবিসিকে তালিকা ভুক্ত করে অতি দ্রুত মহিলা সংরক্ষণ বিল আইনে পরিণত করার দাবি জানালেন কংগ্রেস সাংসদ সনিয়া গান্ধী। বুধবার লোকসভায় মহিলা সংরক্ষণ বিল বিতর্কে অংশ নিয়েছিলেন কংগ্রেস প্রাক্তন সভানেত্রী। সনিয়ার দাবি, দীর্ঘদিন ধরেই এই বিল নিয়ে নানা চর্চা হচ্ছে। এবার সময় এসেছে, এই বিলকে আইনে পরিণত করা।
এদিন লোকসভায় দাঁড়িয়ে আবেগে ভাসলেন সনিয়া। তিনি জানান, ভারতে মহিলাদের জন্য সংরক্ষণের প্রথম কাজ শুরু করেছিলেন ভারতের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী এবং তাঁর স্বামী রাজীব গান্ধী। কিন্তু রাজ্যসভায় সাত ভোটে হেরে গিয়ে সেই বিল আটকে গিয়েছিল। পরবর্তী সময়ে এই বিল আইনে পাস করার চেষ্টা করেছে কংগ্রেস।
কংগ্রেস এখনও এই বিলকে সমর্থন করে বলেও জানান সনিয়া গান্ধী। একইসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর কাছে তাঁর অনুরোধ আর দেরি না করে এই বিল আইনে পরিণত করার সময় এসেছে। সনিয়ার পর এই বিলকে দ্রুত আইনে পাস করাতে সরকারের কাছে অনুরোধ করেন ডিএমকে নেত্রী কানিমোঝিও।
অবশেষে মহিলা সংরক্ষণ বিলে (Women Reservation Bill) অনুমোদন দিল কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা (Union Cabinet)। মঙ্গলবার সংসদে বিল পেশ করা সম্ভাবনা রয়েছে। এমনটাই সূত্রের খবর। সোমবার শুরু হয় সংসদের বিশেষ অধিবেশন। সোমবারের অধিবেশনের শুরুতেই বক্তব্য রাখেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (Narendra Modi)। এর পর অধিবেশনের শেষ হতেই সন্ধ্যায় কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার জরুরি বৈঠক ডাকেন। তবে কেন এই বৈঠক, তা নিয়েই শুরু হয় জল্পনা। বৈঠক শেষে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী প্রহ্লাদ প্যাটেল জানিয়েছেন, মহিলা সংরক্ষণ বিলে অনুমোদন দিয়েছে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা।
সোমবার রাতেই কেন্দ্রীয় মন্ত্রী প্রহ্লাদ প্যাটেল সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে জানান, 'নারী সংরক্ষণের দাবি পূরণ করার নৈতিক সাহস কেবল মাত্র মোদী সরকারেরই ছিল। এই বিলকে অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। এর মাধ্যমে সরকারের নৈতিক সাহসিকতা প্রমাণিত হয়েছে। নরেন্দ্র মোদীজি এবং কেন্দ্রীয় সরকারকে অভিনন্দন।'
Union Cabinet has approved women’s reservation bill, says Union minister Prahlad Patel.#WomenReservationBill pic.twitter.com/PyP0txPNmq
— Live Law (@LiveLawIndia) September 18, 2023
তবে কী এই বিল, এই নিয়ে সাধারণ মানুষের মনে অনেক প্রশ্ন রয়েছে। জানা গিয়েছে, এই বিল পাশ হয়ে গেলে লোকসভা, রাজ্যসভা ও বিধানসভায় মহিলাদের জন্য ৩৩ শতাংশ আসন সংরক্ষিত থাকবে। তফশিলি জাতি বা তফশিলি উপজাতির জন্য সংরক্ষিত আসনগুলির মধ্যেও এক তৃতীয়াংশ সংরক্ষিত হবে এসসি বা এসটি নারীদের জন্য।
সুন্দরবনের মতো প্রত্যন্ত এলাকায় নারী পাচার (women traffickers), নতুন কিছু নয়। কাজের টোপে অন্ধকার কানাগলিতে মিশে গেছে বহু মেয়ে। কিছু ফিরে আসলেও অধিকাংশরই আলোয় ফেরা আর হয়নি। সহজ সরল মেয়েদের টোপ দিয়ে তুলে নিয়ে যেত এমন অভিযুক্তদের মধ্যে ৩ জনের বৃহস্পতিবার সাজা ঘোষণা করে ডায়মন্ড হারবার ফাস্টট্র্যাক থার্ড কোর্ট (Diamond Harbor Fasttrack Third Court)। ২ জনের ১০ বছর ও ১ জনের ৭ বছরের জেল ঘোষণা করেন বিচারপতি।
জানা গিয়েছে, ২০১৭ সালে মথুরাপুরের এক তরুণীকে চাকরি ও প্রেমের প্রলোভন দিয়ে পাচার করে দেওয়া হয়েছিল দিল্লিতে। তারপর গাজিয়াবাদের এক যৌনপল্লীতে বিক্রি করে দেওয়া হয় তাঁকে। ওই পল্লীতে দিনের পর দিন তাঁকে ধর্ষণ ও ইচ্ছার বিরুদ্ধে দেহ ব্যবসা করানো হত। পরবর্তী সময়ে পুলিস ও স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবী বাহিনীর মাধ্যমে ওই নির্যাতিতা তরুণী সহ বাংলার ৫ মহিলাকে উদ্ধার করে নিয়ে আসা হয়। এই ঘটনায় মোট ৬ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। জেল হেফাজতে রেখেই বিচার প্রক্রিয়া শুরু হয়। ৭ বছর ধরে চলে সেই মামলা।
সূত্রের খবর, অভিযুক্তরা হল মিনা সিং, মুসলিমা বিবি ওরফে পিঙ্কি, ফারুক আলি গায়েন। বিচারক মিনা সিং ও ফারুক আলি গায়েনকে ১০ বছর সশ্রম কারাদন্ডের নির্দেশ দেন। আর পিঙ্কিকে ৭ বছরের কারাদণ্ডের নির্দেশ দেন। ঘটনার পরে তো বটেই, ঘটনার আগেই যদি পুলিসের নজরদারি কড়া হয়, তাহলে হয়ত অন্ধকার থেকে বাঁচতে পারে বহু মেয়ে।
ফের রবিনসন স্ট্রিটের ছায়া রাজ্যে। স্ত্রীর মৃতদেহর সঙ্গেই বসবাস স্বামীর। শৌচালয় থেকে উদ্ধার হয় পচাগলা মৃতদেহ। জানা গিয়েছে, গত কয়েক দিনে আগে বাথরুমে পড়ে গিয়ে মৃত্যু হয় স্ত্রী শিখা সেনগুপ্তের। সেই মৃত্যুর খবর কাউকে না জানিয়ে স্ত্রীর দেহ নিয়ে বসেছিলেন বছর ৭৬-এর পঙ্কজ সেনগুপ্ত। এবার ঘটনাস্থল পুরুলিয়ার (Purulia) মুনসেফ ডাঙার কাশীনাথ চক্রবর্তী লেন।
কিন্তু শেষরক্ষা হয়নি। প্রচন্ড দুর্গন্ধে স্থানীয় বাসিন্দাদের সন্দেহ হয়। তাঁরাই খবর দেন স্থানীয় কাউন্সিলর ও পুলিসকে। কাউন্সিলর ও পুরুলিয়া সদর থানার পুলিস ঘটনাস্থলে এসে বাড়ির ভিতর ঢুকতেই গন্ধে দম বন্ধ হয়ে যাওয়ার অবস্থা হয়। দেখা যায়, বাড়ির বাথরুমে পচা-গলা অবস্থায় পড়ে রয়েছে শিখা দেবীর দেহ। মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য পাঠায় পুলিস।
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, পঙ্কজ সেনগুপ্ত ও তাঁর স্ত্রী শিখা সেনগুপ্ত অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক শিক্ষিকা। প্রতিবেশীদের সঙ্গে কোনও যোগাযোগ ছিল না তাঁদের। গত ৭ দিন ধরে শিখা দেবীকে দেখা যাচ্ছিল না। তবে নিয়মিত পঙ্কজ বাবু রোজ খাবার আনতে বাইরে যেতেন। সোমবারও তিনি ঘরের বাইরে বেরিয়ে খাবার আনতে গিয়েছিলেন। মৃত্যুর খবর একেবারেই জানতে পারেননি প্রতিবেশীরা। স্থানীয়রা আরও জানান, স্ত্রীর মৃতদেহের সামনেই পঙ্কজবাবু স্বাভাবিকভাবে খাওয়া দাওয়া, থাকা সবই করছিলেন।
পঙ্কজবাবু দাবি করেছেন, রবিবার স্ত্রী বাথরুমে পড়ে গিয়ে মৃত্যু হয়েছে। তবে সেই বিষয় তিনি কাউকে জানাননি। গোটা ঘটনা তদন্ত শুরু করেছে পুরুলিয়া সদর থানা পুলিস।
রাখি উৎসবের (Rakhi) আগেই মধ্যবিত্তের জন্য সুখবর। এলপিজি সিলিন্ডারের (LPG Cylinder) দাম একধাক্কায় ২০০ টাকা কমানোর সিদ্ধান্ত মোদী সরকারের। মঙ্গলবার, ২৯ অগাস্ট এক্স অ্যাকাউন্টে এই সুখবর দেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ (Nirmala Sitaraman)। এই সিদ্ধান্তে বেজায় খুশি বাড়ির গৃহিনীরা।
এবারে গ্যাসের দাম কমে যাওয়ার পর জানা গিয়েছে মহিলাদের মতামত। যে সময় বাজারে দাম বেড়েই চলেছে, সে সময় দাম হ্রাস পাওয়ায় বাড়ির মহিলাদের মত, 'কিছুটা দাম কমায় একটু স্বস্তি পাওয়া গেল। আগে কিছু খেতে গেলে ভাবতে হত। তবে, মোদী সরকারের এই সিদ্ধান্তে বাড়ির মহিলারা বেশ খুশি।' তাঁদের দাবি, এই দাম কমার ধারাটা বজায় থাকুক। আবার অনেকে জানিয়েছেন, 'সংসার চালাতে মাস পয়লা থেকেই বাজেট ধার্য থাকে মধ্যবিত্তের। গ্যাসের দাম বাড়লে সেই বাজেটে কাটছাঁট করতে হয়। তাই এই দাম কমার ধারা বজায় থাকলে আগামী উৎসবের মরশুমে অনেকটা সুরাহা পাবে মধ্যবিত্ত শ্রেনীর', এমনটাই মত আম আদমির।
পূর্বতন টুইটার তথা বর্তমান সামাজিক মাধ্যম এক্স অ্যাকাউন্টে মঙ্গলবার কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ লেখেন, 'ওনাম এবং রাখী বন্ধন উৎসব উপলক্ষে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা সব রান্নার গ্যাসের দাম ২০০ টাকা কমানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। মা-বোনেদের এই স্নেহ উপহার দেওয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে ধন্যবাদ।'
মাতালদের মাতলামি রুখতে ঝাঁটা লাঠি হাতে রাস্তায় নামল এলাকার মহিলা বাহিনী (Women Force)। ঘটনাটি ঘটেছে বাঁকুড়া (Bankura) জেলা বিষ্ণুপুর ব্লকের ছিলিমপুর গ্রামের প্রকাশঘাট সংলগ্ন এলাকায়। মহিলাদের অভিযোগ, এই সব অসুবিধার কথা বারবার পুলিস প্রশাসনকে জানিয়েও কোনও সুরাহা মেলেনি। তাই তাঁদেরই ঝাঁটা লাঠি হাতে রাস্তায় নামতে হয়েছে।
তাঁরা আরও অভিযোগ করেছেন, প্রকাশঘাট সংলগ্ন দ্বারকেশ্বর নদীর চরে একশ্রেণীর অসাধু ব্যক্তিরা দীর্ঘদিন ধরেই চোলাই মদ বিক্রি করে। আর সেই মদ পান করে এলাকার পুরুষরা, নেশাগ্রস্ত হয়ে বাড়িতে গিয়ে মহিলাদের ওপর অত্যাচার করে। এমনকি নেশার টাকা না দিলে মহিলাদের ব্যাপক মারধর করা হয়। পাশাপাশি এই মদ খেয়ে প্রাণও হারিয়েছেন একাধিক ব্যাক্তি। তাই বাধ্য হয়ে বাড়ির কাজ-কর্ম সেরে ঝাঁটা লাঠি হাতে এলাকার মাতালদের শায়েস্তা করতেই বেরিয়ে পড়েছেন এলাকার মহিলা বাহিনী।
৭৭তম স্বাধীনতা দিবসে নারীদের (Women) প্রতি অন্যায় (Crime Against) রুখতে নয়া পদক্ষেপ নিলেন ছত্তীসগঢ় (Chhattisgarh) রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী (CM) ভূপেশ বঘেল। শিশু ও মহিলাদের উপর হওয়া অপরাধ রুখতেই তিনি এই নয়া পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন। স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে তিনি এই বিষয়ে একটি বক্তব্যও পেশ করেছেন। তিনি জানিয়েছেন, ‘‘ রাজ্যে মহিলাদের সম্মান এবং মর্যাদা রক্ষা করাকেই অগ্রাধিকার দিচ্ছে আমাদের সরকার। শিশুকন্যা এবং মহিলাদের বিরুদ্ধে ধর্ষণ, যৌন হেনস্থা এবং অন্যান্য অপরাধে অভিযুক্তদের উপর সরকারি চাকরিতে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হবে বলে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে।’’ এমনকি সরকারি স্কুলের পড়ুয়াদের জন্য বিশেষ সুযোগ-সুবিধারও প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী বঘেল।
যদিও ‘ন্যাশনাল ক্রাইম রেকর্ডস ব্যুরো’ (এনসিআরবি)-র সমীক্ষা অনুযায়ী, ২০১৮ সালে নারী নির্যাতনের ঘটনায় দেশের মধ্যে এই রাজ্য পঞ্চম স্থানে ছিল। তবে ২০২১ সালে সেই নিরিখে ছত্তীসগঢ় ১১তম স্থানে নেমেছে।
মহিলাদের সুরক্ষার্থে (Women Safety) আগেই গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। এবারে যোগাযোগের সুবিধার জন্য প্রায় ১.৩ কোটি মহিলাদের দেওয়া হবে মোবাইল ফোন (Mobile Phone)। এমনটাই জানানো হয়েছে রাজস্থান সরকারের (Rajasthan Government) তরফে। আসন্ন নির্বাচনের আগে একের পর এক উদ্যোগ নিচ্ছে রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলট (Ashok Gehlot)। সূত্রের খবর, মুখ্যমন্ত্রী ডিজিটাল সেবা যোজনার (Mukya Mantri Digital Seva Yojana ) অধীনে এই মোবাইল ফোন দেওয়া হবে। আজ, অর্থাৎ বৃহস্পতিবার থেকেই রাজস্থানের মহিলাদের মোবাইল ফোন দেওয়া হবে।
সূত্রের খবর, রাজ্য জুড়ে এই বিশেষ ক্যাম্পের মাধ্যমে মহিলাদের শুধুমাত্র মোবাইল ফোনই দেওয়া হবে না। ফোনের পাশাপাশি তিন বছরের জন্য ফ্রি-তে ডেটাও দেওয়া হবে। জানা গিয়েছে, প্রথম ধাপে জয়পুরের ১.৯ লক্ষ মহিলা সহ সারা রাজ্য জুড়ে ৪০ লক্ষ ফোন দেওয়া হবে। এক-একটি ফোনের দাম হতে চলেছে ৬ হাজার ৮০০টাকা। আরও জানা গিয়েছে, এই প্রকল্পের জন্য় 'রিয়ালমি' ও 'রেডমি'-র ফোন দেওয়া হবে। পরে 'স্যামসাং' ও 'নোকিয়া'-র মোবাইল ফোনও দেওয়া হবে। মোবাইল ফোনের জন্য দেওয়া হবে ৬ হাজার ১২৫ টাকা ও বার্ষিক ইন্টারনেটের জন্য ৬৭৫ টাকা। এছাড়া রাজ্য থেকে প্রতি বছর ৯০০ টাকা দেওয়া হবে ইন্টারনেটের জন্য।
আর যেসব মহিলারা এই প্রকল্পের অধীনে মোবাইল ফোন পাবেন, তাঁদের আধার কার্ড, এনরোলমেন্ট কার্ড ও প্যান কার্ড লাগবে। অন্যদিকে বিধবা মহিলাদের জন্য শুধুমাত্র প্রয়োজন পিপিই কার্ড।
রাজ্যের মহিলাদের সুরক্ষার্থে এক কড়া পদক্ষেপ নিল রাজস্থান সরকার (Rajasthan Government)। রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলট (Ashok Gehlot) ঘোষণা করেন, রাজ্যে যারা যৌন নির্যাতন, অশ্লীলতার মত অপরাধে অভিযুক্ত, তাদের সরকারি চাকরি (Government Jobs) থেকে বঞ্চিত রাখা হবে। অর্থাৎ যৌন নির্যাতনে অপরাধী, অভিযুক্তরা সরকারি চাকরি করতে পারবে না। এমনটাই মঙ্গলবার ঘোষণা করলেন রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলট।
গত কয়েক বছরে রাজস্থানে মহিলাদের বিরুদ্ধে অপরাধ বেড়েই চলেছে। যৌন নিগ্রহ, যৌন নির্যাতন, হেনস্থা, অশ্লীল আচরণের মত ঘটনা বেড়েই চলেছে। ফলে অপরাধী বা অভিযুক্তদের 'শাস্তি' দিতে এমন সিদ্ধান্ত রাজস্থান সরকারের। তবে রাজনৈতিক মহলের মতে, রাজস্থানের পরিস্থিতি নিয়ে কংগ্রেসকে একাধিকবার কটাক্ষ করেছে বিজেপি। এরপরই আসন্ন ভোটের আগেই এমন পদক্ষেপ নিতে দেখা গেল।
অশোক গেহলট মঙ্গলবার টুইট করে লিখেছেন, 'রাজ্য সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, যৌন নির্যাতন, হেনস্থা এইসব অপরাধে অভিযুক্তদের সরকারি চাকরি দেওয়া হবে না।' তিনি আরও জানিয়েছেন, এসব অপরাধীদের নথিও রাখা হবে থানায়। এমনকি রাজ্য সরকার ও পুলিসের তরফে যে তাদের চরিত্রের যে শংসাপত্র দেওয়া থাকবে, সেখানে অপরাধগুলোর বিষয় উল্লেখ থাকবে।
খুনের হুমকি দিয়ে প্রথমে ধর্ষণ, এরপর তার ভিডিও করে হুমকি দিয়ে একাধিক বার ধর্ষণ। এই অভিযোগ পেয়েও কার্যত নীরব ছিল দত্তপুকুর থানার পুলিস। এবার এই অভিযোগে মুখ্যমন্ত্রীর দ্বারস্থ হতেই গ্রেফতার অভিযুক্ত। বুধবার রাতে বারাসত মহিলা পুলিস থানার পুলিস ওই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে। বৃহস্পতিবার এই অভিযুক্তকে বারাসত আদালতে তোলা হলে, বিচারক তাঁকে তিন দিনের পুলিসি হেফাজতের নির্দেশ দেয়।
সূত্রের খবর, দেগঙ্গার এক গৃহবধুর সাথে কর্মসূত্রে যোগাযোগ হয় দত্তপুকুর থানার অন্তর্গত কদম্বগাছীর বাসিন্দা হাফিজুল ইসলামের। আর্থিক অনটন থাকায় নির্যাতিতা হাফিজুলের কারখানায় কাজ করতে শুরু করে। প্রথমে সুযোগ পেয়ে হাফিজুল তার বাড়িতে ওই গৃহবধূকে ডেকে খুনের হুমকি দিয়ে ধর্ষণ করেন, এছাড়া এ ঘটনার ভিডিও দেখিয়ে দীর্ঘদিন ধরে হুমকি দিয়ে ওই গৃহবধূকে ধর্ষণ করতে শুরু করেন বলে অভিযোগ। এই ঘটনার জেরেই ওই মহিলা অন্তঃসত্ত্ব হয়ে পড়েন। এরপর জুন মাসের ১৩ তারিখ অভিযুক্ত হাফিজুলের বিরুদ্ধে চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ষণ এরপর হুমকি দিয়ে একাধিকবার ধর্ষণের অভিযোগ দায়ের করেন ওই নির্যাতিতা।
নির্যাতিতার পরিবারের তরফে অভিযোগ, এ ঘটনার অভিযোগ পেয়েও দত্তপুকুর থানার পুলিস তেমনভাবে কোনও পদক্ষেপই গ্রহণ করেননি। অভিযোগ প্রথমে দত্তপুকুর থানার অন্তর্গত কদম্বগাছি ফাঁড়িতে, এ ঘটনার লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়। দীর্ঘ দেড় মাস অপেক্ষা করার পর দত্তপুকুর থানার পুলিস কোনও পদক্ষেপ গ্রহণ না করলে মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি লিখে অভিযোগ করেন ওই নির্যাতিতার পরিবার।
জেলা প্রশাসন সূত্রে খবর, জুলাই মাসের ২৯ তারিখে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে চিঠি লিখে অভিযোগ দায়ের করেন ওই নির্যাতিতার পরিবার, এরপর সংশ্লিষ্ট ওই অভিযোগ বারাসত মহিলা পুলিস থানার অধীনে এনে তদন্ত শুরু করে পুলিস। এরপর ই গতকালতার বুধবার রাতে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে পুলিস।
যদি এই ঘটনায় স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠছে, এমন গুরুতর অভিযোগ থাকা সত্ত্বেও কেন পুলিসের তদন্তে এতদিন সময় লাগলো? কেন এই অভিযুক্ত কে ধরতে বা গ্রেফতার করতে দেড় মাস সময় লাগল? যদিও তার সাফাই হিসেবে বারাসত জেলা পুলিশ সুপার ভাস্কর মুখোপাধ্যায় বলেন, ' অভিযোগের গুরুত্ব বিচার করে পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়, অনেক ক্ষেত্রে এই ধরনের অভিযোগে তদন্ত করতে পুলিসের সময় লাগে।' কিন্তু এ ঘটনায় কেন পুলিসের এত সময় লাগল! সে বিষয়ে কিছু বলতে চাননি তিনি।
অ-জৈব বর্জ্য সংগ্রহের কাজ করতেন কেরলের (Kerala) ১১ জন মহিলা, সংসার চলত টেনে-টুনে। কিন্তু হঠাৎই একদিন তাঁদের ভাগ্য বদলে গেল মুহূর্তের মধ্য়ে। ২৫০ টাকার লটারির (Lottery) টিকিটই বদলে ফেলে তাঁদের জীবন। কারণ তাঁরা সেই ২৫০ টাকার লটারির টিকিট কেটেই নিমেষের মধ্যে হয়েছেন কোটিপতি। জানা গিয়েছে, তাঁরা মোট ১০ কোটি টাকা জিতেছেন লটারিতে। সূত্রের খবর, ঘটনাটি কেরলের মালাপ্পুরমের (Malappuram)।
জানা গিয়েছে, এই ১১ জন মহিলা কেরলের মালাপ্পুরমের হরিথা কর্ম সেনায় কাজ করতেন। তাঁরা বাড়ি, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান থেকে প্লাস্টিক সংগ্রহের কাজ করতেন। কিন্তু তাঁদের উপার্জনের টাকায় সংসার চালানো ভীষণ কষ্টকর হত। তাই তাঁরা একসঙ্গে প্রায়ই চাঁদা তুলে লটারির টিকিট কাটতেন। কিন্তু এর আগে লটারি কাটলেও তেমন কোনও বিশেষ পুরস্কার পাননি। কিন্তু তাঁরা হাল ছাড়েননি। কষ্ট করে হলেও তাঁরা চাঁদা তুলে ২৫০ টাকা জমান ও লটারির টিকিট কাটেন। এরপর কেরলের লটারি বিভাগ থেকে ঘোষণা করা হয় যে, তাঁরা ১০ কোটি টাকা জিতেছেন। আর এই খবর শুনে আনন্দে আত্মহারা হয়ে পড়েন তাঁরা।
হরিথা কর্ম সেনার চেয়ারম্যান সীজা বলেন, 'এই টাকা যাঁদের বেশি দরকার ছিল তাঁদের কাছেই গিয়েছে। তাঁরা অত্যন্ত পরিশ্রমী মহিলা। তাঁদের অনেকের ঋণ রয়েছে, আবার কারোর মেয়েকে বিয়ে দিতে হবে। ফলে এই টাকা তাঁদের অনেকক্ষেত্রে সাহায্য করতে পারবে।'
হাওড়া, মালদহের পরে এবার শিলিগুড়িতেও একই ঘটনা। সালিশি সভায় আদিবাসী এক গৃহবধূকে (Women) বিবস্ত্র করে মারধরের (Beaten) অভিযোগ। অভিযোগ উঠেছে এলাকারই এক মহিলার বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে শিলিগুড়ি (Siliguri) সংলগ্ন লোয়ার বাগডোগরার ভুজিয়াপানি গ্রামে। এই ঘটনায় দু'পক্ষই বাগডোগরা থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। পুলিস ইতিমধ্যেই এই ঘটনায় দুই পক্ষের চারজনকে গ্রেফতার করেছে। পুলিস সূত্রে খবর, ধৃত ওই চারজনের নাম প্রদীপ সরকার, গৌরী সরকার, শিবা বাল্মিকী ও ললিতা বাল্মিকী। এমনকি ওই ধৃত চারজনকেই মঙ্গলবার শিলিগুড়ি মহাকুমা আদালতে পাঠানো হয়েছে।
সূত্রের খবর, ঘটনার সূত্রপাত ১৯ জুলাই অর্থাৎ বুধবার। ভুজিয়াপানির বাসিন্দা প্রদীপ সরকারের সঙ্গে রোশনি খেরওয়ার নামের এক মহিলার পরকীয়ার সম্পর্ক রয়েছে। যা জানেত পেরে যায় প্রদীপ সরকারের স্ত্রী গৌরি সরকার। এই ঘটনা জানার পর থেকেই শুরু হয় অশান্তি, যা সামাল দিতে বুধবারই ভুজিয়াপানির পান্থাবাড়ি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে একটি সালিশি সভা বসে। তবে সেই সালিশি সভায় প্রদীপ সরকারের স্ত্রীর সঙ্গে ওই মহিলার হাতাহাতি শুরু হয়ে যায়। দুজনকে এভাবে হাতাহাতি করতে দেখে গৌরি সরকারের বান্ধবী তাদের আটকাতে যায়। তখন রোশনি খেরওয়ার তাঁর উপরেও হামলা করে। তাই ওই দিন সালিশি সভা বন্ধ রেখে পরের দিন আবার সালিশি সভা বসানো হয়।
নির্যাতিতার অভিযোগ, পরের দিন সেই সালিশি সভায় তিনি উপস্থিত হতেই তাঁর উপর চড়াও হয় রোশনি খেরওয়ার ও তার লোকজন। সভার সমস্ত মানুষের সামনেই তাঁকে বিবস্ত্র করে মারধরও করা হয়, বলে অভিযোগ। তিনি আরও দাবি করেন, এই ঘটনার পর তাঁর অবস্থা গুরুতর হওয়ায় নিজের চিকিৎসা করান তিনি। তারপরেই অভিযুক্তদের শাস্তির দাবিতে থানায় অভিযোগ দায়ের করেন, এমনটাই দাবি করেন তিনি। যদিও এই ঘটনায় নির্যাতিতার বাড়িতে পৌঁছন তরাই ডুয়ার্স আদিবাসী সংগঠনের সদস্যরা। তাঁরা ওই নির্যাতিতা মহিলার সঙ্গে কথাবার্তাও বলেন।
মালদহে (Malda) দুই মহিলাকে নগ্ন করে বেধড়ক মারধরের অভিযোগের ঘটনায় সরব জাতীয় মহিলা কমিশন। ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছেন এনসিডব্লু-র প্রধান রেখা শর্মা। জানিয়েছেন, তিনি মালদহের একটি দলের সঙ্গে যোগাযোগ রেখেছেন। খুব শীঘ্রই তাঁদের একটি দল মালদহে আসবে।
এদিন, রেখা শর্মা বলেন, 'আমি পশ্চিমবঙ্গের মালদহে একটি দলের সঙ্গে যোগাযোগ রেখেছি। ওরা বলছে ওই দুই মহিলাকে মারধর ও অত্যাচার নিয়ে তদন্ত হবে। ৫ অভিযুক্তকে পুলিস গ্রেফতার করলেও তাঁদের কোনও মেডিক্যাল করানো হয়নি। আমার টিম ওখানে যাবে।'
জানা গিয়েছে, চুরি করার অভিযোগে দুই মহিলাকে বিবস্ত্র করে মারধর ও জুতোপেটা করার অভিযোগ উঠেছে উন্মত্ত জনতার বিরুদ্ধে। ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তাল মালদার বামোনগোলা থানার পাকুয়াহাট এলাকা। ইতিমধ্যে মারধরের একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে সোশাল মিডিয়ায়। তারপরই উত্তেজনা ছড়ায়। ইতিমধ্যেই বিষয়টি নিয়ে সরব হয়েছে বিজেপি।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিশানা করে টুইট করেন বিজেপি আইটি সেল প্রধান অমিত মালব্য। টুইটে তিনি অভিযোগ করেন, পশ্চিমবঙ্গে আতঙ্ক অব্যাহত। ২ মহিলাকে নিগ্রহের ঘটনায় পুলিশ নীরব দর্শকের ভূমিকায় ছিল বলে অভিযোগ তাঁর। পাশাপাশি টুইটে সরব হয়েছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী স্মৃতি ইরানি এবং বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারও।